পুবের কলম প্রতিবেদক: কর্মসূত্রে ওমানে গিয়ে প্রতারণার শিকার হলেন বাংলার ১১ জন পরিযায়ী শ্রমিক। অভিযোগ, ওমানে গিয়ে একটি অসাধু নিয়োগ সংস্থার খপ্পরে পড়ে মুর্শিদাবাদের এই শ্রমিকরা সেখানে কোনও স্থায়ী ঠাঁই পাচ্ছিলেন না এবং যাযাবরের মতো এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ঘুরে বেড়াতে বাধ্য হচ্ছিলেন। এই খবর পাওয়ার পর তাঁদের সাহায্যে সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার। বর্তমানে এই শ্রমিকরা ওমানে ভারতীয় দূতাবাসের নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন এবং নবান্ন দ্রুত তাঁদের দেশে ফেরানোর জন্য বিদেশ মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানিয়েছে।

এই গোটা ঘটনাটি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের পোস্টে বলা হয়েছে: ‘কর্মসূত্রে ওমানে যাওয়া মুর্শিদাবাদের ১১ জন পরিযায়ী শ্রমিক একটি অসাধু নিয়োগ সংস্থার দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়ে ওখানেই আটক হয়ে পড়েছিলেন। সহায়-সম্বলহীন অবস্থায় তাঁরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। তাঁদের দুর্দশার খবর পেয়ে আমাদের জনদরদি মা-মাটি-মানুষের সরকার তৎক্ষণাৎ হস্তক্ষেপ করে, তাঁদের নিরাপত্তা ও সুস্থতা নিশ্চিত করেছে। রাজ্য সরকারের সক্রিয় প্রচেষ্টার ফলে মানুষগুলো এখন ওমানে ভারতীয় দূতাবাসের হেফাজতে আছেন, যেখানে তাঁদের খাবার ও থাকার সুব্যবস্থা করা হয়েছে।’ পোস্টে আরও লেখা হয়েছে, জীবিকার সন্ধানে বাড়ি ছেড়ে আসা এই মানুষগুলো এখন তাঁদের পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য সাহায্য চেয়েছেন। তৃণমূল আশা প্রকাশ করে যে বিদেশমন্ত্রক এই বিষয়ে দ্রুত এবং মানবিক পদক্ষেপ করবে, যাতে শ্রমিকরা নিরাপদে দেশে ফিরে আসতে পারেন।

জানা গেছে, এই প্রথম নয়। এর আগেও কর্মসূত্রে বিদেশে গিয়ে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা বিপদে পড়লে সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টিম তাঁদের উদ্ধারে সাহায্য করেছে। এ ছাড়াও বাংলার বাইরে পরিযায়ী শ্রমিকরা ‘আক্রান্ত’ বা বিপন্ন হলে রাজ্য সরকারের উদ্যোগেই তাঁরা ঘরে ফিরতে পেরেছেন। এবার ওমানের এই সংকটজনক ঘটনাতেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল, যা রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সরকারের সংবেদনশীলতাকেই তুলে ধরেছে।