১৬ জুন ২০২৫, সোমবার, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবার রেশন বিলিতে কারচুপি রুখতে নয়া প্রযুক্তি ব্যবহার রাজ্যে

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২২, সোমবার
  • / 15

প্রতীকী ছবি

পুবের কলম প্রতিবেদক: রেশনের সামগ্রী দেওয়ার ক্ষেত্রে ওজনে কারচুপি করা হয় বলে প্রায়ই গ্রাহকদের কাছ থেকে অভিযোগ উঠে থাকে। বিভিন্ন সময়ে এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভও দেখা গিয়েছে একাধিক জায়গায়। তবে আর এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না রাজ্যবাসীকে। এবার রেশন ব্যবস্থায় আধুনিকরণ আনছে।

সেক্ষেত্রে রেশন বিলির ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হবে। প্রত্যেক রেশন দোকানে ইলেকট্রনিক পরিমাপ যন্ত্রের সঙ্গে ই-পস মেশিন যুক্ত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই নতুন ব্যবস্থা চালু হলে গ্রাহক কত ওজনের খাদ্যশস্য পাচ্ছেন তা অনলাইনের মাধ্যমে সরাসরি জানতে পারবে খাদ্য দফতর। এতে রেশন বিলির ক্ষেত্রে কারচুপি বন্ধ করা যাবে বলেই আশাবাদী দফতরের আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন: রাজ্যের নয়া মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল

 বর্তমানে শুধুমাত্র ইলেকট্রনিক ওজন মাপার যন্ত্র রয়েছে রেশন দোকানগুলিতে। যার ফলে কোনও নথি থাকে না খাদ্যদফতরের কাছে। সেক্ষেত্রে ডিলারদের কাছে সুযোগ থাকে গ্রাহকদের কম অথবা বেশি রেশন দেওয়ার। কিন্তু ই-পস প্রযুক্তি যুক্ত হলে খাদ্যশস্যের পরিমাপের উপর নজরদারি করতে পারবে দফতর। ই-পস এক ধরনের যন্ত্র যা ইলেকট্রনিক ওজন মাপার যন্ত্রের সঙ্গে যোগ করা হয়।

আরও পড়ুন: সউদি আরবে বহু খালি জায়গা, সেখানে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হোক : নেতানিয়াহু

ওজন যন্ত্রে যতটা পরিমানে খাদ্যশস্য পরিমাপ করা হচ্ছে তার রেকর্ড রাখে এই ই-পস যন্ত্র। বর্তমানে এই ই-পস যন্ত্র থাকলেও তাতে গ্রাহকের আধার নম্বর যাচাই ও রেশন কার্ড সোয়াইপ করা হয়। তবে এতে কারচুপি রোখা সম্ভব নয়। নতুন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে স্ক্যানারের কথা ভাবা হয়েছে। যার মারফত এই রেকর্ড সরাসরি অনলাইন মারফত পৌঁছে যাবে খাদ্য দফতরে।

আরও পড়ুন: রাজ্যজুড়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

 খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, ই-পস প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে খরচ হবে ১৬ কোটি টাকা। একই সঙ্গে চোখের মণির স্ক্যানারের খাতে খরচ ধরা হয়েছে ১৮ কোটি টাকা। বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে এই প্রযুক্তি সংযোজনের কাজ করাতে হবে। এই অর্থের জন্য ইতিমধ্যেই অর্থ দফতরের কাছে অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

এবার রেশন বিলিতে কারচুপি রুখতে নয়া প্রযুক্তি ব্যবহার রাজ্যে

আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২২, সোমবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: রেশনের সামগ্রী দেওয়ার ক্ষেত্রে ওজনে কারচুপি করা হয় বলে প্রায়ই গ্রাহকদের কাছ থেকে অভিযোগ উঠে থাকে। বিভিন্ন সময়ে এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভও দেখা গিয়েছে একাধিক জায়গায়। তবে আর এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না রাজ্যবাসীকে। এবার রেশন ব্যবস্থায় আধুনিকরণ আনছে।

সেক্ষেত্রে রেশন বিলির ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হবে। প্রত্যেক রেশন দোকানে ইলেকট্রনিক পরিমাপ যন্ত্রের সঙ্গে ই-পস মেশিন যুক্ত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই নতুন ব্যবস্থা চালু হলে গ্রাহক কত ওজনের খাদ্যশস্য পাচ্ছেন তা অনলাইনের মাধ্যমে সরাসরি জানতে পারবে খাদ্য দফতর। এতে রেশন বিলির ক্ষেত্রে কারচুপি বন্ধ করা যাবে বলেই আশাবাদী দফতরের আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন: রাজ্যের নয়া মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল

 বর্তমানে শুধুমাত্র ইলেকট্রনিক ওজন মাপার যন্ত্র রয়েছে রেশন দোকানগুলিতে। যার ফলে কোনও নথি থাকে না খাদ্যদফতরের কাছে। সেক্ষেত্রে ডিলারদের কাছে সুযোগ থাকে গ্রাহকদের কম অথবা বেশি রেশন দেওয়ার। কিন্তু ই-পস প্রযুক্তি যুক্ত হলে খাদ্যশস্যের পরিমাপের উপর নজরদারি করতে পারবে দফতর। ই-পস এক ধরনের যন্ত্র যা ইলেকট্রনিক ওজন মাপার যন্ত্রের সঙ্গে যোগ করা হয়।

আরও পড়ুন: সউদি আরবে বহু খালি জায়গা, সেখানে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হোক : নেতানিয়াহু

ওজন যন্ত্রে যতটা পরিমানে খাদ্যশস্য পরিমাপ করা হচ্ছে তার রেকর্ড রাখে এই ই-পস যন্ত্র। বর্তমানে এই ই-পস যন্ত্র থাকলেও তাতে গ্রাহকের আধার নম্বর যাচাই ও রেশন কার্ড সোয়াইপ করা হয়। তবে এতে কারচুপি রোখা সম্ভব নয়। নতুন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে স্ক্যানারের কথা ভাবা হয়েছে। যার মারফত এই রেকর্ড সরাসরি অনলাইন মারফত পৌঁছে যাবে খাদ্য দফতরে।

আরও পড়ুন: রাজ্যজুড়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

 খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, ই-পস প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে খরচ হবে ১৬ কোটি টাকা। একই সঙ্গে চোখের মণির স্ক্যানারের খাতে খরচ ধরা হয়েছে ১৮ কোটি টাকা। বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে এই প্রযুক্তি সংযোজনের কাজ করাতে হবে। এই অর্থের জন্য ইতিমধ্যেই অর্থ দফতরের কাছে অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।