২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘কৃষক-দাবি পূরণ না হলে বিজেপি ক্ষমতায় ফিরবে না ,হঠাৎ কেন এমন বেসুরো রাজ্যপাল সত্যপাল

মাসুদ আলি
  • আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২১, সোমবার
  • / 28

বিধানসভা ভোটের আগে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের অস্বস্তি বাড়ালেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক।তিনি বলেন, কৃষকদের দাবি পূরণ না করলে আগামী বছরের বিধানসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে বিজেপির পক্ষে ক্ষমতা ধরে রাখা সম্ভব নয় বলে মনে করেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তথা রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। বিক্ষোভকারী কৃষকদের দাবি পূরণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি। রাজস্থানের ঝুনঝুন জেলায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মেঘালয়ের রাজ্যপাল বলেন, “যদি কৃষকদের দাবি পূরণ না হয়, তাহলে এই সরকার ক্ষমতায় ফিরবে না”।

কৃষকদের দাবি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে রাজ্যপাল বলেন, উত্তরপ্রদেশের বহু গ্রামে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, বিজেপি নেতারা সেখানে ঢুকতে পারছেন না। সত্যপাল উত্তরপ্রদেশের মিরাটের বাসিন্দা। তিনি বলেন, মিরাটের বহু গ্রামে বিজেপি নেতারা এখন আর ঢুকতে পারেন না। তবে শুধু মিরাট নয়, বাগপত, গোরক্ষপুর, মুজাফফরনগর-সহ বহু গ্রামে একই ছবি।

আরও পড়ুন: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জমি, চাষিদের পাশে দাঁড়াতে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের

মোদি সরকার যদি আইন বাতিলের দাবি না মানে তাহলে তিনি কি কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য পদত্যাগ করবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে সত্যপাল বলেন, তিনি সর্বদাই কৃষকদের পাশে রয়েছেন। তবে পরিস্থিতি এতটা খারাপ নয় যে, তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে। তবে প্রয়োজন হলে তিনি অবশ্যই পদত্যাগ করবেন।

আরও পড়ুন: ১ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ফুলকপি! ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ফসল নষ্ট করছেন যোগীরাজ্যের কৃষকরা

কৃষি আইন নিয়ে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান সূত্রও বাতলেছেন সত্যপাল। তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার যদি আইনগতভাবে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের গ্যারান্টি বা নিশ্চয়তা দেয় তাহলেই তো সব সমস্যা মিটে যাবে। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নিশ্চয়তা পেলে কৃষকরা অবশ্যই তাঁদের আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াবেন। কিন্তু সরকার এই সামান্য কাজটুকু করছে না। সত্যপালের দাবি তিনি বিষয়টি অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানিয়েছেন। সরকারিভাবে তিনি প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এবিষয়ে অবশ্য কোনও কথা বলেননি। ভবিষ্যতে তিনি ব্যক্তিগতভাবে এই দুইজনকে কৃষি আইন নিয়ে তার মতামত আবারও জানাবেন বলে জানান রাজ্যপাল জানান।

আরও পড়ুন: টমেটোর দর ১ টাকা কেজি, উৎপাদন খরচও উঠছে না কৃষকদের

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘কৃষক-দাবি পূরণ না হলে বিজেপি ক্ষমতায় ফিরবে না ,হঠাৎ কেন এমন বেসুরো রাজ্যপাল সত্যপাল

আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২১, সোমবার

বিধানসভা ভোটের আগে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের অস্বস্তি বাড়ালেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক।তিনি বলেন, কৃষকদের দাবি পূরণ না করলে আগামী বছরের বিধানসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে বিজেপির পক্ষে ক্ষমতা ধরে রাখা সম্ভব নয় বলে মনে করেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তথা রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। বিক্ষোভকারী কৃষকদের দাবি পূরণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি। রাজস্থানের ঝুনঝুন জেলায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মেঘালয়ের রাজ্যপাল বলেন, “যদি কৃষকদের দাবি পূরণ না হয়, তাহলে এই সরকার ক্ষমতায় ফিরবে না”।

কৃষকদের দাবি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে রাজ্যপাল বলেন, উত্তরপ্রদেশের বহু গ্রামে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, বিজেপি নেতারা সেখানে ঢুকতে পারছেন না। সত্যপাল উত্তরপ্রদেশের মিরাটের বাসিন্দা। তিনি বলেন, মিরাটের বহু গ্রামে বিজেপি নেতারা এখন আর ঢুকতে পারেন না। তবে শুধু মিরাট নয়, বাগপত, গোরক্ষপুর, মুজাফফরনগর-সহ বহু গ্রামে একই ছবি।

আরও পড়ুন: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জমি, চাষিদের পাশে দাঁড়াতে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের

মোদি সরকার যদি আইন বাতিলের দাবি না মানে তাহলে তিনি কি কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য পদত্যাগ করবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে সত্যপাল বলেন, তিনি সর্বদাই কৃষকদের পাশে রয়েছেন। তবে পরিস্থিতি এতটা খারাপ নয় যে, তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে। তবে প্রয়োজন হলে তিনি অবশ্যই পদত্যাগ করবেন।

আরও পড়ুন: ১ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ফুলকপি! ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ফসল নষ্ট করছেন যোগীরাজ্যের কৃষকরা

কৃষি আইন নিয়ে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান সূত্রও বাতলেছেন সত্যপাল। তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার যদি আইনগতভাবে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের গ্যারান্টি বা নিশ্চয়তা দেয় তাহলেই তো সব সমস্যা মিটে যাবে। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নিশ্চয়তা পেলে কৃষকরা অবশ্যই তাঁদের আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াবেন। কিন্তু সরকার এই সামান্য কাজটুকু করছে না। সত্যপালের দাবি তিনি বিষয়টি অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানিয়েছেন। সরকারিভাবে তিনি প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এবিষয়ে অবশ্য কোনও কথা বলেননি। ভবিষ্যতে তিনি ব্যক্তিগতভাবে এই দুইজনকে কৃষি আইন নিয়ে তার মতামত আবারও জানাবেন বলে জানান রাজ্যপাল জানান।

আরও পড়ুন: টমেটোর দর ১ টাকা কেজি, উৎপাদন খরচও উঠছে না কৃষকদের