করোনা: দেশে আক্রান্ত ৩ হাজার, রাজ্যে ২০৫

- আপডেট : ১ জুন ২০২৫, রবিবার
- / 58
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: সারা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৩৯৫ জন। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত ২০৫ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২২ মে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৫৭ জন। ২৬ মে সেই সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ১০। এরপর ৩১ মে সেটি বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৩ হাজার ৩৯৫। গত সপ্তাহের তুলনায় যা ১,২০০ শতাংশের বেশি। সরকারি হিসাব বলছে, গত শুক্রবার থেকে শনিবার এই দু’দিনে দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। অন্যদিকে, বাংলায় এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১১৬ জন।
বিশেষজ্ঞদের একটা অংশের ধারণা, করোনা নতুন করে ছড়ালেও আগের মতো মারণ ক্ষমতা হারিয়েছে এই ভাইরাস। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, নতুন এই স্ট্রোনেও রোগী মৃত্যুর সংখ্যা বেশ উদ্বেগজনক। গত একমাসে ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে কেন্দ্র জানিয়েছে, এই ৭ জনের মধ্যে ছ’জনেরই গুরুতর কো-মর্বিডিটি ছিল। ফলে বিশেষ উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।
চিকিৎসা মহলের একাংশের আশঙ্কা, পুরনো কোভিড বিধি ফিরতে পারে! জনবহুল এলাকায় মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি বয়স্ক ও ক্রনিক রোগীদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। তবে প্রশাসনের তরফে বারবার জানানো হয়েছে, নতুন করে করোনার ঢেউ এলে তা মোকাবিলায় সবরকমভাবে প্রস্তুত সরকার। অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, শনিবার ভারতে অ্যাকটিভ কোভিড কেসের সংখ্যা ৩,০০০ ছাড়িয়ে গেছে এবং বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩,৩৯৫ জন। কেরলে সর্বাধিক সংক্রমণ ১,৩৩৬ জনের । তারপরে মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি।
সম্ভবত দু’বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এই প্রথম ভারতে সক্রিয় কোভিড কেসের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়েছে। শনিবার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লি, কেরল, কর্ণাটক ও উত্তরপ্রদেশে একজন করে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মহারাষ্ট্রে ৪৬৭ জন, দিল্লিতে ৩৭৫ জন, গুজরাটে ২৬৫ জন, কর্নাটকে ২৩৪, পশ্চিমবঙ্গে ২০৫ জন, তামিলনাড়ুতে ১৮৫ জন এবং উত্তরপ্রদেশে ১১৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮৫ জন এবং মারা গেছেন ৪ জন। পশ্চিমবঙ্গে করোনায় কোনও রোগীর মারা যাওয়ার ‘বর মেলেনি। কোভিড-১৯ কেস ট্র্যাক করে এমন ওয়ার্ল্ডোমিটার সূচক অনুসারে, ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল শেষবার দেশে ৩,০০০ সক্রিয় কেস অতিক্রম করেছিল, যখন আক্রান্ত ছিলেন ৩০৮৪জন।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের ডিরেক্টর জেনারেল ডক্টর রাজীব বেহল বলেছেন, ‘আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। এই মুহূর্তে সামগ্রিকভাবে আমাদের পর্যবেক্ষণ করা উচিত, সতর্ক হওয়া উচিত, তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই।