রাজস্থানে নৃশংস হত্যাকাণ্ড, তরবারির এক কোপে বোনের মুণ্ডু ধড় থেকে আলাদা করে দিল দিদি!

- আপডেট : ২ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার
- / 48
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: তরবারির এক কোপে বোনের মাথা কেটে ফেলল দিদি। রাজস্থানের এক পরিবারে কিশোরী কন্যার এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্তম্ভিত পরিবার। কিশোরীর তরবারির কোপে প্রাণ গিয়েছে তার নাবালিকা ৯ বছরের বোনের।
ওই কিশোরীর বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, সোমবার বাড়িতে পুজোর কাজ চলছিল। সেই সময়ে তার কিশোরী কন্যা হাতে তরবারি নিয়ে এগিয়ে আসে সকলের দিকে। পুজোর কারণে পরিবারের সব সদস্যরাই উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু কিশোরীর কন্যার চোখ মুখ পুরো পালটে যায়। রণমূর্তি ধারণ করে সে।
তরবারি নিয়ে ছুটে আসে সকলের দিকে। বাড়ির মেয়ের এই আচরণে ভয় পেয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় সকলে। তার এই অবস্থা দেখে তাকে আটকাতে যান তিনি ও তার ছেলে। কিন্তু তাকে বাধা দিতেই আরও উন্মত্ত হয়ে ওঠে সে। সামলানোই মুশকিল হয়ে যায়। তাদের উপরে তরবারি দিয়ে হামলা চালায়। কোনও রকমে সেই হামলা থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান তাঁরা। এর পর কিশোরী ফের ঘরের দিকে ফেরে। তার আচরণে ঘর থেকে সবাই চলে গিয়েছিল সেই সময়। কিন্তু সেই সময় ঘরের ভিতরেই ছিল কিশোরীর ৯ বছরের খুড়তুতো বোন। খাটে ঘুমোচ্ছিল সে। রাগে উম্নত্ত দিদির অগ্নিমূর্তির শিকার হয় সে। হাতের সামনে তাকে পেয়ে তরবারি দিয়ে বোনের মুণ্ডু ধড় থেকে আলাদা করে দেয়। ঘটনাটি রাজস্থানের দুঙ্গারপুরের। কিশোরীর কন্যার এই ঘটনায় আতঙ্কিত, লজ্জিত, হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিন্তিত তার পরিবার। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
কিশোরীর বাবা শঙ্কর পুলিশকে জানিয়েছেন, বাড়িতে দশমাতা পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। তাঁর মেয়ে হস্টেল থেকে বাড়ি আসে। পুজো দেবে বলে উপোস করেছিল। সোমবার পুজো চলাকালীন এই ঘটনা ঘটে।
শঙ্কর আরও জানিয়েছেন, মেয়েকে বাধা দিতে গিয়ে তার তরবারির হাতে আঘাত পেয়েছেন তিনি তার ছেলে। বাড়ির সব সদস্যরাই ঘরেই বাইরে চলে যায়। তাই হয়তো তারা প্রাণে বেঁচেছেন।
পরিবার সূত্রে খবর, এমনকি গত দু দিন ধরেই সে অস্বাভাবিক ব্যবহার করছিল বলে দাবি পরিবারের। এমনকী গত দু দিন ধরে কিছু খায়নি সে। ঠাকুরের কাছে রাখা তলোয়ার নিয়ে এই কাণ্ড ঘটায় সে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। মৃতের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ফরেনসিক দল ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে।
পুলিশ কিশোরীকে আটক করেছে। অভিযুক্ত আটক কিশোরীর বয়স ১৫ বছর। সে দশম শ্রেণীর ছাত্রী। হস্টেলেই পড়াশোনা করে। পুজোর জন্য বাড়িতে এসেছিল।
কেন এমন হামলা চালাল তা জানার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিক গোবিন্দ সিংহ। অভিযুক্ত কিশোরী কোনও মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।