১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কৃষি আইন তো প্রত্যাহার হল, এবার সিএএ প্রত্যাহারে কেন্দ্রের কাছে আবেদন মুসলিম নেতাদের

পুবের কলম
  • আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২১, শুক্রবার
  • / 25

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করার পরে মুসলিম নেতারা শুক্রবার বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের দাবি জানালেন।কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে মূলত পঞ্জাব,হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা আন্দোলন করছেন।সিসিএএ-র বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল গোটা দেশের মুসলিমরা। কিন্তু তাতে আমলই দেয়নি কেন্দ্র। এটিকে কেবল মুসলিমদের সমস্যা মনে করে উদাসীনতা দেখানো হয়েছে।দেখানো হয়েছে বৈষম্য। এমনটাই অভিযোগ।

জামাত-ই-ইসলামী হিন্দ-এর সভাপতি সৈয়দ সাদাতুল্লাহ হুসাইনি, বলেছেন: “আমরা এখন সরকারকে অন্যান্য জনবিরোধী এবং সংবিধান বিরোধী আইন যেমন সিএএ-এনআরসির দিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা আনন্দিত যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শেষ পর্যন্ত কৃষকদের দাবি মেনে নিয়েছেন। এটা আগে করা হলে বহু লোকসান এড়ানো যেত।

আরও পড়ুন: বিতানের স্ত্রী সোহিনীকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দিল কেন্দ্র

তিনটি কৃষি আইন বাতিল করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন জমিয়তে উলামা-ই-হিন্দের প্রধান আরশাদ মাদানি। একটি বিবৃতিতে তিনি বলেছেন: ”সরকারের উচিত এখনই সিএএ প্রত্যাহার করা । আমাদের উচিত কৃষকদের অভিনন্দন জানানো।তারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন ।দেশের অন্যান্য আন্দোলনের মতো কৃষক আন্দোলনকেও দমন করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে।কৃষকদের বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কিন্তু তারা সব ধরনের ত্যাগ স্বীকার করে নিজেদের অবস্থানে অটল থেকেছেন।তিনি আরও বলেন, “আবারও সত্য সামনে এল। ন্যায়সঙ্গত উদ্দেশ্যে সততা ও ধৈর্যের সঙ্গে আন্দোলন চালালে একদিন সফলতা আসবেই।”

আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের হিজাব খুলতে বাধ্য করার অভিযোগ

আরশাদ মাদানী এও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে আমাদের দেশের কাঠামো গণতান্ত্রিক। এখন তাঁর উচিত মুসলিমদের বিষয়ে যে আইন আনা হয়েছে তার প্রতি মনোযোগ দেওয়া। কৃষি আইনের মতো সিএএও প্রত্যাহার করা উচিত।”

আরও পড়ুন: রাজস্থান বিধানসভায় ধর্মান্তর বিরোধী বিল পেশ বিজেপি সরকারের

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কৃষি আইন তো প্রত্যাহার হল, এবার সিএএ প্রত্যাহারে কেন্দ্রের কাছে আবেদন মুসলিম নেতাদের

আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২১, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করার পরে মুসলিম নেতারা শুক্রবার বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের দাবি জানালেন।কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে মূলত পঞ্জাব,হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা আন্দোলন করছেন।সিসিএএ-র বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল গোটা দেশের মুসলিমরা। কিন্তু তাতে আমলই দেয়নি কেন্দ্র। এটিকে কেবল মুসলিমদের সমস্যা মনে করে উদাসীনতা দেখানো হয়েছে।দেখানো হয়েছে বৈষম্য। এমনটাই অভিযোগ।

জামাত-ই-ইসলামী হিন্দ-এর সভাপতি সৈয়দ সাদাতুল্লাহ হুসাইনি, বলেছেন: “আমরা এখন সরকারকে অন্যান্য জনবিরোধী এবং সংবিধান বিরোধী আইন যেমন সিএএ-এনআরসির দিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা আনন্দিত যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শেষ পর্যন্ত কৃষকদের দাবি মেনে নিয়েছেন। এটা আগে করা হলে বহু লোকসান এড়ানো যেত।

আরও পড়ুন: বিতানের স্ত্রী সোহিনীকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দিল কেন্দ্র

তিনটি কৃষি আইন বাতিল করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন জমিয়তে উলামা-ই-হিন্দের প্রধান আরশাদ মাদানি। একটি বিবৃতিতে তিনি বলেছেন: ”সরকারের উচিত এখনই সিএএ প্রত্যাহার করা । আমাদের উচিত কৃষকদের অভিনন্দন জানানো।তারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন ।দেশের অন্যান্য আন্দোলনের মতো কৃষক আন্দোলনকেও দমন করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে।কৃষকদের বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কিন্তু তারা সব ধরনের ত্যাগ স্বীকার করে নিজেদের অবস্থানে অটল থেকেছেন।তিনি আরও বলেন, “আবারও সত্য সামনে এল। ন্যায়সঙ্গত উদ্দেশ্যে সততা ও ধৈর্যের সঙ্গে আন্দোলন চালালে একদিন সফলতা আসবেই।”

আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের হিজাব খুলতে বাধ্য করার অভিযোগ

আরশাদ মাদানী এও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে আমাদের দেশের কাঠামো গণতান্ত্রিক। এখন তাঁর উচিত মুসলিমদের বিষয়ে যে আইন আনা হয়েছে তার প্রতি মনোযোগ দেওয়া। কৃষি আইনের মতো সিএএও প্রত্যাহার করা উচিত।”

আরও পড়ুন: রাজস্থান বিধানসভায় ধর্মান্তর বিরোধী বিল পেশ বিজেপি সরকারের