০৮ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাসার দুটি গুরুত্বপুর্ণ মিশন বন্ধ করে দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ৮ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার
  • / 23

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : পৃথিবীর কার্বন ডাই–অক্সাইড নির্গমন ও উদ্ভিদস্বাস্থ্যের উপর নজরদারির জন্য নাসার দুটি গুরুত্বপূর্ণ মহাকাশ মিশন বন্ধ করতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৬ অর্থবছরের বাজেটে এই মিশনগুলোর জন্য কোনোরূপ অর্থই বরাদ্দ করেনি ট্রাম্প প্রশাসন। এর ফলে কার্যত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মিশন দুটি।

নাসার সাবেক বিজ্ঞানী ডেভিড ক্রিস্প জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে  মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে এই গবেষণা শুরু হয়েছিল।  পরবর্তীকালে, ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে একটি বিশেষ যন্ত্র স্থাপন করে, হাবল টেলিস্কোপে ব্যবহৃত উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।

আরও পড়ুন: বাজেটে কাটছাঁট! নাসা থেকে পদত্যাগ ৪ হাজার কর্মীর

এই প্রযুক্তির সাহায্যে এত দিন, পৃথিবীর যে কোনো সিস্টেমের তুলনায় বেশি নির্ভুল ও সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়ে উঠেছে। এই মিশনের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ এক তথ্য উঠে এসেছে যে,  আমাজন রেইনফরেস্ট যতটা কার্বন ডাই–অক্সাইড শোষণ করে, তার চেয়েও বেশি নির্গত করে।

ডেভিড ক্রিস্প আরও বলেন, এইসব মিশনের ফলে, বিভিন্ন যন্ত্রের মাধ্যমে উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণের যে আভা হ্যে থাকে তা শনাক্ত করা যায়। এমনকি, এইসব মিশন খরা পর্যবেক্ষণ পর্যন্তও করতে পারে এবং খাদ্যঘাটতির পূর্বাভাস দিতে পারে। এছাড়াও পরিবর্তনশীল গ্রহ সম্পর্কে অনেক কিছু জানার সুযোগ করে দিয়েছে এই মিশন।

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু বিজ্ঞানী জোনাথন ওভারপেক এই ঘটনার সমালোচনা করে বলেন, এই ধরণের গুরুত্বপূর্ণ মিশন বন্ধ হলে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় বড় ক্ষতি হতে পারে। সুতরাং এই প্রকার সিদ্ধান্ত আশঙ্কাজনক।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নাসার দুটি গুরুত্বপুর্ণ মিশন বন্ধ করে দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট : ৮ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : পৃথিবীর কার্বন ডাই–অক্সাইড নির্গমন ও উদ্ভিদস্বাস্থ্যের উপর নজরদারির জন্য নাসার দুটি গুরুত্বপূর্ণ মহাকাশ মিশন বন্ধ করতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৬ অর্থবছরের বাজেটে এই মিশনগুলোর জন্য কোনোরূপ অর্থই বরাদ্দ করেনি ট্রাম্প প্রশাসন। এর ফলে কার্যত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মিশন দুটি।

নাসার সাবেক বিজ্ঞানী ডেভিড ক্রিস্প জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে  মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে এই গবেষণা শুরু হয়েছিল।  পরবর্তীকালে, ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে একটি বিশেষ যন্ত্র স্থাপন করে, হাবল টেলিস্কোপে ব্যবহৃত উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।

আরও পড়ুন: বাজেটে কাটছাঁট! নাসা থেকে পদত্যাগ ৪ হাজার কর্মীর

এই প্রযুক্তির সাহায্যে এত দিন, পৃথিবীর যে কোনো সিস্টেমের তুলনায় বেশি নির্ভুল ও সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়ে উঠেছে। এই মিশনের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ এক তথ্য উঠে এসেছে যে,  আমাজন রেইনফরেস্ট যতটা কার্বন ডাই–অক্সাইড শোষণ করে, তার চেয়েও বেশি নির্গত করে।

ডেভিড ক্রিস্প আরও বলেন, এইসব মিশনের ফলে, বিভিন্ন যন্ত্রের মাধ্যমে উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণের যে আভা হ্যে থাকে তা শনাক্ত করা যায়। এমনকি, এইসব মিশন খরা পর্যবেক্ষণ পর্যন্তও করতে পারে এবং খাদ্যঘাটতির পূর্বাভাস দিতে পারে। এছাড়াও পরিবর্তনশীল গ্রহ সম্পর্কে অনেক কিছু জানার সুযোগ করে দিয়েছে এই মিশন।

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু বিজ্ঞানী জোনাথন ওভারপেক এই ঘটনার সমালোচনা করে বলেন, এই ধরণের গুরুত্বপূর্ণ মিশন বন্ধ হলে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় বড় ক্ষতি হতে পারে। সুতরাং এই প্রকার সিদ্ধান্ত আশঙ্কাজনক।