২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সন্তানের আশায় তান্ত্রিকের নির্দেশে গৃহবধূকে কবরস্থানে নিয়ে গিয়ে খাওয়ানো হল মানুষের হাড়ের গুঁড়ো

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২১ জানুয়ারী ২০২৩, শনিবার
  • / 30

REPRESENTATIVE IMAGE

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: এই আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞানের যুগে এখনও কুসংস্কারে ডুবে আছে সমাজ। নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এখনও বিভিন্ন সাধু,তান্ত্রিকের শরণাপন্ন হয় সমাজের এক শ্রেণীর মানুষ। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল  মহারাষ্ট্রের পুণে।

উল্লেখ্য,  সন্তান লাভের আশায় গৃহবধূকে জোর করে মানুষের হাড়ের গুড়ো খাওয়ানোর অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। গত বুধবার স্থানীয় থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন ওই বধূ। মোট সাত সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

মহিলার অভিযোগ, সন্তান লাভের জন্য স্থানীয় এক তান্ত্রিকের কথাতেই তাঁকে জোর করে মানুষের হাড়ের গুড়ো খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয়। এমনকি ২০১৯ সালে বিয়ের পর থেকেই  নানাভাবে পণ চেয়ে তাঁর উপর অত্যাচার করা হত। সোনা, রুপোর গয়নার পাশাপাশি চাওয়া হত নগদ টাকাও। আর সন্তান না জন্মানোয় সেই অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। সবশেষে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি।

শুধু তাই নয়, অভিযোগকারিণী আরও জানান, অভিযুক্ত তান্ত্রিকের পরামর্শে তাঁকে মহারাষ্ট্রের কোঙ্কণ অঞ্চলের একটি কবরস্থানে নিয়ে গিয়ে সেখানে একটি জলপ্রপাতের নীচে কালো জাদুবিদ্যা করে অস্থিচূর্ণ  খাওয়ানো হয়। সেই সময় ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে ওই তান্ত্রিক শ্বশুরবাড়ি সদস্যদের পুরো ঘটনার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন বলেও অভিযোগ করেন ওই মহিলা। কালো জাদুর মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হবে বলে বিশ্বাস করত তারা।

এই প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের দেওয়া সাক্ষাৎকারে,  পুণের সিটি পুলিশ সুহেল শর্মা জানিয়েছেন,  ‘‘কালো জাদুবিদ্যা নিয়ে চর্চা করার জন্য এবং ওই গৃহবধূর ওপর অমানবিক ব্যবহারের জন্য ৭ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে। “পুলিশ আইপিসির ৪৯৮ এ, ৩২৩, ৫০৪, ৫০৬ ধারার সঙ্গে  কুসংস্কার বিরোধী আইনের (মহারাষ্ট্র প্রতিরোধ এবং মানব বলিদানের নির্মূল এবং অন্যান্য) ধারা ৩ এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করেছে। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সমস্ত ঘটনা  খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সন্তানের আশায় তান্ত্রিকের নির্দেশে গৃহবধূকে কবরস্থানে নিয়ে গিয়ে খাওয়ানো হল মানুষের হাড়ের গুঁড়ো

আপডেট : ২১ জানুয়ারী ২০২৩, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: এই আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞানের যুগে এখনও কুসংস্কারে ডুবে আছে সমাজ। নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এখনও বিভিন্ন সাধু,তান্ত্রিকের শরণাপন্ন হয় সমাজের এক শ্রেণীর মানুষ। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল  মহারাষ্ট্রের পুণে।

উল্লেখ্য,  সন্তান লাভের আশায় গৃহবধূকে জোর করে মানুষের হাড়ের গুড়ো খাওয়ানোর অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। গত বুধবার স্থানীয় থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন ওই বধূ। মোট সাত সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

মহিলার অভিযোগ, সন্তান লাভের জন্য স্থানীয় এক তান্ত্রিকের কথাতেই তাঁকে জোর করে মানুষের হাড়ের গুড়ো খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয়। এমনকি ২০১৯ সালে বিয়ের পর থেকেই  নানাভাবে পণ চেয়ে তাঁর উপর অত্যাচার করা হত। সোনা, রুপোর গয়নার পাশাপাশি চাওয়া হত নগদ টাকাও। আর সন্তান না জন্মানোয় সেই অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। সবশেষে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি।

শুধু তাই নয়, অভিযোগকারিণী আরও জানান, অভিযুক্ত তান্ত্রিকের পরামর্শে তাঁকে মহারাষ্ট্রের কোঙ্কণ অঞ্চলের একটি কবরস্থানে নিয়ে গিয়ে সেখানে একটি জলপ্রপাতের নীচে কালো জাদুবিদ্যা করে অস্থিচূর্ণ  খাওয়ানো হয়। সেই সময় ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে ওই তান্ত্রিক শ্বশুরবাড়ি সদস্যদের পুরো ঘটনার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন বলেও অভিযোগ করেন ওই মহিলা। কালো জাদুর মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হবে বলে বিশ্বাস করত তারা।

এই প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের দেওয়া সাক্ষাৎকারে,  পুণের সিটি পুলিশ সুহেল শর্মা জানিয়েছেন,  ‘‘কালো জাদুবিদ্যা নিয়ে চর্চা করার জন্য এবং ওই গৃহবধূর ওপর অমানবিক ব্যবহারের জন্য ৭ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে। “পুলিশ আইপিসির ৪৯৮ এ, ৩২৩, ৫০৪, ৫০৬ ধারার সঙ্গে  কুসংস্কার বিরোধী আইনের (মহারাষ্ট্র প্রতিরোধ এবং মানব বলিদানের নির্মূল এবং অন্যান্য) ধারা ৩ এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করেছে। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সমস্ত ঘটনা  খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।