২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শূন্যপদ বৃদ্ধি ও প্রকাশিত মেরিট প্যানেল পুনর্বিবেচনার দাবিতে ডেপুটেশন

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 41

পুবের কলম প্রতিবেদক: কলেজ সার্ভিস কমিশনের আরবি বিষয়ে শূন্যপদ বৃদ্ধি ও সদ্য প্রকাশিত মেরিট প্যানেল পুনর্বিবেচনার  আবেদন জানিয়ে ডেপুটেশন দিলেন অধ্যাপক, শিক্ষক ও গবেষকরা। আরবি বিষয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত রেজাল্টের ব্যাপারেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন পশ্চিমবঙ্গ আরবি ভাষা পরিবার সংগঠন। বুধবার বেশকিছু দাবি নিয়ে নিউটাউনের পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাঁরা। গত ২২ সেপ্টেম্বর কলেজ সার্ভিস কমিশনের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, আরবি বিষয়ে অসংরক্ষিত আসনে শূন্যপদের সংখ্যা মাত্র ১টি। তফসিলি জাতির জন্য শূন্যপদের সংখ্যা ২টি। পশ্চিমবঙ্গে স্নাতক স্তরে আরবি পড়ানো হয় এমন কলেজের সংখ্যা ৪০টি। সেখানে ১টি মাত্র শূন্যপদ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সংগঠনটি। তাঁদের দাবি, আরবি বিষয়ে শূন্যপদের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং তা পূরণ সংক্রান্ত ব্যাপারে ভূমিকা নিতে হবে কমিশনকে। দ্রুত শূন্যপদ-সহ মেরিট প্যানেল পুনঃপ্রকাশের আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।

কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ওই ১টি শূন্যপদে প্রথম স্থানাধিকারী প্রার্থী হলেন একজন অবাঙালি। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ চঞ্চল কলেজে নিয়োগ পেতে চলেছেন তিনি। বাংলার যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে বাংলা মাধ্যম কলেজে নিয়োগের জন্য একজন অবাঙালিকে কী করে ইন্টারভিউ বোর্ড পাস করাতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এবিষয়ে তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। যে প্রার্থী বাংলা লিখতে, পড়তে ও বলতে পারেন না তাঁকে বাংলা মাধ্যম কলেজে নিয়োগে ব্যাপারে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন আরবি ভাষা পরিবার। অবাঙালিকে নিয়োগের বিষয়ে সংগঠনটির দাবি, রাজ্যের যে সমস্ত কলেজে আরবি বিষয়ে পঠনপাঠন করা হয়, তা সবটাই বাংলা মাধ্যম। কলেজগুলি বাংলা জানা শিক্ষকের প্রয়োজন অনুভব করে। তাঁদের প্রশ্ন, ইন্টারভিউ বোর্ডে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কোনো বাঙালি বিশেষজ্ঞকে রাখা হয়নি। কমিশনের কাছে এই প্রশ্নের জবাব চেয়েছেন অধ্যাপক, শিক্ষক ও গবেষকরা। এছাড়াও, ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণকারী সমস্ত চাকরিপ্রার্থীর অর্জিত নম্বর সহ তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ‘ল্যাংগুয়েজে রিকুইরেমেন্ট’ নিয়ম লঙ্ঘন করেছে বলেও দাবি আরবি ভাষা পরিবারের।

আরও পড়ুন: শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর মূর্তি ভাঙার কাজে যুক্ত অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতে ডেপুটেশন এপিডিআর এর

আরও পড়ুন: জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককের গাফিলতিতে বকেয়া টাকা না পাওয়ায় সমিতির ডেপুটেশন

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শূন্যপদ বৃদ্ধি ও প্রকাশিত মেরিট প্যানেল পুনর্বিবেচনার দাবিতে ডেপুটেশন

আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: কলেজ সার্ভিস কমিশনের আরবি বিষয়ে শূন্যপদ বৃদ্ধি ও সদ্য প্রকাশিত মেরিট প্যানেল পুনর্বিবেচনার  আবেদন জানিয়ে ডেপুটেশন দিলেন অধ্যাপক, শিক্ষক ও গবেষকরা। আরবি বিষয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত রেজাল্টের ব্যাপারেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন পশ্চিমবঙ্গ আরবি ভাষা পরিবার সংগঠন। বুধবার বেশকিছু দাবি নিয়ে নিউটাউনের পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাঁরা। গত ২২ সেপ্টেম্বর কলেজ সার্ভিস কমিশনের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, আরবি বিষয়ে অসংরক্ষিত আসনে শূন্যপদের সংখ্যা মাত্র ১টি। তফসিলি জাতির জন্য শূন্যপদের সংখ্যা ২টি। পশ্চিমবঙ্গে স্নাতক স্তরে আরবি পড়ানো হয় এমন কলেজের সংখ্যা ৪০টি। সেখানে ১টি মাত্র শূন্যপদ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সংগঠনটি। তাঁদের দাবি, আরবি বিষয়ে শূন্যপদের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং তা পূরণ সংক্রান্ত ব্যাপারে ভূমিকা নিতে হবে কমিশনকে। দ্রুত শূন্যপদ-সহ মেরিট প্যানেল পুনঃপ্রকাশের আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।

কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ওই ১টি শূন্যপদে প্রথম স্থানাধিকারী প্রার্থী হলেন একজন অবাঙালি। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ চঞ্চল কলেজে নিয়োগ পেতে চলেছেন তিনি। বাংলার যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে বাংলা মাধ্যম কলেজে নিয়োগের জন্য একজন অবাঙালিকে কী করে ইন্টারভিউ বোর্ড পাস করাতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এবিষয়ে তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। যে প্রার্থী বাংলা লিখতে, পড়তে ও বলতে পারেন না তাঁকে বাংলা মাধ্যম কলেজে নিয়োগে ব্যাপারে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন আরবি ভাষা পরিবার। অবাঙালিকে নিয়োগের বিষয়ে সংগঠনটির দাবি, রাজ্যের যে সমস্ত কলেজে আরবি বিষয়ে পঠনপাঠন করা হয়, তা সবটাই বাংলা মাধ্যম। কলেজগুলি বাংলা জানা শিক্ষকের প্রয়োজন অনুভব করে। তাঁদের প্রশ্ন, ইন্টারভিউ বোর্ডে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কোনো বাঙালি বিশেষজ্ঞকে রাখা হয়নি। কমিশনের কাছে এই প্রশ্নের জবাব চেয়েছেন অধ্যাপক, শিক্ষক ও গবেষকরা। এছাড়াও, ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণকারী সমস্ত চাকরিপ্রার্থীর অর্জিত নম্বর সহ তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ‘ল্যাংগুয়েজে রিকুইরেমেন্ট’ নিয়ম লঙ্ঘন করেছে বলেও দাবি আরবি ভাষা পরিবারের।

আরও পড়ুন: শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর মূর্তি ভাঙার কাজে যুক্ত অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতে ডেপুটেশন এপিডিআর এর

আরও পড়ুন: জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককের গাফিলতিতে বকেয়া টাকা না পাওয়ায় সমিতির ডেপুটেশন