০২ জুন ২০২৫, সোমবার, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কালবৈশাখীর জেরে আলুতে পচন, ঋণে জেরবার কৃষকদের আত্মহত্যার হুমকি

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 38

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ কালবৈশাখীর খামখেয়ালিপনায় আলুতে পচন । ক্ষেত থেকে আলু তুলতে পারলো না সাঁকোয়াঝোরার কৃষকরা। ঋণের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে আত্মহত্যার হুমকি কৃষকদের। ডুয়ার্সের গয়েরকাটার সাঁকোয়াঝোরা এলাকার ঘটনা।

টানা কয়ের দিনের বিক্ষিপ্ত কালবৈশাখী ঝড় বৃষ্টির কারণে কৃষকদের চাষের জমিতে জল জমে যায়। প্রথমদিকে ভেবেছিলো তেমন কিছু হবে না। তবে গত চার পাঁচদিন ধরে আলু জলের তলে থাকায় তাতে শুরু হয়েছে পচন। এদিক সকলে কৃষকরা ক্ষেত থেকে আলু তুলতে গেলেই এই দৃশ্য দেখতেই কপালে হাত। কারণ অনেকেই বিভিন্ন ঋণদানকারী সংস্থার থেকে ঋণ নিয়ে এই আলু চাষ করেছিলেন কিছু লাভের আশায়। এখন এই ঋণের টাকা কিভাবে শোধ করবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সকলেই। কৃষি দফতরের কোনো কর্তাদের এখনো পর্যন্ত কোনো দেখা মেলেনি বলেই দাবি চাষীদের।

আরও পড়ুন: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জমি, চাষিদের পাশে দাঁড়াতে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের

কালবৈশাখীর জেরে আলুতে পচন, ঋণে জেরবার কৃষকদের আত্মহত্যার হুমকি

আরও পড়ুন: ১ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ফুলকপি! ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ফসল নষ্ট করছেন যোগীরাজ্যের কৃষকরা

এদিকে চাষীদের আলুর পচনের কথা শুনে বৃহস্পতিবার সকালে এলাকায় ছুটে আসেন সাঁকোয়াঝোরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিনোদ ওরাও। তিনি সরজমিনে গিয়ে কৃষকদের চাষের জমি খতিয়ে দেখে কৃষিদের সমস্যার কথা শুনে কৃষি বিভাগে জানাবেন বলেই আশ্বাস দেন।

আরও পড়ুন: টমেটোর দর ১ টাকা কেজি, উৎপাদন খরচও উঠছে না কৃষকদের

আলু চাষী ওলিয়ার রহমান জানিয়েছে, আমি সাধারণ গরিব কৃষক কোন রকম ভাবে পাঁচ বিঘা আলু চাষ করেছি। আজ বিঘা আলুই এখন জলের তলায়। অল্প কিছু আলো তুলতে পারলেও, বাকি সব আলু জলের তলায় পচে গেছে। সরকার ক্ষতিপূরণ না দিলে এখন আমাদের মরণ ছাড়া আর কোন রাস্তা নেই।

কালবৈশাখীর জেরে আলুতে পচন, ঋণে জেরবার কৃষকদের আত্মহত্যার হুমকি

আনোয়ারা বেগম সহ অন্যান্য কৃষকদের মুখেও একই কথা । তাদের কথায়, এই এলাকার প্রায় প্রত্যেকের বিঘার পর বিঘা জমিতে থাকা আলু বৃষ্টিতে এখন জলের তলায় সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আর আলু তোলার উপায় নেই। অনেকেই ঋণ নিয়ে আলু চাষ করেছি আলোর এই অবস্থা দেখে টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে পাওনাদার।

এবিষয়ে সাঁকোয়াঝোড়া ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিনোদ ওরাও বলেন, আলু চাষিরা ফোন করে ডেকেছিল এসে দেখি এখানকার আলুর অবস্থা খুবই খারাপ। সহ কৃষি অধিকর্তার মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন জানানোর ব্যবস্থা করব। এই আলু বিক্রি করার মতো পরিস্থিতি নেই। কৃষকদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারকে অনুরোধ করব।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কালবৈশাখীর জেরে আলুতে পচন, ঋণে জেরবার কৃষকদের আত্মহত্যার হুমকি

আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ কালবৈশাখীর খামখেয়ালিপনায় আলুতে পচন । ক্ষেত থেকে আলু তুলতে পারলো না সাঁকোয়াঝোরার কৃষকরা। ঋণের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে আত্মহত্যার হুমকি কৃষকদের। ডুয়ার্সের গয়েরকাটার সাঁকোয়াঝোরা এলাকার ঘটনা।

টানা কয়ের দিনের বিক্ষিপ্ত কালবৈশাখী ঝড় বৃষ্টির কারণে কৃষকদের চাষের জমিতে জল জমে যায়। প্রথমদিকে ভেবেছিলো তেমন কিছু হবে না। তবে গত চার পাঁচদিন ধরে আলু জলের তলে থাকায় তাতে শুরু হয়েছে পচন। এদিক সকলে কৃষকরা ক্ষেত থেকে আলু তুলতে গেলেই এই দৃশ্য দেখতেই কপালে হাত। কারণ অনেকেই বিভিন্ন ঋণদানকারী সংস্থার থেকে ঋণ নিয়ে এই আলু চাষ করেছিলেন কিছু লাভের আশায়। এখন এই ঋণের টাকা কিভাবে শোধ করবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সকলেই। কৃষি দফতরের কোনো কর্তাদের এখনো পর্যন্ত কোনো দেখা মেলেনি বলেই দাবি চাষীদের।

আরও পড়ুন: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জমি, চাষিদের পাশে দাঁড়াতে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের

কালবৈশাখীর জেরে আলুতে পচন, ঋণে জেরবার কৃষকদের আত্মহত্যার হুমকি

আরও পড়ুন: ১ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ফুলকপি! ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ফসল নষ্ট করছেন যোগীরাজ্যের কৃষকরা

এদিকে চাষীদের আলুর পচনের কথা শুনে বৃহস্পতিবার সকালে এলাকায় ছুটে আসেন সাঁকোয়াঝোরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিনোদ ওরাও। তিনি সরজমিনে গিয়ে কৃষকদের চাষের জমি খতিয়ে দেখে কৃষিদের সমস্যার কথা শুনে কৃষি বিভাগে জানাবেন বলেই আশ্বাস দেন।

আরও পড়ুন: টমেটোর দর ১ টাকা কেজি, উৎপাদন খরচও উঠছে না কৃষকদের

আলু চাষী ওলিয়ার রহমান জানিয়েছে, আমি সাধারণ গরিব কৃষক কোন রকম ভাবে পাঁচ বিঘা আলু চাষ করেছি। আজ বিঘা আলুই এখন জলের তলায়। অল্প কিছু আলো তুলতে পারলেও, বাকি সব আলু জলের তলায় পচে গেছে। সরকার ক্ষতিপূরণ না দিলে এখন আমাদের মরণ ছাড়া আর কোন রাস্তা নেই।

কালবৈশাখীর জেরে আলুতে পচন, ঋণে জেরবার কৃষকদের আত্মহত্যার হুমকি

আনোয়ারা বেগম সহ অন্যান্য কৃষকদের মুখেও একই কথা । তাদের কথায়, এই এলাকার প্রায় প্রত্যেকের বিঘার পর বিঘা জমিতে থাকা আলু বৃষ্টিতে এখন জলের তলায় সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আর আলু তোলার উপায় নেই। অনেকেই ঋণ নিয়ে আলু চাষ করেছি আলোর এই অবস্থা দেখে টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে পাওনাদার।

এবিষয়ে সাঁকোয়াঝোড়া ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিনোদ ওরাও বলেন, আলু চাষিরা ফোন করে ডেকেছিল এসে দেখি এখানকার আলুর অবস্থা খুবই খারাপ। সহ কৃষি অধিকর্তার মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন জানানোর ব্যবস্থা করব। এই আলু বিক্রি করার মতো পরিস্থিতি নেই। কৃষকদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারকে অনুরোধ করব।