২৫ জুন ২০২৫, বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রিটেনের সেনায় কম বয়সী মেয়েদের ধর্ষণ!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৬ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 28

প্রতীকী

বিশেষ প্রতিবেদন: ব্রিটিশ সেনায় দায়িত্ব পালনকালে গত বছর কয়েক ডজন তরুণী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আক্রান্তদের প্রতেক্যের বয়স ২০-র কম। যারা যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন, তাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই ইয়র্কশায়ারের উত্তরে হ্যারোগেটে আর্মি কলেজে প্রশিক্ষণের জন্য গিয়েছিলেন।

 

আরও পড়ুন: মেক্সিকান মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ

১৬ বছর বয়সী মেয়েরা এতে যোগ দেন। জানা যায়, নিজেদের বাঁচাতে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের মতো ঘটনাকে ধামাচাপা দিয়েছেন সামরিক বাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকরা। ব্রিটেনের কয়েকজন এমপি এই রিপোর্ট তুলে ধরেছেন। বলা হয়েছে, প্রতি ১০ জন টিনেজ মেয়ের মধ্যে একজন আর্মি সার্ভিসে গিয়ে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। গত বছর সেনায় প্রশিক্ষণ নিতে আসাদের মধ্যে ৪৭ জনই যৌন নির্যাতন বা ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তদন্তে বলা হয়েছে, সিনিয়র কর্মকর্তাদের কারণে সেনাবাহিনীতে নারী সদস্যদের অনুৎসাহিত করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ধর্ষণের মামলা তুলতে চাপ, না মানাই তরুণীকে কুপিয়ে খুন উত্তরপ্রদেশে

 

আরও পড়ুন: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে  সম্মতিক্রমে ‘সঙ্গম’ ধর্ষণ নয়- রায় ওড়িশা আদালতের

এমপিদের কাছে সশস্ত্র বাহিনী বিষয়ক মন্ত্রী লিও ডোহার্টি বলেছেন, আক্রান্ত ৪৭ জনের মধ্যে ৩৭ জনই নারী। এর মধ্যে একটি ঘটনার প্রমাণ মিলেছে। চারটির তদন্ত চলছে। ১১টি ঘটনা অসামরিক পুলিশে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে ২২টিই আর্মি ফাউন্ডেশন কলেজ, হ্যারোগেটের। তথ্য বলছে, বাহিনীতে দায়িত্ব পালনকালে ১৮ বছর বা তার নিচে বয়সী এমন প্রায় ৩০০ মেয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

 

প্রাক্তন সেনা কমান্ডিং অফিসার কর্নেল ফিলিপ ইংগ্রাম বলেছেন, এই পরিসংখ্যান হতাশাজনক। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের এক মুখপাত্র বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীতে যৌন নির্যাতন বা হয়রানির কোনও স্থান নেই। সব অভিযোগই গুরুত্ব দিয়ে নেওয়া হয়। সার্ভিস পুলিশ এর তদন্ত করে। এ বছর ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে বাহিনীতে যৌন অপরাধের বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি প্রকাশ করা হয়।



                            

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ব্রিটেনের সেনায় কম বয়সী মেয়েদের ধর্ষণ!

আপডেট : ১৬ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার

বিশেষ প্রতিবেদন: ব্রিটিশ সেনায় দায়িত্ব পালনকালে গত বছর কয়েক ডজন তরুণী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আক্রান্তদের প্রতেক্যের বয়স ২০-র কম। যারা যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন, তাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই ইয়র্কশায়ারের উত্তরে হ্যারোগেটে আর্মি কলেজে প্রশিক্ষণের জন্য গিয়েছিলেন।

 

আরও পড়ুন: মেক্সিকান মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ

১৬ বছর বয়সী মেয়েরা এতে যোগ দেন। জানা যায়, নিজেদের বাঁচাতে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের মতো ঘটনাকে ধামাচাপা দিয়েছেন সামরিক বাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকরা। ব্রিটেনের কয়েকজন এমপি এই রিপোর্ট তুলে ধরেছেন। বলা হয়েছে, প্রতি ১০ জন টিনেজ মেয়ের মধ্যে একজন আর্মি সার্ভিসে গিয়ে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। গত বছর সেনায় প্রশিক্ষণ নিতে আসাদের মধ্যে ৪৭ জনই যৌন নির্যাতন বা ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তদন্তে বলা হয়েছে, সিনিয়র কর্মকর্তাদের কারণে সেনাবাহিনীতে নারী সদস্যদের অনুৎসাহিত করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ধর্ষণের মামলা তুলতে চাপ, না মানাই তরুণীকে কুপিয়ে খুন উত্তরপ্রদেশে

 

আরও পড়ুন: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে  সম্মতিক্রমে ‘সঙ্গম’ ধর্ষণ নয়- রায় ওড়িশা আদালতের

এমপিদের কাছে সশস্ত্র বাহিনী বিষয়ক মন্ত্রী লিও ডোহার্টি বলেছেন, আক্রান্ত ৪৭ জনের মধ্যে ৩৭ জনই নারী। এর মধ্যে একটি ঘটনার প্রমাণ মিলেছে। চারটির তদন্ত চলছে। ১১টি ঘটনা অসামরিক পুলিশে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে ২২টিই আর্মি ফাউন্ডেশন কলেজ, হ্যারোগেটের। তথ্য বলছে, বাহিনীতে দায়িত্ব পালনকালে ১৮ বছর বা তার নিচে বয়সী এমন প্রায় ৩০০ মেয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

 

প্রাক্তন সেনা কমান্ডিং অফিসার কর্নেল ফিলিপ ইংগ্রাম বলেছেন, এই পরিসংখ্যান হতাশাজনক। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের এক মুখপাত্র বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীতে যৌন নির্যাতন বা হয়রানির কোনও স্থান নেই। সব অভিযোগই গুরুত্ব দিয়ে নেওয়া হয়। সার্ভিস পুলিশ এর তদন্ত করে। এ বছর ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে বাহিনীতে যৌন অপরাধের বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি প্রকাশ করা হয়।