সিউড়ি ২ পঞ্চায়েত সমিতি ও ছটি গ্রাম পঞ্চায়েত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল তৃণমূলের

- আপডেট : ১৫ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার
- / 18
কৌশিক সালুই বীরভূম ১৫ এপ্রিল:- এবার বীরভূমের সিউড়ি ২ পঞ্চায়েত সমিতি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করল তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি ওই পঞ্চায়েত সমিতি এলাকার সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতও তৃণমূলের। সন্ত্রাসের কারণেই মনোনয়ন জমা করতে পারিনি বলে অভিযোগ বিরোধীদের যদিও শাসক দল সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সিউড়ি ২ ব্লক বরাবরের শক্ত ঘাঁটি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের। সেই মতো পঞ্চায়েত সমিতির ১৭ টা সিটের মধ্যে একমাত্র দমদমা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে পঞ্চায়েত সমিতির একটি সিটে মনোনয়ন দাখিল করতে পেরেছে বিজেপি। অর্থাৎ এই পঞ্চায়েত সমিতি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করল। এর সঙ্গে এই পঞ্চায়েত সমিতি এলাকার কোটি, বনশঙ্কা এবং কেন্দুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বিরোধীরা একটি কেন্দ্রেও মনোনয়ন দাখিল করতে পারেনি। যদিও দমদমা এবং অবিনাশপুরে একটি করে গ্রাম পঞ্চায়েত সিটে মনোনয়ন দাখিল হয়েছে এবং পুরন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে দুটি কেন্দ্রে মনোনয়ন জমা হয়েছে। বিগত বিধানসভা নির্বাচনে সাঁইথিয়া কেন্দ্রটি একমাত্র সিউড়ি ২ ব্লকের লিডের উপর নির্ভর করে জয়লাভ করতে পেরেছিল।
সেই ধারা অব্যাহত রেখে পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের জয় জয়কার। যদিও সংশ্লিষ্টএলাকার জেলা পরিষদের সিটে নির্বাচন হবে। যেখানে একটি কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন বর্ষিয়ান নেতা ও দুই ব্লকের সভাপতি নুরুল ইসলাম। অন্যদিকে দুবরাজপুর বিধানসভার বিধায়ক অনুপ সাহা অভিযোগ করে বলেন রীতিমতো সন্ত্রাসের জন্য আমরা সিউড়ি ২ ব্লকে মনোনয়ন দাখিল করতে পারিনি। আমাদের স্থানীয় নেতৃত্বরা তৃণমূলের সন্ত্রাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সিউড়ি ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন,” এলাকার মানুষ উন্নয়নের পক্ষে সামিল হয়েছে তাই বিরোধীরা কেউ মনোনয়ন দাখিল করতে পারেনি। সন্ত্রাসের অভিযোগ ভিত্তিহীন”।