২৫ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী পুলিশ’, সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী মহারাষ্ট্রের তরুণী চিকিৎসক

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার
  • / 219

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: লাগাতার ধর্ষণের জেরে আত্মঘাতী হলেন এক মহিলা চিকিৎসক। মৃত্যুর আগে নিজের হাতের তালুতেই সুইসাইড নোট লেখেন ওই তরুণী। সুইসাইড নোটে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করে গিয়েছেন ওই চিকিৎসক। লিখেছেন, ৫ মাসে তাঁকে ৪ বার ধর্ষণ করেছেন পুলিশের এক সাব-ইন্সপেক্টর।

বিষয়টি সামনে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। উল্লেখ্য, মাসচারেক আগেই তিন পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে স্থানীয় ডিএসপিকে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। রক্ষকই ভক্ষক হয়ে ওঠার ঘটনা নিয়ে মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।

আরও পড়ুন: দুই সন্তানকে খুন মায়ের, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুন বলছে পুলিশ

বৃহস্পতিবার রাতে আত্মঘাতী হন ওই তরুণী। মহারাষ্ট্রের ফল্টন উপজেলা হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলায়। হাসপাতালে ওই মহিলা চিকিৎসক আত্মহত্যা করেন। নিজের বাম হাতে তিনি সুইসাইড নোট লিখে গিয়েছেন। সেখানে তিনি এক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ লিখে গিয়েছেন।

আরও পড়ুন: মেক্সিকান মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ

সুইসাইড নোটে চিকিৎসক লেখেন, “আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী পুলিশ ইনস্পেক্টর গোপাল বাদনে। আমাকে চারবার ধর্ষণ করেছেন তিনি। পাঁচ মাস ধরে আমাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে তিনি নির্যাতন করেছেন।” এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ধর্ষণের মামলা তুলতে চাপ, না মানাই তরুণীকে কুপিয়ে খুন উত্তরপ্রদেশে

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যে তুমুল রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। কংগ্রেস নেতা বিজয় ওয়াদ্দেয়ার লিখেছেন, “যেখানে রক্ষকই ভক্ষক হয়ে যায়! পুলিশের ডিউটি সুরক্ষা দেওয়া, কিন্তু তারাই যদি মহিলা চিকিৎসককে হেনস্থা করেন, তাহলে বিচার কীভাবে হবে? ওই যুবতী যখন আগে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তাহলে কেন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি? মহাযুতি সরকার পুলিশকে আড়াল করছে। শুধু এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া যথেষ্ট নয়। অভিযুক্ত অফিসারদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে।”

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী পুলিশ’, সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী মহারাষ্ট্রের তরুণী চিকিৎসক

আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: লাগাতার ধর্ষণের জেরে আত্মঘাতী হলেন এক মহিলা চিকিৎসক। মৃত্যুর আগে নিজের হাতের তালুতেই সুইসাইড নোট লেখেন ওই তরুণী। সুইসাইড নোটে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করে গিয়েছেন ওই চিকিৎসক। লিখেছেন, ৫ মাসে তাঁকে ৪ বার ধর্ষণ করেছেন পুলিশের এক সাব-ইন্সপেক্টর।

বিষয়টি সামনে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। উল্লেখ্য, মাসচারেক আগেই তিন পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে স্থানীয় ডিএসপিকে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। রক্ষকই ভক্ষক হয়ে ওঠার ঘটনা নিয়ে মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।

আরও পড়ুন: দুই সন্তানকে খুন মায়ের, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুন বলছে পুলিশ

বৃহস্পতিবার রাতে আত্মঘাতী হন ওই তরুণী। মহারাষ্ট্রের ফল্টন উপজেলা হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলায়। হাসপাতালে ওই মহিলা চিকিৎসক আত্মহত্যা করেন। নিজের বাম হাতে তিনি সুইসাইড নোট লিখে গিয়েছেন। সেখানে তিনি এক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ লিখে গিয়েছেন।

আরও পড়ুন: মেক্সিকান মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ

সুইসাইড নোটে চিকিৎসক লেখেন, “আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী পুলিশ ইনস্পেক্টর গোপাল বাদনে। আমাকে চারবার ধর্ষণ করেছেন তিনি। পাঁচ মাস ধরে আমাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে তিনি নির্যাতন করেছেন।” এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ধর্ষণের মামলা তুলতে চাপ, না মানাই তরুণীকে কুপিয়ে খুন উত্তরপ্রদেশে

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যে তুমুল রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। কংগ্রেস নেতা বিজয় ওয়াদ্দেয়ার লিখেছেন, “যেখানে রক্ষকই ভক্ষক হয়ে যায়! পুলিশের ডিউটি সুরক্ষা দেওয়া, কিন্তু তারাই যদি মহিলা চিকিৎসককে হেনস্থা করেন, তাহলে বিচার কীভাবে হবে? ওই যুবতী যখন আগে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তাহলে কেন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি? মহাযুতি সরকার পুলিশকে আড়াল করছে। শুধু এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া যথেষ্ট নয়। অভিযুক্ত অফিসারদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে।”