মুখ পুড়ল পদ্ম শিবিরের, বিনা বাধায় সঞ্চালক পদে দায়িত্ব নিলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা কল্পনা

- আপডেট : ১৭ জানুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার
- / 4
শুভজিৎ দেবনাথ, গয়েরকাটা:: দলের ভিতরে অন্তর্ঘাত! সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও ফের বিজেপির হাতছাড়া হল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ- সমিতির সঞ্চালক । এ যেন ঘর শত্রু বিভীষণ বিজেপির এক পঞ্চায়েত সদস্যা। বিজেপির টিকিটে জয়লাভ করেও দলীয় নির্দেশ অমান্য করে তৃণমূলকে সঞ্চালক গঠন করতে সাহায্য করলেন।
গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ- সমিতির সঞ্চালক পদের ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করলেন না বিজেপির এক পঞ্চায়েত সদস্যা। সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও গঠন করতে পারল না সঞ্চালক। ফের ছিনিয়ে নিল তৃণমূল কংগ্রেস।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ডুয়ার্সে কার্যত মুখ পুড়ল গেরুয়া শিবিরের। নির্বাধায় সঞ্চালক পদে দায়িত্ব নিলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা কল্পনা মন্ডল।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বানারহাটের সাঁকোয়াঝোরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ- সমিতির নারী ও শিশু কল্যাণ সঞ্চালক সীমা দাসের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। তারপরই সেই আসনটি শূন্য হয়ে পড়ে। এরপরই শুরু হয় তোড়জোড় ,সঞ্চালক কে হবে ।
প্রসঙ্গত, যদিও ২০১৮ সালের গ্রাম পঞ্চায়েত নর্বাচনে ২৭ টি আসনের মধ্যে বিজেপি দখলে যায় ১৪ টি আসন, ঘাসফুলের ১২ টি বামেদের ১ টি। সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে স্বাভাবিকভাবে বিজেপি খুব সহজে সেই গ্রাম পঞ্চায়েতটি দখল করতে পারত। কিন্তু সেই জায়গায় পদ্ম নেতাদের নির্বুদ্ধিতায় তৃণমূল পঞ্চায়েতদের সমর্থন নিয়ে বিজেপির প্রধান , উপ প্রধান নির্বাচিত হন সিপিআই থেকে সুধীর চন্দ্র রায়। উপ- সমিতি চারটি সঞ্চালক আসন দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস।
এরপর থেকেই এলাকায় গুঞ্জন হয়েছে বিজেপির গোষ্ঠীকন্দল নিয়েও। বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের কারণেই সম্ভবত এদিন এক পঞ্চায়েত সদস্যা অনুপস্থিত ছিলেন বলে মনে করছেন অনেকে তাই এবারেও সঞ্চালক পদ দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিকে বিজেপি পঞ্চায়েত দীপু মন্ডলের অভিযোগ ,বামেরা তৃণমূলের সঙ্গে আতাত করে তাদেরকে সঞ্চালক গঠন করতে সাহায্য করছে। তাই ওয়ার্ক আউট করে আমরা ভোট দান থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হই । আমরা বিরোধী ছিলাম বিরোধিতা করবো। এই তৃণমূল ও ছি:পেমূল জোটের বোর্ডকে।
এদিকে বিজেপি পঞ্চায়েতের সঙ্গে নিজেকে আইনি বেড়াজাল থেকে বাঁচাতে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিনোদ ওরাও তিনি ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ না করে বিজেপি পঞ্চায়েতের সঙ্গে রুম ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।
গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিনোদ ওরাও বলেন, দল আমাকে যেই নির্দেশ দিয়েছে আমি সেই নির্দেশ পালন করেছি। যেহেতু বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যরা ওয়ার্ক আউট করে বেরিয়ে আসে। তাই দলের কথা চিন্তা করে আমিও তাদের সঙ্গে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হই।
তৃণমূলের অঞ্চল সহ সভাপতি সাইরুল ইসলাম বলেন, বিজেপি নিজেদের সংখ্যা গরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও তারা প্রমাণ করতে পারেনি। কারণ তাদের দলে যা গোষ্ঠী কোন্দল তাই তাদের পঞ্চায়েত সদস্য উপস্থিত হননি।যার জেরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারেনি। তাই লজ্জায় মুখ ঢাকতে ওয়ার্ক আউট করে বেরিয়ে আসে। শুধু তাই নয় বিজেপি আইন ও জানে না।