শূন্য পদে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করবে এসএসসি

- আপডেট : ১৩ অগাস্ট ২০২২, শনিবার
- / 10
পুবের কলম প্রতিবেদক: আড়াই হাজার শূন্য পদে প্রধানশিক্ষক নিয়োগ করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। আগামী বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠক রয়েছে। শিক্ষক নিয়োগের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ছাড়পত্র পেতে চলেছে।
ইতিমধ্যে নিয়োগের জন্য অর্থ দফতরের সম্মতি পেয়ে গিয়েছে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। বৃহস্পতিবারের রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা অনুমোদন হয়ে গেলেই রাজ্যে স্কুলগুলিতে প্রধানশিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দেবে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
রাজ্যের প্রধান শিক্ষকের পদে প্রায় আড়াই হাজার শূন্য পদ রয়েছে। সেই শূন্য পদগুলিতেই নিয়োগের জন্য তৎপর হয়েছে রাজ্য। যদিও স্কুল ভিত্তিক চূড়ান্ত শূন্য পদের তালিকা শীঘ্রই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তৈরি করে তা এসএসসিতে পাঠিয়ে দেবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা দফতর। তবে প্রাথমিকভাবে নিয়োগের বিধিতে রাজ্য মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়ে দিলেই সেপ্টেম্বর মাসের গোড়াতেই প্রধানশিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে বলে মনে করছেন কমিশনের আধিকারিকরা।
প্রধানশিক্ষক নিয়োগের নিয়মের ক্ষেত্রে বেশ কিছু রদবদল আনা হয়েছে। প্রধানশিক্ষক পদের জন্য যে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে পুরো লিখিত পরীক্ষাই হবে ওএমআর শিটে। মোট ১০০ নম্বরের হবে পরীক্ষা। এর মধ্যে ৯০ নম্বর হবে ওএমআর শিটে, ১০ নম্বরের হবে ইন্টারভিউ। সেক্ষেত্রে প্রশ্নপত্রের প্যাটার্ন কী হবে, তা বিজ্ঞপ্তি জারির পর ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে ওয়েবসাইট মারফত জানিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে এসএসসি।
প্রধানশিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ-এর ক্ষেত্রেও নিয়মে বেশ কিছু রদবদল আনা হচ্ছে। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের কাউন্সিলিংয়ের ক্ষেত্রেও নিয়মে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। প্রধানশিক্ষক নিয়োগের বিধি নিয়ে যাতে কোনও প্রশ্ন না ওঠে তার জন্য একাধিকবার এসএসসি আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর।
নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ স্তরে নয়া নিয়োগের ক্ষেত্রেও ইতিমধ্যেই বিধি প্রায় প্রস্তুত করে ফেলেছে কমিশন। সেই নিয়োগের ভিডিও খুব শীঘ্রই রাজ্যের আইন দফতরকে পাঠানো হবে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে চূড়ান্তভাবে সম্মতির জন্য।
আরও পড়ুন: অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর এবার মুখ খুললেন বোলপুরের সেই চিকিৎসক
কলকাতা হাইকোর্টে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ মিলিয়ে প্রায় কুড়ি হাজার শিক্ষক পদ রয়েছে। সেক্ষেত্রে এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের মাঝেই ফের স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নয়া চাকরিকে হাতিয়ার করে ইতিবাচক বার্তা দিতে চায় রাজ্য।