২১ জুন ২০২৫, শনিবার, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাপমুক্ত হয়ে আনন্দে খেলতেই অধিনায়কত্ব ছাড়ি: বিরাট

আফিয়া‌‌ নৌশিন
  • আপডেট : ৬ মে ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 112

পুবের কলম  ওয়েবডেস্ক : একই সঙ্গে টি-২০ ও আইপিএল অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন বিরাট কোহলি। ২০২১ সালে টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের ভরাডুবির পর সীমিত ওভারের এই সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটের ক্যাপ্টেনসি ছেড়েছিলেন বিরাট। একই বছরে আইপিএলের অধিনায়কত্ব ছেড়ে ডুপ্লেসিসের হাতে তুলে দিয়েছিলেন তিনি। ঠিক টার পরের বছরেই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর টেস্ট ক্যাপ্টেনসি থেকেও বিদায় নিয়েছিলেন বিরাট।

অনেকেই অনেক কারণ দেখিয়েছিলেন বিরাটের ক্যাপ্টেনসি ছাড়ার পিছনে। বিরাট কোহলি এতদিনে নিজের ক্যাপ্টেনসি ছাড়ার ব্যাখ্যা দিলেন। এক সাক্ষাৎকারে বিরাট জানিয়েছেন, ‘আমি চাপমুক্ত হয়ে নিজের খেলাটা খেলে যেতে চেয়েছিলাম। তিন ফরম্যাটের ক্যাপ্টেনসি কেন, একটি ফরম্যাটের ক্যাপ্টেন থাকলেও সেই জায়গায় আমার একটু সমস্যা হচ্ছিল। নিজের খেলায় মনোযোগ দিতে অসুবিধে হচ্ছিল। ক্যাপ্টেনসি ছাড়লে কি হবে, এসব নিয়ে ভাবিনি। সরাসরি নিজের ক্যাপ্টেনসি ছেড়ে দিয়েছি।’

আরও পড়ুন: এবার টেস্ট ক্রিকেট চার দিনের, ব্যতিক্রম ভারত, অষ্ট্রেলিয়ার

বিরাট আরও বলেন, ‘একটা সময় আমার কাছে ক্রিকেটটা খুব কঠিন একটা জায়গায় চলে গিয়েছিল। ভারতীয় দলের হয়ে ৭-৮ বছর অধিনায়কত্ব করেছি। রানও করেছি। কিন্তু কোথাও একটা গিয়ে সেটা আমার পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলছিল। আরসিবির হয়ে ৯ বছর ক্যাপ্টেনসি করেছি। আমার কাছ থেকে সবাই অনেক প্রত্যাশা করেছেন। এটাই একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল।’ বিরাট বলে চলেন, ‘প্রতি ম্যাচে রান পাব, এমনটা তো নয়। কিন্তু সবাই আমার কাছ থেকে ক্যাপ্টেন হিসেবে জয় যেমন প্রত্যাশা করে যাচ্ছিলেন, তেমনই চাইছিলেন প্রতি ম্যাচেই আমি যেন রান পাই। এই প্রত্যাশার পাহাড় প্রমাণ চাপ আমি কেন, যেকোনও ক্রিকেটারের পক্ষেই খুব সমস্যার।’

আরও পড়ুন: লন্ডনে বিরাটের বাড়িতে পন্থ সিরাজরা

নিজের ব্যক্তিগত জীবনের ওপরও যে তার প্রভাব পড়ছিল, সেটা বলতে গিয়ে বিরাট বলেন, ‘ক্যাপ্টেনসি ও পারফরম্যান্সের চাপ আমার ব্যক্তিগত জীবনেও প্রভাব ফেলেছে। ২৪টা ঘন্টাই আমার ওপরই নজর থাকত। যেটা আমার ব্যাটিংয়েও খারাপ প্রভাব ফেলছিল। এই কারণেই আমি সব ক্যাপ্টেনসি থেকে সরে এসেছিলাম। আমি আসলে নিজেকে নিজের জায়গায় রাখতে চাইছিলাম। একটু আন¨ে খেলতে চাইছিলাম।’
পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনেও একটু জায়গা দিতে চেয়েছিলেন বিরাট। সেটা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিজের জীবনেও একটা জায়গা পেতে চেয়েছিলাম, নিজেকে সঠিক বিচার করতে চেয়েছিলাম।’ একইসঙ্গে বিরাটের সংযোজন, ‘নিজের তিন নম্বর জায়গাটা পাকা রাখতেই আমাকে এই কঠিন সিদ্ধান্তটা নিতে হয়েছিল। গ্যারি কার্স্টেন ও ধোনির পরামর্শেই আমি তিন নম্বরে খেলা শুরু করি। তারাই আমাকে এই জায়গাটা তৈরি করে দিয়েছিলেন। সেই জায়গাটা হারাতে চাইনি।’

আরও পড়ুন: টেস্ট থেকে অবসরের সিদ্ধান্তের পথে বিরাট

শুধু ব্যাটিং নয়, ফিল্ডিংয়েও জোর দিতে চেয়েছিলেন বিরাট। বললেন, ‘মাঠে একজন প্লেয়ার কতটা নিজেকে নিংড়ে দিতে পারে, সেটাও এখানে বিষয় হয়। আর সেই বিষয়টাই মাথায় রেখে আমি অধিনায়কত্ব ছাড়তে চাইছিলাম। কারণ নিজের শারীরিক ফিটনেসেও ক্যাপ্টেনসি বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল।’ বিরাটের কথায়, ‘যখন কোনও স্নায়ুর দুর্বলতা থাকবে না, তখন একজন ক্রিকেটার নিজের একশো শতাংশ দিতে পারে। অধিনায়কত্ব সেখানে একটা বাধা হচ্ছিল। সে জন্যেও আমাকে ক্যাপ্টেনসি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

চাপমুক্ত হয়ে আনন্দে খেলতেই অধিনায়কত্ব ছাড়ি: বিরাট

আপডেট : ৬ মে ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম  ওয়েবডেস্ক : একই সঙ্গে টি-২০ ও আইপিএল অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন বিরাট কোহলি। ২০২১ সালে টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের ভরাডুবির পর সীমিত ওভারের এই সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটের ক্যাপ্টেনসি ছেড়েছিলেন বিরাট। একই বছরে আইপিএলের অধিনায়কত্ব ছেড়ে ডুপ্লেসিসের হাতে তুলে দিয়েছিলেন তিনি। ঠিক টার পরের বছরেই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর টেস্ট ক্যাপ্টেনসি থেকেও বিদায় নিয়েছিলেন বিরাট।

অনেকেই অনেক কারণ দেখিয়েছিলেন বিরাটের ক্যাপ্টেনসি ছাড়ার পিছনে। বিরাট কোহলি এতদিনে নিজের ক্যাপ্টেনসি ছাড়ার ব্যাখ্যা দিলেন। এক সাক্ষাৎকারে বিরাট জানিয়েছেন, ‘আমি চাপমুক্ত হয়ে নিজের খেলাটা খেলে যেতে চেয়েছিলাম। তিন ফরম্যাটের ক্যাপ্টেনসি কেন, একটি ফরম্যাটের ক্যাপ্টেন থাকলেও সেই জায়গায় আমার একটু সমস্যা হচ্ছিল। নিজের খেলায় মনোযোগ দিতে অসুবিধে হচ্ছিল। ক্যাপ্টেনসি ছাড়লে কি হবে, এসব নিয়ে ভাবিনি। সরাসরি নিজের ক্যাপ্টেনসি ছেড়ে দিয়েছি।’

আরও পড়ুন: এবার টেস্ট ক্রিকেট চার দিনের, ব্যতিক্রম ভারত, অষ্ট্রেলিয়ার

বিরাট আরও বলেন, ‘একটা সময় আমার কাছে ক্রিকেটটা খুব কঠিন একটা জায়গায় চলে গিয়েছিল। ভারতীয় দলের হয়ে ৭-৮ বছর অধিনায়কত্ব করেছি। রানও করেছি। কিন্তু কোথাও একটা গিয়ে সেটা আমার পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলছিল। আরসিবির হয়ে ৯ বছর ক্যাপ্টেনসি করেছি। আমার কাছ থেকে সবাই অনেক প্রত্যাশা করেছেন। এটাই একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল।’ বিরাট বলে চলেন, ‘প্রতি ম্যাচে রান পাব, এমনটা তো নয়। কিন্তু সবাই আমার কাছ থেকে ক্যাপ্টেন হিসেবে জয় যেমন প্রত্যাশা করে যাচ্ছিলেন, তেমনই চাইছিলেন প্রতি ম্যাচেই আমি যেন রান পাই। এই প্রত্যাশার পাহাড় প্রমাণ চাপ আমি কেন, যেকোনও ক্রিকেটারের পক্ষেই খুব সমস্যার।’

আরও পড়ুন: লন্ডনে বিরাটের বাড়িতে পন্থ সিরাজরা

নিজের ব্যক্তিগত জীবনের ওপরও যে তার প্রভাব পড়ছিল, সেটা বলতে গিয়ে বিরাট বলেন, ‘ক্যাপ্টেনসি ও পারফরম্যান্সের চাপ আমার ব্যক্তিগত জীবনেও প্রভাব ফেলেছে। ২৪টা ঘন্টাই আমার ওপরই নজর থাকত। যেটা আমার ব্যাটিংয়েও খারাপ প্রভাব ফেলছিল। এই কারণেই আমি সব ক্যাপ্টেনসি থেকে সরে এসেছিলাম। আমি আসলে নিজেকে নিজের জায়গায় রাখতে চাইছিলাম। একটু আন¨ে খেলতে চাইছিলাম।’
পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনেও একটু জায়গা দিতে চেয়েছিলেন বিরাট। সেটা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিজের জীবনেও একটা জায়গা পেতে চেয়েছিলাম, নিজেকে সঠিক বিচার করতে চেয়েছিলাম।’ একইসঙ্গে বিরাটের সংযোজন, ‘নিজের তিন নম্বর জায়গাটা পাকা রাখতেই আমাকে এই কঠিন সিদ্ধান্তটা নিতে হয়েছিল। গ্যারি কার্স্টেন ও ধোনির পরামর্শেই আমি তিন নম্বরে খেলা শুরু করি। তারাই আমাকে এই জায়গাটা তৈরি করে দিয়েছিলেন। সেই জায়গাটা হারাতে চাইনি।’

আরও পড়ুন: টেস্ট থেকে অবসরের সিদ্ধান্তের পথে বিরাট

শুধু ব্যাটিং নয়, ফিল্ডিংয়েও জোর দিতে চেয়েছিলেন বিরাট। বললেন, ‘মাঠে একজন প্লেয়ার কতটা নিজেকে নিংড়ে দিতে পারে, সেটাও এখানে বিষয় হয়। আর সেই বিষয়টাই মাথায় রেখে আমি অধিনায়কত্ব ছাড়তে চাইছিলাম। কারণ নিজের শারীরিক ফিটনেসেও ক্যাপ্টেনসি বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল।’ বিরাটের কথায়, ‘যখন কোনও স্নায়ুর দুর্বলতা থাকবে না, তখন একজন ক্রিকেটার নিজের একশো শতাংশ দিতে পারে। অধিনায়কত্ব সেখানে একটা বাধা হচ্ছিল। সে জন্যেও আমাকে ক্যাপ্টেনসি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’