১৬ জুন ২০২৫, সোমবার, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অ্যাডিনো ভাইরাস আতঙ্ক! গাইড লাইন দিল স্বাস্থ্য দফতর

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, সোমবার
  • / 32

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: করোনা ভাইরাসের পর এই আতঙ্কের নয়া নাম অ্যাডিনো ভাইরাস। ইতিমধ্যেই এই ভাইরাস ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ছে। জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে ভুগছে শিশুরা। এদের বেশিরভাগের বয়স এক থেকে তিন বছর। তবে বড়রাও এই ভাইরাসের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। একবার এই ভাইরাস আক্রমণ করলে ৩০-৩৫ দিন এই ভাইরাসের দাপট থাকছে। শহর থেকে জেলা, হাসপাতালগুলিতে ভিড় বাড়ছে শিশুদের। এই অবস্থায় একাধিক সতর্কবার্তা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর।

অ্যাডিনো ভাইরাস আতঙ্ক! গাইড লাইন দিল স্বাস্থ্য দফতর

আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যভবনে হুমকি মেল! তল্লাশি অভিযানে বিধাননগর থানার পুলিশ

ইতিমধ্যেই প্রায় ১১ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হাসপাতালের তরফে শিশুদের ডেথ সার্টিফিকেট মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হাসপাতালের তরফে শিশুদের ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ‘সিভিয়ার নিউমোনিয়া’ লেখা হচ্ছে। মৃত শিশুদের বেশিরভাগেরই বয়স দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে বলেও জানা যাচ্ছে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ এবং বি সি রায় শিশু হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাসের প্রকোপ লক্ষ করা গিয়েছে।  গত ডিসেম্বর মাসের শেষদিক থেকেই রাজ্যে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে এই ভাইরাস। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

আরও পড়ুন: গরমে হাঁসফাঁস দিল্লিতে! তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি হওয়ায় স্কুলগুলিতে নির্দেশিকা জারি শিক্ষা দফতরের

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিশুরা তিনদিনের অধিক জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। কারও কারও সর্দি, চোখ জ্বালা,  ফুসফুস এবং শ্বাসনালিতে মারাত্মক সংক্রমণ রয়েছে। অভিভাবকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, তিন থেকে পাঁচদিনের মধ্যে জ্বর না কমলে চিকিৎসককে দেখানো আবশ্যক। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নাক বন্ধ হয়ে  গেলে নুন জল ব্যবহার করা যেতে পারে। খাওয়ারের পরিমাণ এবং প্রস্রাবের পরিমাণের উপর নজর রাখতে হবে। সার্বিক পরিস্থিতির উপর নজর দিতে বলা হয়েছে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে।

আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছে সরকার, নারায়ণা হাসপাতালের শিলান্যাসে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

জেলাস্তরের হাসপাতালকে প্রতিদিনের রিপোর্ট (রাত ১২টা থেকে পরের দিন রাত ১২টার হিসাবে) নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যকর্তার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে এবং ইমেলে পাঠাতে বলা হয়েছে। ‘অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন’-এ আক্রান্ত কত জন নতুন শিশুরোগী ভর্তি হয়েছে, কত জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে কত জন নিওনেটাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি, কতজন সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিটে কিংবা সিসিইউ-তে ভর্তি রয়েছে, সেই সব তথ্য জানাতে হবে। সেই সঙ্গে জানাতে হবে, কার অক্সিজেন চলছে কতজনকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অ্যাডিনো ভাইরাস আতঙ্ক! গাইড লাইন দিল স্বাস্থ্য দফতর

আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: করোনা ভাইরাসের পর এই আতঙ্কের নয়া নাম অ্যাডিনো ভাইরাস। ইতিমধ্যেই এই ভাইরাস ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ছে। জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে ভুগছে শিশুরা। এদের বেশিরভাগের বয়স এক থেকে তিন বছর। তবে বড়রাও এই ভাইরাসের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। একবার এই ভাইরাস আক্রমণ করলে ৩০-৩৫ দিন এই ভাইরাসের দাপট থাকছে। শহর থেকে জেলা, হাসপাতালগুলিতে ভিড় বাড়ছে শিশুদের। এই অবস্থায় একাধিক সতর্কবার্তা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর।

অ্যাডিনো ভাইরাস আতঙ্ক! গাইড লাইন দিল স্বাস্থ্য দফতর

আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যভবনে হুমকি মেল! তল্লাশি অভিযানে বিধাননগর থানার পুলিশ

ইতিমধ্যেই প্রায় ১১ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হাসপাতালের তরফে শিশুদের ডেথ সার্টিফিকেট মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হাসপাতালের তরফে শিশুদের ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ‘সিভিয়ার নিউমোনিয়া’ লেখা হচ্ছে। মৃত শিশুদের বেশিরভাগেরই বয়স দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে বলেও জানা যাচ্ছে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ এবং বি সি রায় শিশু হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাসের প্রকোপ লক্ষ করা গিয়েছে।  গত ডিসেম্বর মাসের শেষদিক থেকেই রাজ্যে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে এই ভাইরাস। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

আরও পড়ুন: গরমে হাঁসফাঁস দিল্লিতে! তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি হওয়ায় স্কুলগুলিতে নির্দেশিকা জারি শিক্ষা দফতরের

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিশুরা তিনদিনের অধিক জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। কারও কারও সর্দি, চোখ জ্বালা,  ফুসফুস এবং শ্বাসনালিতে মারাত্মক সংক্রমণ রয়েছে। অভিভাবকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, তিন থেকে পাঁচদিনের মধ্যে জ্বর না কমলে চিকিৎসককে দেখানো আবশ্যক। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নাক বন্ধ হয়ে  গেলে নুন জল ব্যবহার করা যেতে পারে। খাওয়ারের পরিমাণ এবং প্রস্রাবের পরিমাণের উপর নজর রাখতে হবে। সার্বিক পরিস্থিতির উপর নজর দিতে বলা হয়েছে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে।

আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছে সরকার, নারায়ণা হাসপাতালের শিলান্যাসে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

জেলাস্তরের হাসপাতালকে প্রতিদিনের রিপোর্ট (রাত ১২টা থেকে পরের দিন রাত ১২টার হিসাবে) নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যকর্তার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে এবং ইমেলে পাঠাতে বলা হয়েছে। ‘অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন’-এ আক্রান্ত কত জন নতুন শিশুরোগী ভর্তি হয়েছে, কত জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে কত জন নিওনেটাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি, কতজন সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিটে কিংবা সিসিইউ-তে ভর্তি রয়েছে, সেই সব তথ্য জানাতে হবে। সেই সঙ্গে জানাতে হবে, কার অক্সিজেন চলছে কতজনকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।