১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেনাবাহিনীর মতোই কাজ করে দমকল, তাদের খাটো করবেন না, বিধানসভায় বললেন সুজিত

আফিয়া‌‌ নৌশিন
  • আপডেট : ১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 8

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: সেনাবাহিনীর উদাহরণ টেনে দমকলকে বদনাম করা নিয়ে বিধানসভায় সরব হলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। খিদিরপুরের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনায় কার্যত উস্মা প্রকাশ করলেন তিনি। বললেন, সেনাবাহিনীর মতো কাজ করে দমকলের কর্মীরা। তাদের খাটো করবেন না। তাদের সম্মান দিন।

তিনি জানান, ‘দমকলের ভূমিকা নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। আগুন লাগার পর রাত ২টা ৫ মিনিটে দমকল সদর দফতরে প্রথম ফোন আসে। সঙ্গে সঙ্গে তিনটি ইঞ্জিন পাঠানো হয়। পরে আরও ২০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। রাত তিনটায় ফিরহাদ হাকিম ফোন করে ঘটনাস্থলে যান। আমি নিজে সকাল ছটার মধ্যে পৌঁছে যাই। দমকলের ডিরেক্টর, ডেপুটি ডিরেক্টর-সহ পদস্থ আধিকারিকরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘দমকল, পুরসভা এবং পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী প্রায় ৭০০ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যারা বলছেন দমকল দেরিতে পৌঁছেছে বা গাড়িতে জল ছিল না, তাঁরা ভুল তথ্য দিচ্ছেন। ফায়ার ব্রিগেডের ইঞ্জিনে জল ছিল।

আরও পড়ুন: হাওয়াই চটি এত পছন্দ হলে দোকান খুলুন- বিধানসভায় নাম না করে সুকান্তকে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর

আমি গত ছয় বছরে প্রায় ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রেই ঘটনাস্থলে নিজে উপস্থিত থেকেছি। রেল ভবনে আগুনে চারজন দমকলকর্মী শহিদ হয়েছিলেন। আমাদের কর্মীরা সেনার মতোই সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করেন। তাই অনুরোধ করব, দমকল নিয়ে মন্তব্য করার আগে একবার ভেবে বলুন।’

আরও পড়ুন: সুনীতা উইলিয়ামসকে ‘ভারতরত্ন’ দেওয়া হোক, বিধানসভায় দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

প্রসঙ্গত, সোমবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ খিদিরপুর বাজারে ভয়াবহ আগুন লাগে। মূলত বাজার চত্বরের গুদামগুলিই আগুনের গ্রাসে পড়ে। অভিযোগ, দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় নেয়।

আরও পড়ুন: কন্যাশ্রী প্রকল্পে ২০২১-এ ৭২ লক্ষ ৪২ হাজার কন্যা সুবিধা পেয়েছে!

জায়গাটি অতি ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় আগুনের মূল কেন্দ্রে পৌঁছতে বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিসকে। একে একে ২২টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও ভিতরের পকেট ফায়ার নিভাতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। প্রায় ১,৩০০টি দোকান ও গুদাম পুড়ে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সেনাবাহিনীর মতোই কাজ করে দমকল, তাদের খাটো করবেন না, বিধানসভায় বললেন সুজিত

আপডেট : ১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: সেনাবাহিনীর উদাহরণ টেনে দমকলকে বদনাম করা নিয়ে বিধানসভায় সরব হলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। খিদিরপুরের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনায় কার্যত উস্মা প্রকাশ করলেন তিনি। বললেন, সেনাবাহিনীর মতো কাজ করে দমকলের কর্মীরা। তাদের খাটো করবেন না। তাদের সম্মান দিন।

তিনি জানান, ‘দমকলের ভূমিকা নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। আগুন লাগার পর রাত ২টা ৫ মিনিটে দমকল সদর দফতরে প্রথম ফোন আসে। সঙ্গে সঙ্গে তিনটি ইঞ্জিন পাঠানো হয়। পরে আরও ২০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। রাত তিনটায় ফিরহাদ হাকিম ফোন করে ঘটনাস্থলে যান। আমি নিজে সকাল ছটার মধ্যে পৌঁছে যাই। দমকলের ডিরেক্টর, ডেপুটি ডিরেক্টর-সহ পদস্থ আধিকারিকরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘দমকল, পুরসভা এবং পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী প্রায় ৭০০ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যারা বলছেন দমকল দেরিতে পৌঁছেছে বা গাড়িতে জল ছিল না, তাঁরা ভুল তথ্য দিচ্ছেন। ফায়ার ব্রিগেডের ইঞ্জিনে জল ছিল।

আরও পড়ুন: হাওয়াই চটি এত পছন্দ হলে দোকান খুলুন- বিধানসভায় নাম না করে সুকান্তকে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর

আমি গত ছয় বছরে প্রায় ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রেই ঘটনাস্থলে নিজে উপস্থিত থেকেছি। রেল ভবনে আগুনে চারজন দমকলকর্মী শহিদ হয়েছিলেন। আমাদের কর্মীরা সেনার মতোই সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করেন। তাই অনুরোধ করব, দমকল নিয়ে মন্তব্য করার আগে একবার ভেবে বলুন।’

আরও পড়ুন: সুনীতা উইলিয়ামসকে ‘ভারতরত্ন’ দেওয়া হোক, বিধানসভায় দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

প্রসঙ্গত, সোমবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ খিদিরপুর বাজারে ভয়াবহ আগুন লাগে। মূলত বাজার চত্বরের গুদামগুলিই আগুনের গ্রাসে পড়ে। অভিযোগ, দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় নেয়।

আরও পড়ুন: কন্যাশ্রী প্রকল্পে ২০২১-এ ৭২ লক্ষ ৪২ হাজার কন্যা সুবিধা পেয়েছে!

জায়গাটি অতি ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় আগুনের মূল কেন্দ্রে পৌঁছতে বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিসকে। একে একে ২২টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও ভিতরের পকেট ফায়ার নিভাতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। প্রায় ১,৩০০টি দোকান ও গুদাম পুড়ে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।