০৬ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিভেদ নয়, শান্তি চাই; মমতাকেই চায় ব্রিগেড-‘গর্জন’

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৪, সোমবার
  • / 9

পুবের কলম প্রতিবেদক: মানুষে মানুষে কোনও রকমের বিভেদ নয়। তাঁরা চাইছেন শান্তি, সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধন। আর, এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেমন চাইছেন তাঁরা। তেমনই প্রধানমন্ত্রী পদেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই তাঁরা দেখতে চাইছেন। রবিবার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের ‘জনগর্জন’ সভায় আগত দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ‘গর্জনে’ এমনই উঠে গেল।

 

আরও পড়ুন: ‘বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন’, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে সুর বাঁধল তৃণমূল

‘কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না’। আর, লক্ষ্মীর ভান্ডারে ‘দিদি আমাদের ১০০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা করে দিয়েছে’। এমনই পোস্টার হাতে নিয়ে ‘জনগর্জন’ সভায় এসেছেন মালদহের চাঁচলের রোকেনা বিবি। তিনি এই প্রথম ব্রিগেড ময়দানের সভায় এসেছেন। তাঁর কথায়, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার অনেক উপকার করছে আমাদের।’ রানাঘাট থেকে ‘জনগর্জন’ সভায় এসেছেন ইলা দাস। তিনি বলেন, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার হওয়ায় অনেক উপকার হয়েছে। এর জন্য এখন সংসারের জন্য অনেক কিছু করতে পারি।’ আগামী দিনে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে বাংলার মেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি দেখতে চান বলেও জানান।

 

বারুইপুর থেকে এসেছেন মোহাম্মদ রফিক লস্কর, কাশেম মন্ডলরা। অনেকে মিলেই তাঁরা এসেছেন ‘জনগর্জন’ সভায়। মোহাম্মদ রফিক লস্কর বলেন, ‘সবাইকে দেখছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এই সরকারের আমলে বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা হয়েছে আমাদের।’ তিনি বলেন, ‘আমরা নরেন্দ্র মোদিকে চাই না। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাই।’ কাশেম মন্ডল বলেন, ‘১০০ দিনের টাকা থেকে শুরু করে মেয়েদের বিয়ের জন্য টাকা, স্কুলের জন্য টাকা, বাচ্চাদের জন্য মোজা-জুতো থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট সহ যাবতীয় বিষয়ে উন্নয়ন হয়েছে এই সরকারের আমলে‌। আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আরও বহু বছর থাকুক।’

 

তবে, শুধুমাত্র উন্নয়নের বিষয়টি নয়। মোহাম্মদ রফিক লস্কর বলেন, ‘মানুষে মানুষে বিভেদ আমরা চাই না। আমরা শান্তি চাই। সব ধর্মের সকলে মিলে আমরা সৌভাতৃত্বের বন্ধনে থাকতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী থাকুক, তবে আমরা চাই তিনি প্রধানমন্ত্রী হোক। আমরা সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধন চাই। হিংসা, হানাহানি চাই না আমরা। আমরা চাই দিদিমণির সরকার বার বার আসুক, মানুষ সুস্থ ভাবে বাঁচুক, সামাজিক ব্যবস্থা আরও উন্নত হোক।’

 

‘জনগর্জন’ সভায় মুর্শিদাবাদ থেকে এসেছেন রঘুনাথ দে। ইতিহাসে মাস্টার্স করার পর তিনি কৃষিকাজকেই পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চেয়ে তিনি কবিতাও লিখেছেন বলে জানান। এ দিকে, আরও অনেকের সঙ্গে হলদিয়া থেকে এসেছেন শেখ আজাবুল, শেখ ইলিয়াস, গোলাম রসুল খান, শেখ জাহাঙ্গির। শেখ আজাবুল বলেন, ‘বিজেপিকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ফেরাতে হবে। আমরা চাই এ রাজ্যে যে ৪২টি সিট রয়েছে, সেই ৪২ টি সিটেই তৃণমূল কংগ্রেস জিতুক।’ শেখ ইলিয়াস বলেন, ‘বাংলার প্রতি যে লাঞ্ছনা তার বিরুদ্ধেই মানুষের লড়াই এই যে জনগর্জন।’

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিভেদ নয়, শান্তি চাই; মমতাকেই চায় ব্রিগেড-‘গর্জন’

আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৪, সোমবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: মানুষে মানুষে কোনও রকমের বিভেদ নয়। তাঁরা চাইছেন শান্তি, সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধন। আর, এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেমন চাইছেন তাঁরা। তেমনই প্রধানমন্ত্রী পদেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই তাঁরা দেখতে চাইছেন। রবিবার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের ‘জনগর্জন’ সভায় আগত দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ‘গর্জনে’ এমনই উঠে গেল।

 

আরও পড়ুন: ‘বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন’, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে সুর বাঁধল তৃণমূল

‘কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না’। আর, লক্ষ্মীর ভান্ডারে ‘দিদি আমাদের ১০০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা করে দিয়েছে’। এমনই পোস্টার হাতে নিয়ে ‘জনগর্জন’ সভায় এসেছেন মালদহের চাঁচলের রোকেনা বিবি। তিনি এই প্রথম ব্রিগেড ময়দানের সভায় এসেছেন। তাঁর কথায়, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার অনেক উপকার করছে আমাদের।’ রানাঘাট থেকে ‘জনগর্জন’ সভায় এসেছেন ইলা দাস। তিনি বলেন, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার হওয়ায় অনেক উপকার হয়েছে। এর জন্য এখন সংসারের জন্য অনেক কিছু করতে পারি।’ আগামী দিনে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে বাংলার মেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি দেখতে চান বলেও জানান।

 

বারুইপুর থেকে এসেছেন মোহাম্মদ রফিক লস্কর, কাশেম মন্ডলরা। অনেকে মিলেই তাঁরা এসেছেন ‘জনগর্জন’ সভায়। মোহাম্মদ রফিক লস্কর বলেন, ‘সবাইকে দেখছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এই সরকারের আমলে বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা হয়েছে আমাদের।’ তিনি বলেন, ‘আমরা নরেন্দ্র মোদিকে চাই না। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাই।’ কাশেম মন্ডল বলেন, ‘১০০ দিনের টাকা থেকে শুরু করে মেয়েদের বিয়ের জন্য টাকা, স্কুলের জন্য টাকা, বাচ্চাদের জন্য মোজা-জুতো থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট সহ যাবতীয় বিষয়ে উন্নয়ন হয়েছে এই সরকারের আমলে‌। আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আরও বহু বছর থাকুক।’

 

তবে, শুধুমাত্র উন্নয়নের বিষয়টি নয়। মোহাম্মদ রফিক লস্কর বলেন, ‘মানুষে মানুষে বিভেদ আমরা চাই না। আমরা শান্তি চাই। সব ধর্মের সকলে মিলে আমরা সৌভাতৃত্বের বন্ধনে থাকতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী থাকুক, তবে আমরা চাই তিনি প্রধানমন্ত্রী হোক। আমরা সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধন চাই। হিংসা, হানাহানি চাই না আমরা। আমরা চাই দিদিমণির সরকার বার বার আসুক, মানুষ সুস্থ ভাবে বাঁচুক, সামাজিক ব্যবস্থা আরও উন্নত হোক।’

 

‘জনগর্জন’ সভায় মুর্শিদাবাদ থেকে এসেছেন রঘুনাথ দে। ইতিহাসে মাস্টার্স করার পর তিনি কৃষিকাজকেই পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চেয়ে তিনি কবিতাও লিখেছেন বলে জানান। এ দিকে, আরও অনেকের সঙ্গে হলদিয়া থেকে এসেছেন শেখ আজাবুল, শেখ ইলিয়াস, গোলাম রসুল খান, শেখ জাহাঙ্গির। শেখ আজাবুল বলেন, ‘বিজেপিকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ফেরাতে হবে। আমরা চাই এ রাজ্যে যে ৪২টি সিট রয়েছে, সেই ৪২ টি সিটেই তৃণমূল কংগ্রেস জিতুক।’ শেখ ইলিয়াস বলেন, ‘বাংলার প্রতি যে লাঞ্ছনা তার বিরুদ্ধেই মানুষের লড়াই এই যে জনগর্জন।’