শুক্রবার টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৩ শতাংশ শিক্ষাকর্মী পদ শূন্য রয়েছে। সেই পদ পূরণের জন্য একাধিকবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে দরবার করা হয়েছে। এদিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান বিক্ষোভের জেরে কলেজ স্ট্রিটের ক্যাম্পাস পুরোপুরি বন্ধ ছিল।

তাঁদের দাবি, কর্মরত অবস্থায় মৃত পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া ফের চালু করতে হবে।

শতাব্দী প্রাচীন, ঐতিহ্যবাহী, কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের গেটে এদিন সকাল থেকেই পিকেটিং শুরু করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী সংগঠনের সদস্যরা।

পড়ুয়া ও শিক্ষকদের কাছে শুক্রবার ক্লাসে যোগ না দেওয়ার আবেদন জানান ধর্মঘটীরা। যদিও এই নিয়ে কাউকে জোর করা হয়নি বলে দাবি তাঁদের। বিক্ষোভরতদের দাবি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় মৃত কর্মীদের পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া ২০১২ সাল পর্যন্ত স্বাভাবিক ছিল। কর্মী সংগঠনের অভিযোগ, ২০১২ সালের পর থেকে সেই প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। লাগাতার আন্দোলনের পরেও কর্তৃপক্ষ ও সরকারের টনক নড়েনি বলে অভিযোগ। তার প্রতিবাদে শুক্রবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ক্যাম্পাসে ধর্মঘটের ডাক দেয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন। এবিষয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।