০১ নভেম্বর ২০২৫, শনিবার, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

Gaza: ইসরাইলি হামলায় ১০ দিনেই ৩২২ শিশুর মৃত্যু

সুস্মিতা
  • আপডেট : ২ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার
  • / 336

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার (Gaza) একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলের বর্বর বাহিনী। এ হামলায় শিশু থেকে বৃদ্ধা কেউ রেহাই পায়নি। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলায় গত ১০ দিনেই কমপক্ষে ৩২২ শিশু নিহত হয়েছে। এছাড়া এসব হামলায় আহত হয়েছে আরও ৬০৯ জন শিশু। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০০ জন শিশু নিহত বা পঙ্গু হয়েছে।

আরও পড়ুন: Gaza-র হাসপাতালে ফের বিমান হামলা, হামাস কমান্ডার-সহ মৃত ৫১

আরও পড়ুন: গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরাইল, নিহত ১১ ফিলিস্তিনি

সোমবার ইউনিসেফ জানিয়েছে, ২৩ মার্চ দক্ষিণ গাজার আল নাসের হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে হামলায় শিশুদের হতাহতের ঘটনা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বোমা হামলার শিকার শিশুদের বেশিরভাগই বাস্তুচ্যুত হয়ে অস্থায়ী তাঁবুতে বা ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল।

আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে গাজাবাসীর আনন্দ, তবে আছে উৎকণ্ঠাও

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিন রাসেল বলেছেন, ‘গাজায় (Gaza) যুদ্ধবিরতি শিশুদের জন্য একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জীবনরেখা এবং তাদের পুনরুদ্ধারের পথের আশার বাণী। কিন্তু শিশুদের আবারও মারাত্মক সহিংসতা এবং বঞ্চনার চক্রে নিমজ্জিত করা হলো।’ এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের সুরক্ষার জন্য সকল পক্ষকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

আরও পড়ুন: কে রুখবে নেতানিয়াহুকে? ট্রাম্পের শান্তি আহ্বান অগ্রাহ্য করে গাজায় ইসরাইলের ভয়াবহ হামলা, নিহত ৭০

আরও পড়ুন: ‘সবে শুরু’ গাজাকে হুমকি নেতানিয়াহুর, ফের কি জোরদার হামলা!

ইউনিসেফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রায় ১৮ মাস ধরে চলা যুদ্ধে ১৫ হাজারের বেশি শিশু নিহত হয়েছে। ৩৪ হাজারের বেশি আহত হয়েছে। প্রায় দশ লক্ষ শিশু বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিশুদের সুরক্ষা ও সহায়তা করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে; কিন্তু শত শত সাহায্য কর্মীকে হত্যা এবং আহত করার মতো আক্রমণের মুখোমুখি হচ্ছে। এই আক্রমণগুলি আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন। গত ২ মার্চ থেকে গাজায় (Gaza) কোনও সাহায্য প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ায় খাদ্য, নিরাপদ পানি, আশ্রয় এবং চিকিৎসা সেবা ক্রমশ দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনীয় সরবরাহ করতে পারছে না। ফলে অপুষ্টি, রোগ এবং অন্যান্য প্রতিরোধযোগ্য পরিস্থিতি সম্ভবত বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে প্রতিরোধযোগ্য শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।‘

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

Gaza: ইসরাইলি হামলায় ১০ দিনেই ৩২২ শিশুর মৃত্যু

আপডেট : ২ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার (Gaza) একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলের বর্বর বাহিনী। এ হামলায় শিশু থেকে বৃদ্ধা কেউ রেহাই পায়নি। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলায় গত ১০ দিনেই কমপক্ষে ৩২২ শিশু নিহত হয়েছে। এছাড়া এসব হামলায় আহত হয়েছে আরও ৬০৯ জন শিশু। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০০ জন শিশু নিহত বা পঙ্গু হয়েছে।

আরও পড়ুন: Gaza-র হাসপাতালে ফের বিমান হামলা, হামাস কমান্ডার-সহ মৃত ৫১

আরও পড়ুন: গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরাইল, নিহত ১১ ফিলিস্তিনি

সোমবার ইউনিসেফ জানিয়েছে, ২৩ মার্চ দক্ষিণ গাজার আল নাসের হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে হামলায় শিশুদের হতাহতের ঘটনা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বোমা হামলার শিকার শিশুদের বেশিরভাগই বাস্তুচ্যুত হয়ে অস্থায়ী তাঁবুতে বা ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল।

আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে গাজাবাসীর আনন্দ, তবে আছে উৎকণ্ঠাও

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিন রাসেল বলেছেন, ‘গাজায় (Gaza) যুদ্ধবিরতি শিশুদের জন্য একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জীবনরেখা এবং তাদের পুনরুদ্ধারের পথের আশার বাণী। কিন্তু শিশুদের আবারও মারাত্মক সহিংসতা এবং বঞ্চনার চক্রে নিমজ্জিত করা হলো।’ এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের সুরক্ষার জন্য সকল পক্ষকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

আরও পড়ুন: কে রুখবে নেতানিয়াহুকে? ট্রাম্পের শান্তি আহ্বান অগ্রাহ্য করে গাজায় ইসরাইলের ভয়াবহ হামলা, নিহত ৭০

আরও পড়ুন: ‘সবে শুরু’ গাজাকে হুমকি নেতানিয়াহুর, ফের কি জোরদার হামলা!

ইউনিসেফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রায় ১৮ মাস ধরে চলা যুদ্ধে ১৫ হাজারের বেশি শিশু নিহত হয়েছে। ৩৪ হাজারের বেশি আহত হয়েছে। প্রায় দশ লক্ষ শিশু বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিশুদের সুরক্ষা ও সহায়তা করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে; কিন্তু শত শত সাহায্য কর্মীকে হত্যা এবং আহত করার মতো আক্রমণের মুখোমুখি হচ্ছে। এই আক্রমণগুলি আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন। গত ২ মার্চ থেকে গাজায় (Gaza) কোনও সাহায্য প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ায় খাদ্য, নিরাপদ পানি, আশ্রয় এবং চিকিৎসা সেবা ক্রমশ দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনীয় সরবরাহ করতে পারছে না। ফলে অপুষ্টি, রোগ এবং অন্যান্য প্রতিরোধযোগ্য পরিস্থিতি সম্ভবত বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে প্রতিরোধযোগ্য শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।‘