খিদিরপুরে পুড়ে খাক অন্তত ১৩০০ দোকান, দমকল দেরিতে আসার অভিযোগ, তা মানতে নারাজ দমকলমন্ত্রী

- আপডেট : ১৬ জুন ২০২৫, সোমবার
- / 52
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি খিদিরপুরের অরফ্যানগঞ্জ মার্কেটের আগুন। পুড়ে ছাই অন্তত ১৩০০ দোকান। মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের। দমকল সময়মতো আসেনি বলেই অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের। যদিও সে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু।
রবিবার রাত ১টা হবে। খিদিরপুরের অরফ্যানগঞ্জ মার্কেটে আগুন লেগে যায়। সেখানে রয়েছে তেল এবং মাখনের গুদাম। তার ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
একের পর এক দোকান এবং গুদামে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় দমকলে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তাতেও টনক নড়েনি দমকলের।
স্থানীয় ওয়াটগঞ্জ থানায় কেউ ফোন ধরেনি বলেও অভিযোগ। ব্যবসায়ীদের দাবি, এরপর ১০০ নম্বরে ডায়াল করেন তাঁরা। তার প্রায় ঘণ্টা দেড়েক পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ২০টি ইঞ্জিন।
ব্যবসায়ীদের আরও অভিযোগ, দমকলের কাছে প্রয়োজনীয় জল ছিল না। গঙ্গা থেকে জলের ব্যবস্থা করে বেশ কিছুক্ষণ পর আগুন নেভানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। সোমবার সকালেও একাধিক জায়গায় পকেট ফায়ার রয়ে গিয়েছে।
বহু প্রাচীন এই মার্কেটে দামী মশলা থেকে ফল, নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সমস্ত জিনিসপত্রের দোকান রয়েছে। রবিবার রাতের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১৩০০ দোকান পুড়ে ছাই বলেই খবর।
স্বাভাবিকভাবেই মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের। দমকল সময়মতো কাজ শুরু করলে, এত বড় ক্ষতি হয়তো হত না বলেই দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।
এদিকে, এদিন সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। দমকলের গাফিলতির অভিযোগ কার্যত নস্যাৎ করে দেন।
তাঁর দাবি, খবর পাওয়ামাত্রই দমকল কাজ শুরু করে। অরফ্যানগঞ্জ মার্কেট লাগোয়া এলাকা অত্যন্ত ঘিঞ্জি। তাই আগুনের উৎসস্থলের কাছাকাছি পৌঁছতে বেশ খানিকটা বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের।
ওই মার্কেটে কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।