২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবার বেতন বন্ধের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায়

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বুধবার
  • / 38

পারিজাত মোল্লাঃ  চাকরি বেআইনি হোক, ধারাবাহিক শ্রম তো গেছে স্কুলে! হ্যাঁ এবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশে চাকরি বাতিল হওয়া গ্রুপ ডি বিভাগের কর্মীরা ফের দ্বারস্থ হলেন ডিভিশন বেঞ্চের। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরিহীন ১,৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মী। এর পাশাপাশি তাঁদের চাকরির প্রথম দিন থেকে বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে সিঙ্গেল বেঞ্চের তরফে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন চাকরি হারানো গ্ৰুপ ডি কর্মীরা। দাখিল পিটিশনে দাবি – ‘৫ বছর চাকরি করেছি। বিদ্যালয়ে নিজের শ্রম দিয়েছি। কেন ফেরত দেব বেতন ?’

বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বুধবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন চাকরি বাতিল হওয়া গ্রুপ – ডি কর্মীদের একাংশ। গত ১০ ই ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের  বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ওএমআর শিটে গরমিলের দায়ে চাকরি বাতিল হয়েছে ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর। বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন ১৯১১ জন গ্রুপ ডি হিসেবে গন্য হবেন না। তাঁদের বেতনও বন্ধ হয়ে যাবে । এতদিন তাঁরা যে বেতন পেয়েছেন, সেটাও ফেরত দিতে হবে। ধাপে ধাপে সেই টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের তরফে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৮২৩ টি উত্তরপত্র  বিকৃত করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৯১১ জন সুপারিশপত্র পেয়েছেন এবং তাঁরা বর্তমানে কর্মরত।

আরও পড়ুন: চাকরির খবরঃ ২১ হাজার গ্রামীণ ডাক সেবক নিয়োগ করবে ডাকবিভাগ

হাইকোর্টের নির্দেশ মতো  স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে যে নিয়োগের সুপারিশপত্রগুলি বাতিল করা চলছে, তার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। হাইকোর্টে কমিশনের তরফে হলফনামা দিয়ে জানানো হয়, ‘ওএমআর শিট পরীক্ষা করে সিবিআই এর সঙ্গে মিলে গিয়েছে ২৮১৮ টি ওএমআর শিট, যারা কারচুপি করেছিল বলে অভিযোগ।  ২৮২৩ নাইসার রেকর্ডে ছিল। এদের মধ্যে ১৯১১ জনের নম্বর এসএসসির সার্ভারে বেশি ছিল। এই ১৯১১ জনের সুপারিশ সঠিক ছিল না।’

আরও পড়ুন: শিক্ষকদের বেতন বন্ধ করায় ইস্টার্ন কোলফিল্ডকে চার লক্ষ টাকা জরিমানা হাইকোর্টের

এরপর বিচারপতির নির্দেশে চাকরিহীন ১৯১১ জন। একদিকে, চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে দ্বারস্থ হয়েছেন কয়েকজন গ্রুপ – ডি কর্মী। এবার বেতন ফেরতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে দায়ের হল নয়া মামলা।নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগেই ১,৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীদের চাকরি থেকে সরামোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি, সরকারের কাছে থেকে নেওয়া এতদিনের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এর আগে গ্রুপ ডি-র ওই চাকরি প্রাপকরা চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এ বার বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশকেও চ্যালেঞ্জ জানালেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: ওএমআর শিট প্রকাশ মামলায় সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল ডিভিশন বেঞ্চেও

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

এবার বেতন বন্ধের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায়

আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বুধবার

পারিজাত মোল্লাঃ  চাকরি বেআইনি হোক, ধারাবাহিক শ্রম তো গেছে স্কুলে! হ্যাঁ এবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশে চাকরি বাতিল হওয়া গ্রুপ ডি বিভাগের কর্মীরা ফের দ্বারস্থ হলেন ডিভিশন বেঞ্চের। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরিহীন ১,৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মী। এর পাশাপাশি তাঁদের চাকরির প্রথম দিন থেকে বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে সিঙ্গেল বেঞ্চের তরফে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন চাকরি হারানো গ্ৰুপ ডি কর্মীরা। দাখিল পিটিশনে দাবি – ‘৫ বছর চাকরি করেছি। বিদ্যালয়ে নিজের শ্রম দিয়েছি। কেন ফেরত দেব বেতন ?’

বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বুধবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন চাকরি বাতিল হওয়া গ্রুপ – ডি কর্মীদের একাংশ। গত ১০ ই ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের  বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ওএমআর শিটে গরমিলের দায়ে চাকরি বাতিল হয়েছে ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর। বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন ১৯১১ জন গ্রুপ ডি হিসেবে গন্য হবেন না। তাঁদের বেতনও বন্ধ হয়ে যাবে । এতদিন তাঁরা যে বেতন পেয়েছেন, সেটাও ফেরত দিতে হবে। ধাপে ধাপে সেই টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের তরফে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৮২৩ টি উত্তরপত্র  বিকৃত করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৯১১ জন সুপারিশপত্র পেয়েছেন এবং তাঁরা বর্তমানে কর্মরত।

আরও পড়ুন: চাকরির খবরঃ ২১ হাজার গ্রামীণ ডাক সেবক নিয়োগ করবে ডাকবিভাগ

হাইকোর্টের নির্দেশ মতো  স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে যে নিয়োগের সুপারিশপত্রগুলি বাতিল করা চলছে, তার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। হাইকোর্টে কমিশনের তরফে হলফনামা দিয়ে জানানো হয়, ‘ওএমআর শিট পরীক্ষা করে সিবিআই এর সঙ্গে মিলে গিয়েছে ২৮১৮ টি ওএমআর শিট, যারা কারচুপি করেছিল বলে অভিযোগ।  ২৮২৩ নাইসার রেকর্ডে ছিল। এদের মধ্যে ১৯১১ জনের নম্বর এসএসসির সার্ভারে বেশি ছিল। এই ১৯১১ জনের সুপারিশ সঠিক ছিল না।’

আরও পড়ুন: শিক্ষকদের বেতন বন্ধ করায় ইস্টার্ন কোলফিল্ডকে চার লক্ষ টাকা জরিমানা হাইকোর্টের

এরপর বিচারপতির নির্দেশে চাকরিহীন ১৯১১ জন। একদিকে, চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে দ্বারস্থ হয়েছেন কয়েকজন গ্রুপ – ডি কর্মী। এবার বেতন ফেরতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে দায়ের হল নয়া মামলা।নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগেই ১,৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীদের চাকরি থেকে সরামোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি, সরকারের কাছে থেকে নেওয়া এতদিনের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এর আগে গ্রুপ ডি-র ওই চাকরি প্রাপকরা চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এ বার বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশকেও চ্যালেঞ্জ জানালেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: ওএমআর শিট প্রকাশ মামলায় সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল ডিভিশন বেঞ্চেও