১৬ জুন ২০২৫, সোমবার, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টমেটোর দর ১ টাকা কেজি, উৎপাদন খরচও উঠছে না কৃষকদের

সুস্মিতা
  • আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, সোমবার
  • / 108

নয়ন কুইরী, পুরুলিয়া: আলু, পেঁয়াজ, আদার মতো টমেটো সাধারণ মানুষের হেঁশেলের এক নিত্যপ্রয়োজনীয় উপাদান। টমেটো এমন এক উপাদান যা ছাড়া আমিষ বা নিরামিষভোজী কোনও মানুষের চলেই না। সেই টমেটোর দাম পুরুলিয়া জেলায় এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, লাভ দূরের কথা। মাত্র ১ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে হচ্ছে কৃষকদের। টমেটো নিয়ে পুরুলিয়ার বিভিন্ন অংশে হাহাকার শুরু হয়েছে কৃষকদের মধ্যে। উৎপাদন খরচও উঠছে না, ফলে ঋণের বোঝা ক্রমেই বাড়ছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে অনেকে গাছ থেকে ফসল না তুলেই জমিতে ফেলে রাখছেন অনেকে।
পুরুলিয়া জেলা তথা আড়ষা জঙ্গলমহল এলাকার কৃষকরা জানিয়েছেন, বাজারে টমেটোর চাহিদা তলানিতে এসে ঠেকেছে। চকলেচ, লজেন্সের দামে বিক্রি হচ্ছে টমেটো। অনেক ক্ষেত্রেই ফসল বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না, ফলে মাঠেই নষ্ট হচ্ছে। যারা বিক্রি করতে পারছেন, তারাও লাভ তো দূরের কথা, উৎপাদন খরচই তুলতে পারছেন না। কৃষকরা এখন সরকারের হস্তক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছেন। সিরকাবাদ গ্রামের কৃষক বলাই রাজোয়াড় বলেন, ‘অনেক আশা নিয়ে বিঘার পর বিঘা টমেটো চাষ করেছিলাম। ভেবেছিলাম এই বছর লাভবান হব, কিন্তু এখন দেখি বাজারে টমেটোর দাম এতটাই পড়ে গেছে যে প্রতি কুইন্টালে মাত্র ৫০ টাকা লাভ হচ্ছে। এত কম দামে বিক্রি করে তো ঋণ শোধ করাও সম্ভব নয়!’
শিবকল্যাণ মণ্ডল নামে এক কৃষক বলেন, ‘আমাদের দুরবস্থা চরমে পৌঁছেছে। জমিতে টমেটো পাকছে, কিন্তু বাজারে ন্যায্য দাম নেই। বাধ্য হয়ে ফসল জমিতেই ফেলে রাখতে হচ্ছে। ফ্রিতেও নিতে চাইছে না কেউ।’ কৃষকদের দাবি, সরকার যদি রফতানি, প্রসেসিং বা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণের ব্যবস্থা করে, তাহলে এই সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

আরও পড়ুন: দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় দাম না পাওয়ায় বাগানে নস্ট হচ্ছে টমেটো

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

টমেটোর দর ১ টাকা কেজি, উৎপাদন খরচও উঠছে না কৃষকদের

আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, সোমবার

নয়ন কুইরী, পুরুলিয়া: আলু, পেঁয়াজ, আদার মতো টমেটো সাধারণ মানুষের হেঁশেলের এক নিত্যপ্রয়োজনীয় উপাদান। টমেটো এমন এক উপাদান যা ছাড়া আমিষ বা নিরামিষভোজী কোনও মানুষের চলেই না। সেই টমেটোর দাম পুরুলিয়া জেলায় এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, লাভ দূরের কথা। মাত্র ১ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে হচ্ছে কৃষকদের। টমেটো নিয়ে পুরুলিয়ার বিভিন্ন অংশে হাহাকার শুরু হয়েছে কৃষকদের মধ্যে। উৎপাদন খরচও উঠছে না, ফলে ঋণের বোঝা ক্রমেই বাড়ছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে অনেকে গাছ থেকে ফসল না তুলেই জমিতে ফেলে রাখছেন অনেকে।
পুরুলিয়া জেলা তথা আড়ষা জঙ্গলমহল এলাকার কৃষকরা জানিয়েছেন, বাজারে টমেটোর চাহিদা তলানিতে এসে ঠেকেছে। চকলেচ, লজেন্সের দামে বিক্রি হচ্ছে টমেটো। অনেক ক্ষেত্রেই ফসল বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না, ফলে মাঠেই নষ্ট হচ্ছে। যারা বিক্রি করতে পারছেন, তারাও লাভ তো দূরের কথা, উৎপাদন খরচই তুলতে পারছেন না। কৃষকরা এখন সরকারের হস্তক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছেন। সিরকাবাদ গ্রামের কৃষক বলাই রাজোয়াড় বলেন, ‘অনেক আশা নিয়ে বিঘার পর বিঘা টমেটো চাষ করেছিলাম। ভেবেছিলাম এই বছর লাভবান হব, কিন্তু এখন দেখি বাজারে টমেটোর দাম এতটাই পড়ে গেছে যে প্রতি কুইন্টালে মাত্র ৫০ টাকা লাভ হচ্ছে। এত কম দামে বিক্রি করে তো ঋণ শোধ করাও সম্ভব নয়!’
শিবকল্যাণ মণ্ডল নামে এক কৃষক বলেন, ‘আমাদের দুরবস্থা চরমে পৌঁছেছে। জমিতে টমেটো পাকছে, কিন্তু বাজারে ন্যায্য দাম নেই। বাধ্য হয়ে ফসল জমিতেই ফেলে রাখতে হচ্ছে। ফ্রিতেও নিতে চাইছে না কেউ।’ কৃষকদের দাবি, সরকার যদি রফতানি, প্রসেসিং বা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণের ব্যবস্থা করে, তাহলে এই সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

আরও পড়ুন: দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় দাম না পাওয়ায় বাগানে নস্ট হচ্ছে টমেটো