১৬ জুন ২০২৫, সোমবার, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডিভিশন বেঞ্চে এবার গ্রুপ সি নিয়োগ মামলায় চাকরিহারাদের একাংশ

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৩, সোমবার
  • / 19

পারিজাত মোল্লা:  এবার গ্রুপ সি নিয়োগ মামলায় চাকরিহীনদের একাংশ ডিভিশন বেঞ্চের দারস্থ হলেন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা দাখিল হয়েছে। চলতি সপ্তাহে এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।

গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে উঠেছিল গ্রুপ সি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা।ওইদিব শুনানি শেষে বিচারপতির নির্দেশে চাকরি গেছে ৮৪২ জনের। শুধু তা নয়, ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে নতুন নিয়োগ করতে হবে বলে নির্দেশ জারি করা হয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে।

আরও পড়ুন: সন্দেশখালি কান্ডে সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ককে নি:শর্ত জামিন দিল ডিভিশন বেঞ্চ

আগামী ১০ দিনের মধ্যে নতুন বাছাই শুরু করে দিতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে বলে জানিয়েছে সিঙ্গেল বেঞ্চ ।ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক দিন অতিক্রান্ত হয়েছে। গ্রুপ সি নিয়োগ মামলায় এর আগে ৩৪৭২ জনের ওমআরশিট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। দেখা যায়, তার মধ্যে ৩৪১৫ জনের ওএমআর শিটই বিকৃত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: যৌথ তদন্তে অনাস্থা, ফের সিবিআই চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চে ইডি

এছাড়া ৫৭ জনকে কোনও সুপারিশ পত্র ছাড়াই নিয়োগ করা হয়েছে। ওই ৫৭ জন এবং ওএমআর শিট বিকৃত করার ফলে চাকরি পাওয়া ৭৮৫ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে  কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ। উল্লেখ্য , গত ৩ মার্চ কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে গ্রুপ সি মামলায় হলফনামা দিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। আদালতে কমিশন জানিয়েছিল, ২০১৬ সালের গ্রুপ সি পদে নিয়োগে আরএসএসটি পরীক্ষার্থীদের নম্বরে হেরফের রয়েছে।

আরও পড়ুন: চাকরিহারাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে চায় ডিভিশন বেঞ্চ

ওএমআর শিটের প্রাপ্ত নম্বরে সঙ্গে কমিশনের থাকা নম্বরের কোনও মিল নেই।তারপরই বিচারপতি অভিজিৎ  গঙ্গোপাধ্যায় অবিলম্বে গ্রুপ সি পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট পরীক্ষা করে প্রকাশ করতে বলে কমিশনকে। সময়ও বেঁধে দেন বিচারপতি। তিনি বলেছিলেন,  ৯ মার্চের মধ্যে কমিশনকে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কমিশন সেই তালিকা প্রকাশ করে। গত শুক্রবার  এই গ্রুপ সি মামলার শুনানি চলেছিল। সেখানে অভিযোগ ওঠে ৫৭ জনের চাকরি সুপারিশ দেয়নি কমিশন। ওইদিনের মামলার শুনানিতে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি  অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওইদিন শুনানি পর্বে বিচারপতি  প্রশ্ন করেন, ‘সুপারিশপত্র ছাড়া কীভাবে চাকরি পেলেন এই ৫৭ জন? কে তাঁদের চাকরি দিল?’ তারপর   শুনানি সাময়িক মুলতুবি হয়েছিল।তার আগে অবশ্য বিচারপতি দু’ঘণ্টার মধ্যে ওই ৫৭ জনের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ মতো তালিকা প্রকাশ করেছিল কমিশন। গত শুক্রবার  শুনানিতে মোট ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের কথা বলেন বিচারপতি। শনিবার  বেলা ১২ টার মধ্যে কমিশনকে সুপারিশপত্র বাতিল করতে বলা হয়েছিল, পরবর্তীতে তা কার্যকর করা হয়েছে । কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সেই সময়ও বেঁধে দিয়েছিলেন।।

ইতিমধ্যেই প্রাথমিকে চাকরি গিয়েছে ২৫২ জনের, এরপর নবম-দশমে চাকরি বাতিল হয়েছে ৬১৮ জনের। আর গ্রুপ সি’তে গত শুক্রবার চাকরি বাতিল করার নির্দেশ এসেছে ৮৪২ জনের। এর আগে গ্রুপ ডি’তে চাকরি বাতিল হয়েছে ১ হাজার ৯১১ জনের। সব মিলিয়ে মোট ৩ হাজার ৬২৩ জনের জনের চাকরি বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আবার এদের মধ্যে অনেকের চাকরি বাতিলের পাশাপাশি বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। তবে তা নিয়ে আপাতত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঝুলেই রয়েছে, মামলা  গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্তও। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে এই আপিল পিটিশন দাখিল করা হয়েছে চাকরিহীনদের একাংশের তরফে।চলতি সপ্তাহে এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ডিভিশন বেঞ্চে এবার গ্রুপ সি নিয়োগ মামলায় চাকরিহারাদের একাংশ

আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৩, সোমবার

পারিজাত মোল্লা:  এবার গ্রুপ সি নিয়োগ মামলায় চাকরিহীনদের একাংশ ডিভিশন বেঞ্চের দারস্থ হলেন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা দাখিল হয়েছে। চলতি সপ্তাহে এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।

গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে উঠেছিল গ্রুপ সি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা।ওইদিব শুনানি শেষে বিচারপতির নির্দেশে চাকরি গেছে ৮৪২ জনের। শুধু তা নয়, ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে নতুন নিয়োগ করতে হবে বলে নির্দেশ জারি করা হয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে।

আরও পড়ুন: সন্দেশখালি কান্ডে সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ককে নি:শর্ত জামিন দিল ডিভিশন বেঞ্চ

আগামী ১০ দিনের মধ্যে নতুন বাছাই শুরু করে দিতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে বলে জানিয়েছে সিঙ্গেল বেঞ্চ ।ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক দিন অতিক্রান্ত হয়েছে। গ্রুপ সি নিয়োগ মামলায় এর আগে ৩৪৭২ জনের ওমআরশিট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। দেখা যায়, তার মধ্যে ৩৪১৫ জনের ওএমআর শিটই বিকৃত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: যৌথ তদন্তে অনাস্থা, ফের সিবিআই চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চে ইডি

এছাড়া ৫৭ জনকে কোনও সুপারিশ পত্র ছাড়াই নিয়োগ করা হয়েছে। ওই ৫৭ জন এবং ওএমআর শিট বিকৃত করার ফলে চাকরি পাওয়া ৭৮৫ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে  কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ। উল্লেখ্য , গত ৩ মার্চ কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে গ্রুপ সি মামলায় হলফনামা দিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। আদালতে কমিশন জানিয়েছিল, ২০১৬ সালের গ্রুপ সি পদে নিয়োগে আরএসএসটি পরীক্ষার্থীদের নম্বরে হেরফের রয়েছে।

আরও পড়ুন: চাকরিহারাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে চায় ডিভিশন বেঞ্চ

ওএমআর শিটের প্রাপ্ত নম্বরে সঙ্গে কমিশনের থাকা নম্বরের কোনও মিল নেই।তারপরই বিচারপতি অভিজিৎ  গঙ্গোপাধ্যায় অবিলম্বে গ্রুপ সি পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট পরীক্ষা করে প্রকাশ করতে বলে কমিশনকে। সময়ও বেঁধে দেন বিচারপতি। তিনি বলেছিলেন,  ৯ মার্চের মধ্যে কমিশনকে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কমিশন সেই তালিকা প্রকাশ করে। গত শুক্রবার  এই গ্রুপ সি মামলার শুনানি চলেছিল। সেখানে অভিযোগ ওঠে ৫৭ জনের চাকরি সুপারিশ দেয়নি কমিশন। ওইদিনের মামলার শুনানিতে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি  অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওইদিন শুনানি পর্বে বিচারপতি  প্রশ্ন করেন, ‘সুপারিশপত্র ছাড়া কীভাবে চাকরি পেলেন এই ৫৭ জন? কে তাঁদের চাকরি দিল?’ তারপর   শুনানি সাময়িক মুলতুবি হয়েছিল।তার আগে অবশ্য বিচারপতি দু’ঘণ্টার মধ্যে ওই ৫৭ জনের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ মতো তালিকা প্রকাশ করেছিল কমিশন। গত শুক্রবার  শুনানিতে মোট ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের কথা বলেন বিচারপতি। শনিবার  বেলা ১২ টার মধ্যে কমিশনকে সুপারিশপত্র বাতিল করতে বলা হয়েছিল, পরবর্তীতে তা কার্যকর করা হয়েছে । কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সেই সময়ও বেঁধে দিয়েছিলেন।।

ইতিমধ্যেই প্রাথমিকে চাকরি গিয়েছে ২৫২ জনের, এরপর নবম-দশমে চাকরি বাতিল হয়েছে ৬১৮ জনের। আর গ্রুপ সি’তে গত শুক্রবার চাকরি বাতিল করার নির্দেশ এসেছে ৮৪২ জনের। এর আগে গ্রুপ ডি’তে চাকরি বাতিল হয়েছে ১ হাজার ৯১১ জনের। সব মিলিয়ে মোট ৩ হাজার ৬২৩ জনের জনের চাকরি বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আবার এদের মধ্যে অনেকের চাকরি বাতিলের পাশাপাশি বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। তবে তা নিয়ে আপাতত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঝুলেই রয়েছে, মামলা  গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্তও। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে এই আপিল পিটিশন দাখিল করা হয়েছে চাকরিহীনদের একাংশের তরফে।চলতি সপ্তাহে এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।