২৭ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুতিনের চাপে নরম জেলেনস্কি ৩ শর্ত মানতে রাজি?

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৯ মার্চ ২০২২, বুধবার
  • / 132

 পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভেলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি আর ন্যাটোতে যোগদানের ব্যাপারে জোর দিতে চান না। তাঁর এই মন্তব্য রাশিয়ার কাছে নতিস্বীকার বলে মনে করা হচ্ছে। অনেকে বলছেন, রাশিয়াকে সন্তুষ্ট করার প্রয়াস করছেন জেলেনস্কি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া রুশপন্থী দুটি এলাকার ব্যাপারে মস্কোর সাথে আলোচনা করতে প্রস্তুত তিনি। ইউক্রেনে হামলার ব্যাপারে রাশিয়া যেসব যুক্তি দিয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে ছিল ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ না দেওয়া, রুশপন্থী ওই দুটি অঞ্চলকে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে মেনে নেওয়া। তবে কী প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রাশিয়ার সেই শর্ত মেনে নিলেন? তিনি বলেন, ‍‌‌‌‌‌‌’ন্যাটো যেহেতু রাশিয়ার বিরুদ্ধে যেতে চায় না, সে কারণে আমি আর তাতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে জোর করছি না।’ আরও বলেন, ‍‌‌‌‌‌‌’ন্যাটো বিতর্কিত ব্যাপারে ভয় পায়, রাশিয়ার সাথে সংঘাতে যেতে ভয় পায়।’ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, দোনবাস অঞ্চলকে রাশিয়া ছাড়া আর কেউ স্বীকৃতি দেয়নি। তবে তাঁরা এ বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন। এই অঞ্চল দুটি কীভাবে থাকবে, সে বিষয়ে সমঝোতার উপায় খুঁজতে পারেন। উল্লেখ্য, ইউক্রেনে দুই সপ্তাহ ধরে চলছে রাশিয়ার আগ্রাসন। এতদিন রুশ বাহিনীকে প্রতিরোধ করার ঘোষণা এবং বিভিন্ন প্রকার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেও এবার সুর কিছুটা নরম করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমিরি জেলেনস্কি। পুতিনের দেশের সঙ্গে আপোসের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: Earthquake: রাশিয়ায় ৭.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পুতিনের চাপে নরম জেলেনস্কি ৩ শর্ত মানতে রাজি?

আপডেট : ৯ মার্চ ২০২২, বুধবার

 পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভেলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি আর ন্যাটোতে যোগদানের ব্যাপারে জোর দিতে চান না। তাঁর এই মন্তব্য রাশিয়ার কাছে নতিস্বীকার বলে মনে করা হচ্ছে। অনেকে বলছেন, রাশিয়াকে সন্তুষ্ট করার প্রয়াস করছেন জেলেনস্কি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া রুশপন্থী দুটি এলাকার ব্যাপারে মস্কোর সাথে আলোচনা করতে প্রস্তুত তিনি। ইউক্রেনে হামলার ব্যাপারে রাশিয়া যেসব যুক্তি দিয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে ছিল ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ না দেওয়া, রুশপন্থী ওই দুটি অঞ্চলকে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে মেনে নেওয়া। তবে কী প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রাশিয়ার সেই শর্ত মেনে নিলেন? তিনি বলেন, ‍‌‌‌‌‌‌’ন্যাটো যেহেতু রাশিয়ার বিরুদ্ধে যেতে চায় না, সে কারণে আমি আর তাতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে জোর করছি না।’ আরও বলেন, ‍‌‌‌‌‌‌’ন্যাটো বিতর্কিত ব্যাপারে ভয় পায়, রাশিয়ার সাথে সংঘাতে যেতে ভয় পায়।’ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, দোনবাস অঞ্চলকে রাশিয়া ছাড়া আর কেউ স্বীকৃতি দেয়নি। তবে তাঁরা এ বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন। এই অঞ্চল দুটি কীভাবে থাকবে, সে বিষয়ে সমঝোতার উপায় খুঁজতে পারেন। উল্লেখ্য, ইউক্রেনে দুই সপ্তাহ ধরে চলছে রাশিয়ার আগ্রাসন। এতদিন রুশ বাহিনীকে প্রতিরোধ করার ঘোষণা এবং বিভিন্ন প্রকার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেও এবার সুর কিছুটা নরম করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমিরি জেলেনস্কি। পুতিনের দেশের সঙ্গে আপোসের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: Earthquake: রাশিয়ায় ৭.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প