০৩ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য পদে সোনালির পুনর্নিয়োগ বৈধ নয়, হাইকোর্টের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্টে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 25

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুনর্নিয়োগ বৈধ নয় বলে রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।

তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য। এবার সেই রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্টও।

আরও পড়ুন: ১৭১ ভুয়ো এনকাউন্টারে তদন্ত, সুপ্রিম-নির্দেশে বিপাকে হিমন্ত

মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে ফের সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুনর্নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। যা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়।

আরও পড়ুন: ১৫ জুন এক শিফটেই নিট-পিজি পরীক্ষা, বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল সেই নিয়োগ বৈধ নয়। তারপর সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে রাজ্য।

আরও পড়ুন: সুপ্রিম নির্দেশ মেনে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এসএসসি-র

সেই মামলায় ‘খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রাখা হয়। কলকাতা উচ্চ আদালত রায়ে বলেছিল, এইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাথায় পছন্দের লোক বসানো যায় না।

সুপ্রিম কোর্ট সব শুনে একই মত জানিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও হিমা কোহলির বেঞ্চ চূড়ান্ত রায়ে জানিয়েছে, হাইকোর্টের রায় ছিল সঠিক ও আইনত যথাযথ। রাজ্য সরকার উপাচার্যের এক্তিয়ারে দখলদারি ঠিক নয়।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের আগস্ট মাসে কলকাতা-সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেছিল রাজ্য সরকার। সেই সময়ে রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনকর এই নিয়োগে অনুমতি দেননি।

রাজভবনের সিলমোহর ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ করেছিল রাজ্য।

হাইকোর্টে যে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল, তাতে বলা হয়েছিল, এই নিয়োগ বেআইনি। রাজভবনকে এড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করার অর্থ সাংবিধানিক পদ, প্রতিষ্ঠানকে সরাসরি অস্বীকার করা।

মামলাকারীর পিটিশনে উল্লেখ করা হয়, একটা গণতান্ত্রিক দেশের রাজ্য সরকার যদি সাংবিধানিক বিধিকে লঙ্ঘন করে, রাজ্যপাল তথা রাজভবনকে পাশ কাটিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাথায় পছন্দের লোক বসায়, তাহলে সেখানে সংকট অনিবার্য। সেই মতকেই মান্যতা দিয়েছিল আদালত।

প্রসঙ্গত, এই উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপাল তথা আচার্যের সঙ্গে সংঘাতের পরেই রাজ্য সরকার নতুন বিল আনে, রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হবেন পদাধিকার বলে মুখ্যমন্ত্রী। যা নিয়ে অবশ্য বিতর্ক রয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য পদে সোনালির পুনর্নিয়োগ বৈধ নয়, হাইকোর্টের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্টে

আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুনর্নিয়োগ বৈধ নয় বলে রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।

তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য। এবার সেই রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্টও।

আরও পড়ুন: ১৭১ ভুয়ো এনকাউন্টারে তদন্ত, সুপ্রিম-নির্দেশে বিপাকে হিমন্ত

মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে ফের সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুনর্নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। যা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়।

আরও পড়ুন: ১৫ জুন এক শিফটেই নিট-পিজি পরীক্ষা, বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল সেই নিয়োগ বৈধ নয়। তারপর সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে রাজ্য।

আরও পড়ুন: সুপ্রিম নির্দেশ মেনে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এসএসসি-র

সেই মামলায় ‘খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রাখা হয়। কলকাতা উচ্চ আদালত রায়ে বলেছিল, এইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাথায় পছন্দের লোক বসানো যায় না।

সুপ্রিম কোর্ট সব শুনে একই মত জানিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও হিমা কোহলির বেঞ্চ চূড়ান্ত রায়ে জানিয়েছে, হাইকোর্টের রায় ছিল সঠিক ও আইনত যথাযথ। রাজ্য সরকার উপাচার্যের এক্তিয়ারে দখলদারি ঠিক নয়।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের আগস্ট মাসে কলকাতা-সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেছিল রাজ্য সরকার। সেই সময়ে রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনকর এই নিয়োগে অনুমতি দেননি।

রাজভবনের সিলমোহর ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ করেছিল রাজ্য।

হাইকোর্টে যে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল, তাতে বলা হয়েছিল, এই নিয়োগ বেআইনি। রাজভবনকে এড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করার অর্থ সাংবিধানিক পদ, প্রতিষ্ঠানকে সরাসরি অস্বীকার করা।

মামলাকারীর পিটিশনে উল্লেখ করা হয়, একটা গণতান্ত্রিক দেশের রাজ্য সরকার যদি সাংবিধানিক বিধিকে লঙ্ঘন করে, রাজ্যপাল তথা রাজভবনকে পাশ কাটিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাথায় পছন্দের লোক বসায়, তাহলে সেখানে সংকট অনিবার্য। সেই মতকেই মান্যতা দিয়েছিল আদালত।

প্রসঙ্গত, এই উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপাল তথা আচার্যের সঙ্গে সংঘাতের পরেই রাজ্য সরকার নতুন বিল আনে, রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হবেন পদাধিকার বলে মুখ্যমন্ত্রী। যা নিয়ে অবশ্য বিতর্ক রয়েছে।