২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিনে করোনায় আক্রান্ত অন্তত ৯০ কোটি মানুষ; গবেষণা  

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৪ জানুয়ারী ২০২৩, শনিবার
  • / 110

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: চিনে প্রায় ৯০ কোটি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।  মহামারি শুরুর পর থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত আক্রান্তের এই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে পিকিং ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিনের মোট জনসংখ্যার ৬৪ শতাংশই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে, গানসু প্রদেশের ৯১ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছেন অর্থাৎ ২৩৯ মিলিয়ন বা ২৩ কোটি ৯০ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত।  জনসংখ্যার নিরিখে আক্রান্তের দিক দিয়ে প্রদেশটি শীর্ষে রয়েছে। এরপর রয়েছে ইউনান ৮৪ শতাংশ ও কিনঘাই ৮০ শতাংশ। চিনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের আশঙ্কা, করোনার নতুন ঢেউয়ে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। এছাড়াও আগামী ২১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে যাওয়া লুনার নিউ ইয়ার বা চন্দ্রবর্ষ ঘিরে চিনের গ্রামীণ অঞ্চলে করোনার ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে। কারণ, দেশটির সর্ববৃহৎ এই উৎসবের সময় লক্ষ লক্ষ চিনা শ্রমিক স্বজনদের কাছে গ্রামে ফেরে। বিপুল সংখ্যক মানুষের স্থানান্তরে সংক্রমণ ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে। যদিও এরই মধ্যে দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। এক সাক্ষাৎকারে চিনা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের প্রাক্তন প্রধান জেং গুয়াং জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণের এই স্রোত আরও অন্তত দু-তিন মাস স্থায়ী হবে।  উল্লেখ্য, চিনে করোনার চতুর্থ ঢেউ চলছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে জিনপিং সরকার। বর্তমানে বেজিং এবং সাংহাইয়ের মতো বড় শহরগুলো সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সময় পার করছে।

আরও পড়ুন: চিনের সতর্কবার্তা: ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা বিশ্বে বিপর্যয় নামিয়ে আনতে পারে

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

চিনে করোনায় আক্রান্ত অন্তত ৯০ কোটি মানুষ; গবেষণা  

আপডেট : ১৪ জানুয়ারী ২০২৩, শনিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: চিনে প্রায় ৯০ কোটি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।  মহামারি শুরুর পর থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত আক্রান্তের এই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে পিকিং ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিনের মোট জনসংখ্যার ৬৪ শতাংশই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে, গানসু প্রদেশের ৯১ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছেন অর্থাৎ ২৩৯ মিলিয়ন বা ২৩ কোটি ৯০ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত।  জনসংখ্যার নিরিখে আক্রান্তের দিক দিয়ে প্রদেশটি শীর্ষে রয়েছে। এরপর রয়েছে ইউনান ৮৪ শতাংশ ও কিনঘাই ৮০ শতাংশ। চিনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের আশঙ্কা, করোনার নতুন ঢেউয়ে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। এছাড়াও আগামী ২১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে যাওয়া লুনার নিউ ইয়ার বা চন্দ্রবর্ষ ঘিরে চিনের গ্রামীণ অঞ্চলে করোনার ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে। কারণ, দেশটির সর্ববৃহৎ এই উৎসবের সময় লক্ষ লক্ষ চিনা শ্রমিক স্বজনদের কাছে গ্রামে ফেরে। বিপুল সংখ্যক মানুষের স্থানান্তরে সংক্রমণ ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে। যদিও এরই মধ্যে দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। এক সাক্ষাৎকারে চিনা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের প্রাক্তন প্রধান জেং গুয়াং জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণের এই স্রোত আরও অন্তত দু-তিন মাস স্থায়ী হবে।  উল্লেখ্য, চিনে করোনার চতুর্থ ঢেউ চলছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে জিনপিং সরকার। বর্তমানে বেজিং এবং সাংহাইয়ের মতো বড় শহরগুলো সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সময় পার করছে।

আরও পড়ুন: চিনের সতর্কবার্তা: ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা বিশ্বে বিপর্যয় নামিয়ে আনতে পারে