১৯ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আল-আকসা মসজিদ ও দখলদার ইসরাইলিদের সহিংসতা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২২, শনিবার
  • / 82

পুবের কলম প্রতিবেদক: পবিত্র আল আকসা-মসজিদ। মুসলমানদের প্রথম কেবলা। তবে জেরুজালেমের এই স্থানটিকেই নিজেদের পবিত্র স্থান হিসেবে দাবি করে আসছে ইহুদি এবং খ্রিস্টানরাও। ১৯৬৭ সালে আরবদের সঙ্গে যুদ্ধের পর মসজিদটি দখল করে নেয় ইসরাইল। এরপর থেকে মসজিদটিতে ইবাদতের জন্য, দখলদার বাহিনীর ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপরই তাকিয়ে থাকতে হয় ফিলিস্তিনের সাধারণ মুসল্লিদের। খ্রিস্টপূর্ব ১০০৪ সালে মসজিদটি পুনর্র্নিমাণ করেন হযরত সোলায়মান আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এরপর বিভিন্ন সময়ই এর সংস্কার করা হয়। দু’টি বড় ও ১০টি ছোট গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটিতে প্রকাশ পেয়েছে নির্মাণশৈলীর এক মনোমুগ্ধকর প্রতিচ্ছবি।

১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনি ভূমি অবৈধভাবে দখলের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় ইহুদিরাষ্ট্র ইসরাইল। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৬৭ সালে আরবদের সঙ্গে যুদ্ধে, আল-আকসা মসজিদ দখল করে নেয় দেশটি। এরপর থেকেই এটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে দখলদার বাহিনী। আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর আল-আকসা পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছিল ইসরাইল। এমনকি ১৯৬৯ সালে পবিত্র মসজিটিতে অগ্নিসংযোগও করেছিল দখলদাররা। এরপর নানা বিধি-নিষেধ আর শর্ত পূরণের মাধ্যমে সেখানে ইবাদতের সুযোগ পেতেন সাধারণ মুসল্লিরা।

আরও পড়ুন: সুদানে মসজিদে ড্রোন হামলা, নিহত ৭৮

এরপরও বহুবার বিভিন্ন অজুহাতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী আল-আকসা মসজিদ ফিলিস্তিনিদের জন্য বন্ধ করে দেয়। ২০০৩ সালে জেরুজালেমে অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিদের আল-আকসায় প্রবেশের অনুমতি দেয় ইসরাইল। এরপর থেকে সঙ্কট আরো ঘনীভূত হয়। বিভিন্ন সময় ইহুদিরা মসজিদের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে মুসল্লীদের ওপর হামলা চালায়। সাম্প্রতিককালে প্রায় প্রতি রোযাতেই সহিংসতার ঘটনা ঘটাচ্ছে ইসরাইলি দখলদাররা।

আরও পড়ুন: ব্রিটেনের রয়্যাল ডিফেন্স কলেজে ইসরাইলিদের নিষেধাজ্ঞা

 

আরও পড়ুন: আল-আকসা রক্ষায় বিশ্বজুড়ে মসজিদগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আল-আকসা মসজিদ ও দখলদার ইসরাইলিদের সহিংসতা

আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২২, শনিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: পবিত্র আল আকসা-মসজিদ। মুসলমানদের প্রথম কেবলা। তবে জেরুজালেমের এই স্থানটিকেই নিজেদের পবিত্র স্থান হিসেবে দাবি করে আসছে ইহুদি এবং খ্রিস্টানরাও। ১৯৬৭ সালে আরবদের সঙ্গে যুদ্ধের পর মসজিদটি দখল করে নেয় ইসরাইল। এরপর থেকে মসজিদটিতে ইবাদতের জন্য, দখলদার বাহিনীর ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপরই তাকিয়ে থাকতে হয় ফিলিস্তিনের সাধারণ মুসল্লিদের। খ্রিস্টপূর্ব ১০০৪ সালে মসজিদটি পুনর্র্নিমাণ করেন হযরত সোলায়মান আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এরপর বিভিন্ন সময়ই এর সংস্কার করা হয়। দু’টি বড় ও ১০টি ছোট গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটিতে প্রকাশ পেয়েছে নির্মাণশৈলীর এক মনোমুগ্ধকর প্রতিচ্ছবি।

১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনি ভূমি অবৈধভাবে দখলের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় ইহুদিরাষ্ট্র ইসরাইল। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৬৭ সালে আরবদের সঙ্গে যুদ্ধে, আল-আকসা মসজিদ দখল করে নেয় দেশটি। এরপর থেকেই এটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে দখলদার বাহিনী। আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর আল-আকসা পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছিল ইসরাইল। এমনকি ১৯৬৯ সালে পবিত্র মসজিটিতে অগ্নিসংযোগও করেছিল দখলদাররা। এরপর নানা বিধি-নিষেধ আর শর্ত পূরণের মাধ্যমে সেখানে ইবাদতের সুযোগ পেতেন সাধারণ মুসল্লিরা।

আরও পড়ুন: সুদানে মসজিদে ড্রোন হামলা, নিহত ৭৮

এরপরও বহুবার বিভিন্ন অজুহাতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী আল-আকসা মসজিদ ফিলিস্তিনিদের জন্য বন্ধ করে দেয়। ২০০৩ সালে জেরুজালেমে অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিদের আল-আকসায় প্রবেশের অনুমতি দেয় ইসরাইল। এরপর থেকে সঙ্কট আরো ঘনীভূত হয়। বিভিন্ন সময় ইহুদিরা মসজিদের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে মুসল্লীদের ওপর হামলা চালায়। সাম্প্রতিককালে প্রায় প্রতি রোযাতেই সহিংসতার ঘটনা ঘটাচ্ছে ইসরাইলি দখলদাররা।

আরও পড়ুন: ব্রিটেনের রয়্যাল ডিফেন্স কলেজে ইসরাইলিদের নিষেধাজ্ঞা

 

আরও পড়ুন: আল-আকসা রক্ষায় বিশ্বজুড়ে মসজিদগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান