২৮ জুলাই ২০২৫, সোমবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এজলাস বয়কট আইনজীবীদের, কোর্টে এসেও বেরিয়ে গেলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 45

পারিজাত মোল্লা: আইনজীবী বয়কটের প্রভাব পড়লো কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। দু’দিন পরে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের এজলাসে বসলেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে কিছুক্ষণ পরেই অবশ্য এজলাস ছেড়ে বেড়িয়ে গেলেন তিনি। কারণ আইনজীবীদের অধিকাংশই ছিলেন অনুপস্থিত।

 

আরও পড়ুন: দিল্লিতে আটক পরিযায়ী শ্রমিকদের কি বাংলাদেশ পাঠানো হয়েছে?  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্ট চাইলো হাইকোর্ট 

গত সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি নির্দেশ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিল আইনজীবীদের একাংশ। তখন এক আইনজীবীকে তাঁর আচরণের জন্য শেরিফের হাতে তুলে দিয়েছিলেন বিচারপতি। পরে তিনি সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করলেও আইনজীবীদের একাংশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস বয়কট করবেন বলে জানিয়েছিলেন। তারপর মঙ্গলবার ও বুধবার এজলাসে বসেননি বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা বেজে ৩০ মিনিটের দিকে ১৭ নম্বর কোর্টে নিজের এজলাসে আসেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বরাবরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থাকে ভিড়ে ঠাসা। একের পর এক মামলার শুনানি হয়। বৃহস্পতিবারও আইনজীবীদের একাংশ ছিলেন অনুপস্থিত। তাই ভিড় ছিল অপেক্ষাকৃত কম।

আরও পড়ুন: এসএসসি মামলায় রাজ্যের স্বস্তি, মামলায় জরুরি হস্তক্ষেপে ‘না’ হাইকোর্টের, নিয়োগে রইল না বাধা

 

আরও পড়ুন: হাওড়ায় রামনবমী পালনে আয়োজকদের ‘কড়া শর্তাবলি’ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

তালিকা অনুযায়ী প্রায় ১১টি মামলা শুনানির জন্য ডাকা হয়েছিল। তবে বেশিরভাগ মামলার আইনজীবীই ছিলেন অনুপস্থিত। বেলা ১২ টার দিকে তিনি চলে যান বলে জানা গেছে। ত্রিশ মিনিটের মাথায় মোট ৫টি মামলার শুনানি হয়। এর মধ্যে ২ টি মামলায় সওয়াল করেন আইনজীবী। বাকি ৩ মামলায় মামলাকারী নিজেই বিচারপতির কাছে সওয়াল করেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, ‘যদি নির্দিষ্ট মামলাগুলির দু’পক্ষের আইনজীবী উপস্থিত না থাকেন, তবে এক পক্ষের সওয়াল শুনে তিনি কোনও নির্দেশ দেবেন না’। হাইকোর্ট পাড়ায় আইনজীবীদের মধ্যে এই বিষয়ে আলোচনা তুঙ্গে।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

এজলাস বয়কট আইনজীবীদের, কোর্টে এসেও বেরিয়ে গেলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পারিজাত মোল্লা: আইনজীবী বয়কটের প্রভাব পড়লো কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। দু’দিন পরে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের এজলাসে বসলেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে কিছুক্ষণ পরেই অবশ্য এজলাস ছেড়ে বেড়িয়ে গেলেন তিনি। কারণ আইনজীবীদের অধিকাংশই ছিলেন অনুপস্থিত।

 

আরও পড়ুন: দিল্লিতে আটক পরিযায়ী শ্রমিকদের কি বাংলাদেশ পাঠানো হয়েছে?  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্ট চাইলো হাইকোর্ট 

গত সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি নির্দেশ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিল আইনজীবীদের একাংশ। তখন এক আইনজীবীকে তাঁর আচরণের জন্য শেরিফের হাতে তুলে দিয়েছিলেন বিচারপতি। পরে তিনি সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করলেও আইনজীবীদের একাংশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস বয়কট করবেন বলে জানিয়েছিলেন। তারপর মঙ্গলবার ও বুধবার এজলাসে বসেননি বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা বেজে ৩০ মিনিটের দিকে ১৭ নম্বর কোর্টে নিজের এজলাসে আসেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বরাবরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থাকে ভিড়ে ঠাসা। একের পর এক মামলার শুনানি হয়। বৃহস্পতিবারও আইনজীবীদের একাংশ ছিলেন অনুপস্থিত। তাই ভিড় ছিল অপেক্ষাকৃত কম।

আরও পড়ুন: এসএসসি মামলায় রাজ্যের স্বস্তি, মামলায় জরুরি হস্তক্ষেপে ‘না’ হাইকোর্টের, নিয়োগে রইল না বাধা

 

আরও পড়ুন: হাওড়ায় রামনবমী পালনে আয়োজকদের ‘কড়া শর্তাবলি’ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

তালিকা অনুযায়ী প্রায় ১১টি মামলা শুনানির জন্য ডাকা হয়েছিল। তবে বেশিরভাগ মামলার আইনজীবীই ছিলেন অনুপস্থিত। বেলা ১২ টার দিকে তিনি চলে যান বলে জানা গেছে। ত্রিশ মিনিটের মাথায় মোট ৫টি মামলার শুনানি হয়। এর মধ্যে ২ টি মামলায় সওয়াল করেন আইনজীবী। বাকি ৩ মামলায় মামলাকারী নিজেই বিচারপতির কাছে সওয়াল করেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, ‘যদি নির্দিষ্ট মামলাগুলির দু’পক্ষের আইনজীবী উপস্থিত না থাকেন, তবে এক পক্ষের সওয়াল শুনে তিনি কোনও নির্দেশ দেবেন না’। হাইকোর্ট পাড়ায় আইনজীবীদের মধ্যে এই বিষয়ে আলোচনা তুঙ্গে।