১৫ কোটি টাকার প্রতারণায় গ্রেফতার ৩, উদ্ধার বিপুল পরিমাণে সোনার গয়না

- আপডেট : ১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 32
নিজস্ব প্রতিবেদক,বারুইপুর: ডেলিভারি কোম্পানির নাম করে ১৫ কোটি টাকার প্রতারণা। প্রতারিত ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নেমে বারুইপুর পুলিশ জেলার জেলা পুলিশের বড়সড়ো সাফল্য। গ্রেফতার ডেলিভারি কোম্পানির মালিক সহ ২।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’বছর আগে সস্তা সুন্দর নামে একটি ঔষধ অ্যাপ কোম্পানির কাছ থেকে বিভিন্ন জায়গায় ওষুধ ডেলিভারি করার জন্য তারকনাথ ভট্টাচার্যের সিকিউরিটি সার্ভিস নামে একটি কোম্পানি তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে কাজ শুরু করেন।
মূলত এই কোম্পানির কাজ ছিল বিভিন্ন জায়গায় ওষুধ ডেলিভারি করে সেই ওষুধের টাকা সস্তা সুন্দর ঔষধ কোম্পানির একাউন্টে পাঠানো। এর বিনিময়ে চুক্তিপত্র অনুযায়ী কমিশন পাবে তারকনাথের কোম্পানি।
কিন্তু গত দু’বছর ধরে সস্তা সুন্দর ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে ওষুধ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ডেলিভারি করেও এদের একাউন্টে টাকা দিতো না তারকনাথের কম্পানি। এরপর সস্তা সুন্দর ওষুধ কোম্পানির পক্ষ থেকে বারুইপুর থানায় তারকনাথের কোম্পানির বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করে।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নেমে উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। বারুইপুর জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালী তিনি জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে সস্তা সুন্দর ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে ওষুধ নিয়ে বিভিন্ন বাড়িতে বাড়িতে ডেলিভারি করার জন্য মধ্যকারী হিসাবে কাজ করতো তারকনাথ ভট্টাচার্যের এসবি সিকিউরিটি এন্ড সার্ভিস।
কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে আনুমানিক ১৫ কোটি টাকা তারকনাথের কোম্পানি ওই সস্তা সুন্দর ওষুধ কোম্পানিতে পাঠায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত করতে নেমে আমরা জানতে পারি এই ১৫ কোটি টাকা তারকনাথ বিভিন্ন জায়গায় লগ্নি করেছে। সম্পূর্ণ ঘটনা তদন্ত নেমে আমরা তারকনাথ ভট্টাচার্যকে গ্রেপ্তার করি এবং অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শতরূপা সরকার এবং পম্পা মিস্ত্রী কে আমরা গ্রেফতার করি।
অভিযুক্তদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু দামি কোম্পানির গাড়ি এবং বেশকিছু সোনার গয়না। সোনার গয়না বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি টাকার ওপর। এছাড়াও অভিযুক্তের বেশ কিছু ফ্লাট আমরা বাজেয়াপ্ত করি। অভিযুক্তদের কাছ থেকে আনুমানিক ৪.৫ কোটি টাকা আমরা উদ্ধার করে। ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই কোম্পানি সস্তা সুন্দর ওই ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে ওষুধ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ডেলিভারি করেছে এবং তার টাকা পাঠায়নি।
প্রতারিত ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তদন্তে অভিযুক্তের বেশ কিছু সম্পত্তি আমরা চিহ্নিত করি এবং সেগুলোকে বাজেয়াপ্ত করে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলার রুজু করা হয়েছে। প্রতারিত ব্যক্তি সম্পূর্ণ টাকা আমরা উদ্ধার করার চেষ্টা চালাচ্ছি।