ঘূর্ণাবর্ত-মৌসুমি অক্ষরেখার প্রভাবে উত্তরবঙ্গে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস

- আপডেট : ৩ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার
- / 11
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ঘূর্ণাবর্ত এবং মৌসুমি অক্ষরেখার যুগল প্রভাবে উত্তরবঙ্গে ফের ভারী বর্ষণের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বর্তমানে ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে বিহার সংলগ্ন এলাকা ও সিকিমের উপরে, অন্যদিকে মৌসুমি অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে মুজফ্ফরপুর, পূর্ণিয়া হয়ে বহরমপুরের উপর দিয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গে সাময়িক বিরতি মিললেও উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির দাপট বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের মতে, সপ্তাহের শুরুতে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও উচ্চ আর্দ্রতার কারণে অস্বস্তি থাকবে। আজ রবিবার ও কাল সোমবার বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, দুই বর্ধমান, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিক্ষিপ্ত বজ্রবিদ্যুৎ–সহ মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। আকাশ থাকবে মেঘাচ্ছন্ন।
হাওয়া অফিসের অনুমান, মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কমতে শুরু করবে এবং আকাশ পরিষ্কার থাকবে। তবে বাড়বে গরম ও ভ্যাপসা ভাব। বৃহস্পতিবার থেকে ফের এক দফা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং শুক্রবার প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ–সহ বৃষ্টি হতে পারে। কলকাতায় বুধবার পর্যন্ত তেমন বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকায় তাপমাত্রা বাড়বে এবং বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকবে।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া পরিস্থিতিতে বিশেষ পরিবর্তন নেই। আজ রবিবার ও সোমবার জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুরে অতিবৃষ্টির সতর্কতা জারি রয়েছে। মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎ–সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। পাহাড়ি জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির কারণে ধসের আশঙ্কা রয়েছে এবং নদীগুলির জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
টানা বৃষ্টিতে তিস্তা, তোর্সা এবং জলঢাকা নদীর জলস্তর ইতিমধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে। পাহাড়ি এলাকার জলস্ফীতির প্রভাবে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে ধসের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। নদীবক্ষে ও নিচু এলাকায় বসবাসকারী বাসিন্দাদের জন্য জেলা প্রশাসন সতর্কবার্তা জারি করেছে।