০১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাওড়ার শ্যামপুরে মেয়ের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় বাবাকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ, মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২৪ জানুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 45

প্রতীকী ছবি

 

 

আরও পড়ুন: গান্ধি পরিবারের নির্দিষ্ট কোনও ধর্ম নেই: বিজেপি মন্ত্রী

 

আরও পড়ুন: ১৫ বছর ধরে হাজীদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত বাবা এবং মেয়ে  

 

আরও পড়ুন: নাবালিকার সঙ্গে প্রেম, মুসলিম যুবককে পিটিয়ে খুন প্রেমিকার বাবার

 

আইভি আদক, হাওড়া: হাওড়ার শ্যামপুরে মেয়ের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় বাবাকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ। মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার শ্যামপুরে। দুষ্কৃতিদের মারে জখম ব্যক্তিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃতের নাম গণেশ মন্ডলের( ৩৫)। শ্যামপুরের নস্করপুরে। রবিবার রাতে ওই ঘটনা ঘটে। সোমবার গণেশ মন্ডল মারা যান। মৃতের পরিবারের দাবি, মৃত গণেশ মন্ডলের মেয়ে যখন সাইকেল নিয়ে টিউশন পড়ে ফিরছিল সেই সময় পাড়ারই দুই যুবক তার পথ আটকে সম্মানহানি করার চেষ্টা করে। খবর পেয়েই সেখানে ছুটে আসে তার বাবা গণেশ মণ্ডল। অভিযোগ তারপরই তাকে অন্যত্র টেনে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে দুই দুষ্কৃতী। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে শ্যামপুরের গ্রামীণ হাসপাতাল এবং পরে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার পরই সোমবার বিকেলে শ্যামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার

করেছে পুলিশ। বাকি অভিযুক্ত পলাতক। পুলিশ জানিয়েছে, ২৩ তারিখ সোমবার বিকেল ৩টায় ওসি শ্যামপুর পিএস এক লিখিত অভিযোগ পান যে ২২ তারিখে প্রায় রাত ৯টায় যখন অভিযোগকারীর পনেরো বছর বয়সী নাবালিকা মেয়ে টিউশন থেকে বাড়ি ফিরছিলেন সে সময় স্থানীয় দুই ছেলে তাকে উত্ত্যক্ত করে।  তার বাবা সেখানে এসে তাদের আটকানোর চেষ্টা করলে তাকে মারধর করে ওই দুই অভিযুক্ত ব্যক্তি। এই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শ্যামপুর পিএস মামলা নং 38/23, তারিখ 23/01/2023 U/s 341/325/308/34 IPC এবং ধারা 8 POCSO আইন দুই অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে।  শ্যামপুর থানায় উল্লিখিত এফআইআর দায়ের করার পরে অভিযোগকারীর স্বামী গভীর রাতে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে হাসপাতালে মারা যান। তদন্ত চলাকালীন এক এফআইআর নামে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। খুনের জন্য ধারা অর্থাৎ ধারা ৩০২  আইপিসি আইনের মূল ধারাগুলির সাথে যুক্ত করা হবে। বাকি এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হাওড়ার শ্যামপুরে মেয়ের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় বাবাকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ, মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা

আপডেট : ২৪ জানুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার

 

 

আরও পড়ুন: গান্ধি পরিবারের নির্দিষ্ট কোনও ধর্ম নেই: বিজেপি মন্ত্রী

 

আরও পড়ুন: ১৫ বছর ধরে হাজীদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত বাবা এবং মেয়ে  

 

আরও পড়ুন: নাবালিকার সঙ্গে প্রেম, মুসলিম যুবককে পিটিয়ে খুন প্রেমিকার বাবার

 

আইভি আদক, হাওড়া: হাওড়ার শ্যামপুরে মেয়ের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় বাবাকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ। মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার শ্যামপুরে। দুষ্কৃতিদের মারে জখম ব্যক্তিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃতের নাম গণেশ মন্ডলের( ৩৫)। শ্যামপুরের নস্করপুরে। রবিবার রাতে ওই ঘটনা ঘটে। সোমবার গণেশ মন্ডল মারা যান। মৃতের পরিবারের দাবি, মৃত গণেশ মন্ডলের মেয়ে যখন সাইকেল নিয়ে টিউশন পড়ে ফিরছিল সেই সময় পাড়ারই দুই যুবক তার পথ আটকে সম্মানহানি করার চেষ্টা করে। খবর পেয়েই সেখানে ছুটে আসে তার বাবা গণেশ মণ্ডল। অভিযোগ তারপরই তাকে অন্যত্র টেনে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে দুই দুষ্কৃতী। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে শ্যামপুরের গ্রামীণ হাসপাতাল এবং পরে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার পরই সোমবার বিকেলে শ্যামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার

করেছে পুলিশ। বাকি অভিযুক্ত পলাতক। পুলিশ জানিয়েছে, ২৩ তারিখ সোমবার বিকেল ৩টায় ওসি শ্যামপুর পিএস এক লিখিত অভিযোগ পান যে ২২ তারিখে প্রায় রাত ৯টায় যখন অভিযোগকারীর পনেরো বছর বয়সী নাবালিকা মেয়ে টিউশন থেকে বাড়ি ফিরছিলেন সে সময় স্থানীয় দুই ছেলে তাকে উত্ত্যক্ত করে।  তার বাবা সেখানে এসে তাদের আটকানোর চেষ্টা করলে তাকে মারধর করে ওই দুই অভিযুক্ত ব্যক্তি। এই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শ্যামপুর পিএস মামলা নং 38/23, তারিখ 23/01/2023 U/s 341/325/308/34 IPC এবং ধারা 8 POCSO আইন দুই অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে।  শ্যামপুর থানায় উল্লিখিত এফআইআর দায়ের করার পরে অভিযোগকারীর স্বামী গভীর রাতে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে হাসপাতালে মারা যান। তদন্ত চলাকালীন এক এফআইআর নামে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। খুনের জন্য ধারা অর্থাৎ ধারা ৩০২  আইপিসি আইনের মূল ধারাগুলির সাথে যুক্ত করা হবে। বাকি এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।