০১ জুন ২০২৫, রবিবার, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিলল না স্বস্তি,  টানা বৃষ্টিতে জল জমে নাজেহাল মানুষ

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২ অগাস্ট ২০২৩, বুধবার
  • / 21

পুবের কলম প্রতিবেদক: জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহের কয়েকটা দিন কাঠফাটা রোদে বাইরে বেরোনোই দায় হয়ে উঠেছিল। তারই মাঝে স্বস্তির খবর দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। কিন্তু সেই স্বস্তি বেশিক্ষন সইল না শহরবাসীর। সোমবার থেকে টানা বৃষ্টির জেরে কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণে জল জমে নাজেহাল অবস্থা রইল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত। যার জেরে অফিস টাইমে যানজটের জেরে ভোগান্তির শিকার হতে হয় নিত্য যাত্রীদের।

মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির জল জমে ছিল দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। এক রাতের টানা বৃষ্টিতে কোথাও গোড়ালি ডোবানো জল, কোথাও আবার এক হাঁটু জলে নাকানিচোবানি খেতে হয়েছে নাগরিকদের। ঢাকুরিয়া ব্রিজ, ঢাকুরিয়া স্টেশন রোড, ঢাকুরিয়া বাজার সর্বত্র জল ঠেলে যাতায়াত করতে হয়েছে নিত্যযাত্রীদের। কোথাও কোথাও বাড়িতেও জল ঢুকেছে। বরাবরের মতো জল জমেছে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের বেশ কিছু জায়গায়। একেই জমা জল, তার উপরে গাছ পড়ে বিপত্তি হয় হরিশ মুখার্জি রোডে। কলকাতা পুরসভার ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। যার জেরে বেশ কয়েক ঘন্টা তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অবশেষে কলকাতা পুরসভার তৎপরতায় সমস্যার সমাধান হয়। গাছ কাটার মেশিন এনে রাস্তা থেকে গাছ সরান পুর কর্মীরা।

আরও পড়ুন: ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মায়ানমারে উদ্ধারকার্যে অপারেশন ‘ব্রহ্মা’

অন্যদিকে, এদিন সকাল থেকেই পুরসভার সবকটি পাম্প সচল রাখা হয়েছিল। এতে দুপুরের মধ্যেই জমা জল নামিয়ে ফেলা সম্ভব হয়।

আরও পড়ুন: ভারত থেকে মায়ানমারে গেলে ১৫ টন ত্রাণ সামগ্রী

এদিকে আগামী ক’দিনও গোটা দক্ষিণবঙ্গজুড়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেক্ষত্রে কি আবাও ভাসবে কলকাতা,  এই প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিং এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,  জোয়ারের সময় প্রায় চার ঘন্টা লকগেট বন্ধ রাখতে হয়। পরে জল নিষ্কাশন করতে আরও ৪ ঘন্টা সময় লেগে যায়। ফলে লকগেট বন্ধ থাকাকালীন বৃষ্টি হলে জল জমবেই। তবে পুরসভার তরফে ইতিমধ্যেই ড্রেজিংয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। তাই জল জমলেও, তা দ্রুত নামিয়ে ফেলা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন: জয়নগরে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে বাম-কংগ্রেস, কোর্টের নির্দেশের পর ত্রাণ পৌঁছালো গ্রামে

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মিলল না স্বস্তি,  টানা বৃষ্টিতে জল জমে নাজেহাল মানুষ

আপডেট : ২ অগাস্ট ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহের কয়েকটা দিন কাঠফাটা রোদে বাইরে বেরোনোই দায় হয়ে উঠেছিল। তারই মাঝে স্বস্তির খবর দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। কিন্তু সেই স্বস্তি বেশিক্ষন সইল না শহরবাসীর। সোমবার থেকে টানা বৃষ্টির জেরে কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণে জল জমে নাজেহাল অবস্থা রইল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত। যার জেরে অফিস টাইমে যানজটের জেরে ভোগান্তির শিকার হতে হয় নিত্য যাত্রীদের।

মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির জল জমে ছিল দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। এক রাতের টানা বৃষ্টিতে কোথাও গোড়ালি ডোবানো জল, কোথাও আবার এক হাঁটু জলে নাকানিচোবানি খেতে হয়েছে নাগরিকদের। ঢাকুরিয়া ব্রিজ, ঢাকুরিয়া স্টেশন রোড, ঢাকুরিয়া বাজার সর্বত্র জল ঠেলে যাতায়াত করতে হয়েছে নিত্যযাত্রীদের। কোথাও কোথাও বাড়িতেও জল ঢুকেছে। বরাবরের মতো জল জমেছে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের বেশ কিছু জায়গায়। একেই জমা জল, তার উপরে গাছ পড়ে বিপত্তি হয় হরিশ মুখার্জি রোডে। কলকাতা পুরসভার ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। যার জেরে বেশ কয়েক ঘন্টা তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অবশেষে কলকাতা পুরসভার তৎপরতায় সমস্যার সমাধান হয়। গাছ কাটার মেশিন এনে রাস্তা থেকে গাছ সরান পুর কর্মীরা।

আরও পড়ুন: ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মায়ানমারে উদ্ধারকার্যে অপারেশন ‘ব্রহ্মা’

অন্যদিকে, এদিন সকাল থেকেই পুরসভার সবকটি পাম্প সচল রাখা হয়েছিল। এতে দুপুরের মধ্যেই জমা জল নামিয়ে ফেলা সম্ভব হয়।

আরও পড়ুন: ভারত থেকে মায়ানমারে গেলে ১৫ টন ত্রাণ সামগ্রী

এদিকে আগামী ক’দিনও গোটা দক্ষিণবঙ্গজুড়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেক্ষত্রে কি আবাও ভাসবে কলকাতা,  এই প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিং এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,  জোয়ারের সময় প্রায় চার ঘন্টা লকগেট বন্ধ রাখতে হয়। পরে জল নিষ্কাশন করতে আরও ৪ ঘন্টা সময় লেগে যায়। ফলে লকগেট বন্ধ থাকাকালীন বৃষ্টি হলে জল জমবেই। তবে পুরসভার তরফে ইতিমধ্যেই ড্রেজিংয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। তাই জল জমলেও, তা দ্রুত নামিয়ে ফেলা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন: জয়নগরে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে বাম-কংগ্রেস, কোর্টের নির্দেশের পর ত্রাণ পৌঁছালো গ্রামে