২১ জুন ২০২৫, শনিবার, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৩ মৎস্যজীবী নিয়ে বঙ্গোপসাগরে ডুবে গেল ট্রলার, উদ্ধার ১১ জেলে

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২১ জুন ২০২৫, শনিবার
  • / 37

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইলিশের মরশুমে যখন সমুদ্রপাড়ের মৎস্যজীবীদের ব্যস্ততা তুঙ্গে, ঠিক সেই সময় বঙ্গোপসাগরে ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। শনিবার ভোরে নামখানার দশমাইল খেয়াঘাট থেকে ১৩ জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিল ‘এফবি শাকিলা’ নামক একটি ট্রলার। কিন্তু হঠাৎ জম্বু দ্বীপের কাছে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের কারণে ট্রলারটির পাটাতন ফেটে গেলে জল ঢুকে ডুবে যায় ট্রলারটি।

প্রবল উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যে ট্রলারটি ডুবে যেতে শুরু করলে চিৎকার করতে থাকেন ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীরা। আশেপাশে থাকা অন্য ট্রলারগুলো তাদের সেই চিৎকার শুনে দ্রুত এগিয়ে আসে এবং তৎপরতায় ১১ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২ জন। ঘটনায় উদ্বিগ্ন মৎস্যজীবী পরিবারগুলি।

মৎস্যজীবী ইউনিয়ন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে শনিবার ভোর আনুমান ৪টে নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নামখানা ব্লকের ১০মাইল ঘাট থেকে এফবি শাকিলা নামে একটি ট্রলার ১১ জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে গভীর সমুদ্রের মাছ ধরার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বকখালি থেকে ৪ ঘন্টা দূরে জম্বুদ্বীপের কাছে বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউয়ের দাপটে ট্রলারটির পাটাতন ফেটে যায়। হু হু করে ট্রলারে জল ঢুকে বঙ্গোপসাগরে ডুবে যায়। তবে শেষমেষ ডুবন্ত ওই ট্রলারে থাকা ১১ জন মৎস্যজীবীকে করে অন্য ট্রলার।

আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ সময়ে মাছ শিকার, ৯ টন সামুদ্রিক মাছ-সহ ট্রলার আটক

এ বিষয়ে কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে উত্তাল ঢেউয়ের কারণে জম্বু দ্বীপের কাছে ট্রলারটির পাটাতন ফেটে গিয়ে ঢুবতে থাকে। ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীদের চিৎকারে ডুবন্ত ট্রলারে থেকে ১১ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে অন্য ট্রলার। ডুবন্ত ট্রলারটিকেও অন্য ট্রলারের সাহায্যে উপকূলের নিয়ে আসার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ৫ বছর ধরে পাক জেলে বন্দি ভারতীয় মৎস্যজীবী, নির্যাতনে আত্মহত্যা!

স্থানীয় সূত্রে খবর, ইলিশের মরশুম শুরু হতেই ইতিমধ্যে প্রায় ১০০ টন ইলিশ ধরা পড়েছে জালে। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞার কারণে বহু মৎস্যজীবীর রোজগার অনিশ্চয়তার মুখে। এই ঘটনার পর নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সমুদ্রপাড়ের মৎস্যজীবীদের মধ্যে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

১৩ মৎস্যজীবী নিয়ে বঙ্গোপসাগরে ডুবে গেল ট্রলার, উদ্ধার ১১ জেলে

আপডেট : ২১ জুন ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইলিশের মরশুমে যখন সমুদ্রপাড়ের মৎস্যজীবীদের ব্যস্ততা তুঙ্গে, ঠিক সেই সময় বঙ্গোপসাগরে ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। শনিবার ভোরে নামখানার দশমাইল খেয়াঘাট থেকে ১৩ জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিল ‘এফবি শাকিলা’ নামক একটি ট্রলার। কিন্তু হঠাৎ জম্বু দ্বীপের কাছে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের কারণে ট্রলারটির পাটাতন ফেটে গেলে জল ঢুকে ডুবে যায় ট্রলারটি।

প্রবল উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যে ট্রলারটি ডুবে যেতে শুরু করলে চিৎকার করতে থাকেন ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীরা। আশেপাশে থাকা অন্য ট্রলারগুলো তাদের সেই চিৎকার শুনে দ্রুত এগিয়ে আসে এবং তৎপরতায় ১১ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২ জন। ঘটনায় উদ্বিগ্ন মৎস্যজীবী পরিবারগুলি।

মৎস্যজীবী ইউনিয়ন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে শনিবার ভোর আনুমান ৪টে নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নামখানা ব্লকের ১০মাইল ঘাট থেকে এফবি শাকিলা নামে একটি ট্রলার ১১ জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে গভীর সমুদ্রের মাছ ধরার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বকখালি থেকে ৪ ঘন্টা দূরে জম্বুদ্বীপের কাছে বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউয়ের দাপটে ট্রলারটির পাটাতন ফেটে যায়। হু হু করে ট্রলারে জল ঢুকে বঙ্গোপসাগরে ডুবে যায়। তবে শেষমেষ ডুবন্ত ওই ট্রলারে থাকা ১১ জন মৎস্যজীবীকে করে অন্য ট্রলার।

আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ সময়ে মাছ শিকার, ৯ টন সামুদ্রিক মাছ-সহ ট্রলার আটক

এ বিষয়ে কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে উত্তাল ঢেউয়ের কারণে জম্বু দ্বীপের কাছে ট্রলারটির পাটাতন ফেটে গিয়ে ঢুবতে থাকে। ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীদের চিৎকারে ডুবন্ত ট্রলারে থেকে ১১ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে অন্য ট্রলার। ডুবন্ত ট্রলারটিকেও অন্য ট্রলারের সাহায্যে উপকূলের নিয়ে আসার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ৫ বছর ধরে পাক জেলে বন্দি ভারতীয় মৎস্যজীবী, নির্যাতনে আত্মহত্যা!

স্থানীয় সূত্রে খবর, ইলিশের মরশুম শুরু হতেই ইতিমধ্যে প্রায় ১০০ টন ইলিশ ধরা পড়েছে জালে। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞার কারণে বহু মৎস্যজীবীর রোজগার অনিশ্চয়তার মুখে। এই ঘটনার পর নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সমুদ্রপাড়ের মৎস্যজীবীদের মধ্যে।