২৫ জুন ২০২৫, বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বর্ধমানে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে সঙ্ঘবদ্ধতার শপথে মন্ত্রী চন্দ্রিমা

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১০ জানুয়ারী ২০২৪, বুধবার
  • / 24

এস জে আব্বাস, পূর্ব বর্ধমান: কেন্দ্র সরকারের বাংলার প্রতি বঞ্চনা, একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা না দেওয়া ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সহ মহিলাদের অসম্মানের প্রতিবাদে পূর্ব বর্ধমান জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে মঙ্গলবার সংস্কৃতি লোকমঞ্চে এক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রাজ্য সহ-সভানেত্রী স্মিতা বক্সি, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, জেলা তৃনমূলের চেয়ারম্যান বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী, প্রাক্তন সাংসদ মমতাজ সংঘমিতা, রাজ্য তৃণমূল আদিবাসী সেলের চেয়ারম্যান দেবু টুডু, বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য, যুব তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রাসবিহারী হালদার, জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী শিখা দত্ত সেনগুপ্ত, রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস, প্রাক্তন বিধায়িকা নার্গিস বেগম, গার্গী নাহা ও সুভাষ মন্ডল সহ অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দ।

 

আরও পড়ুন: অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বাজেট পেশ, তুমুল বিক্ষোভ বিজেপির , হাল ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী  

মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আগত মহিলা কর্মী ও নেতৃত্ববৃন্দের কাছে নারীদের সম্মান ও মর্যাদার ব্যাপারে দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনা করে বক্তব্যে বুঝিয়ে দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের ক্ষমতায়ন ও সম্মান রক্ষায় বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, আমাদের গর্ভের যে সম্মান ঈশ্বর আমাদের দিয়েছেন, সেই গর্ভে আমরা যদি ১০ মাস ১০ দিন না রাখতাম তাহলে এই সমাজ তৈরি হত না। আমরা দারুণ যন্ত্রণাকে অগ্রাহ্য করি। কারণ, নতুন সৃষ্টির আনন্দে উল্লসিত হই। কেন্দ্রের “বেটি পড়াও বেটি বাঁচাও” এর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, সেই জীবনকে রক্ষা করার দায়িত্ব আর সমাজকে সমৃদ্ধ করার দায়িত্ব আমরাই নিতে পারি। তাই মেয়েদের এই কাজের জন্য সচেতনতার দরকার নেই। মা নিজেই সচেতন।

 

মন্ত্রী প্রশ্ন তুলে বলেন, কেন আমাদের ছেলেদের সাথে সংঘর্ষ বা বিবাদ থাকবে? ছেলে হলে কি কম ব্যথা হয়, আর মেয়ে হলে কি বেশি ব্যথা হয়? তাই মেয়েকে পড়াতে হবে। মেয়ে কোনো বোঝা নয়। “কন্যাশ্রী” দিয়ে মেয়েদের পড়াশোনা করে এগিয়ে যাওয়ার কথা ভেবেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পড়াশুনোর পরে তার যদি ১৮ বছরের বেশি বয়স হয়, অভিভাবকগণ যদি মনে করেন বিয়ে দিতে হবে, অবশ্যই দেবেন। তার জন্য “রূপশ্রী” নিয়ে সরকার দাঁড়িয়ে আছে। এটাই হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত নিয়ে বলতে গিয়ে এর উৎস কবে সে প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে অক্টোবর মাসে। আর স্বাস্থ্যসাথী ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। কে আগে করল? কে টুকলো? কেন্দ্রের সরকার। কিন্তু টুকতে গেলে পড়তে হয়। ওটা নিলে ৫৬ লক্ষ পরিবার আসতো। আর স্বাস্থ্যসাথীতে আড়াই কোটি পরিবার। কোনটা নেবেন? পুরো টাকা দেবে না। ১০০ টাকায় ৬০ টাকা দেবে। আমাকে চল্লিশ টাকা দিতে হবে। আয়ুষ্মান ভারত সহ অন্যান্য প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর ছবি প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ছবি থাকবে কেন? আপনি তো প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীকে তো সবাই চেনে। যে কাজ করে না তাকে ছবি দিয়ে চেনাতে হয়। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসাথীতে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নেই। স্বাস্থ্যসাথীতে মহিলাকে প্রধান করে দেওয়ার অর্থ তাকে আরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যে দায়িত্ব শাশুড়ি-শ্বশুর-স্বামী-সন্তানের প্রতি মহিলার। মা-ও থাকবে শাশুড়িও থাকবে। অর্থাৎ পরিবারকে বড় করে দেওয়া হল। মুখটা তো তারই থাকবে। আমাদের স্বাস্থ্যসাথীতে তাই আমাদের মায়ের ছবি।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বর্ধমানে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে সঙ্ঘবদ্ধতার শপথে মন্ত্রী চন্দ্রিমা

আপডেট : ১০ জানুয়ারী ২০২৪, বুধবার

এস জে আব্বাস, পূর্ব বর্ধমান: কেন্দ্র সরকারের বাংলার প্রতি বঞ্চনা, একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা না দেওয়া ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সহ মহিলাদের অসম্মানের প্রতিবাদে পূর্ব বর্ধমান জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে মঙ্গলবার সংস্কৃতি লোকমঞ্চে এক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রাজ্য সহ-সভানেত্রী স্মিতা বক্সি, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, জেলা তৃনমূলের চেয়ারম্যান বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী, প্রাক্তন সাংসদ মমতাজ সংঘমিতা, রাজ্য তৃণমূল আদিবাসী সেলের চেয়ারম্যান দেবু টুডু, বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য, যুব তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রাসবিহারী হালদার, জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী শিখা দত্ত সেনগুপ্ত, রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস, প্রাক্তন বিধায়িকা নার্গিস বেগম, গার্গী নাহা ও সুভাষ মন্ডল সহ অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দ।

 

আরও পড়ুন: অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বাজেট পেশ, তুমুল বিক্ষোভ বিজেপির , হাল ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী  

মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আগত মহিলা কর্মী ও নেতৃত্ববৃন্দের কাছে নারীদের সম্মান ও মর্যাদার ব্যাপারে দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনা করে বক্তব্যে বুঝিয়ে দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের ক্ষমতায়ন ও সম্মান রক্ষায় বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, আমাদের গর্ভের যে সম্মান ঈশ্বর আমাদের দিয়েছেন, সেই গর্ভে আমরা যদি ১০ মাস ১০ দিন না রাখতাম তাহলে এই সমাজ তৈরি হত না। আমরা দারুণ যন্ত্রণাকে অগ্রাহ্য করি। কারণ, নতুন সৃষ্টির আনন্দে উল্লসিত হই। কেন্দ্রের “বেটি পড়াও বেটি বাঁচাও” এর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, সেই জীবনকে রক্ষা করার দায়িত্ব আর সমাজকে সমৃদ্ধ করার দায়িত্ব আমরাই নিতে পারি। তাই মেয়েদের এই কাজের জন্য সচেতনতার দরকার নেই। মা নিজেই সচেতন।

 

মন্ত্রী প্রশ্ন তুলে বলেন, কেন আমাদের ছেলেদের সাথে সংঘর্ষ বা বিবাদ থাকবে? ছেলে হলে কি কম ব্যথা হয়, আর মেয়ে হলে কি বেশি ব্যথা হয়? তাই মেয়েকে পড়াতে হবে। মেয়ে কোনো বোঝা নয়। “কন্যাশ্রী” দিয়ে মেয়েদের পড়াশোনা করে এগিয়ে যাওয়ার কথা ভেবেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পড়াশুনোর পরে তার যদি ১৮ বছরের বেশি বয়স হয়, অভিভাবকগণ যদি মনে করেন বিয়ে দিতে হবে, অবশ্যই দেবেন। তার জন্য “রূপশ্রী” নিয়ে সরকার দাঁড়িয়ে আছে। এটাই হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত নিয়ে বলতে গিয়ে এর উৎস কবে সে প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে অক্টোবর মাসে। আর স্বাস্থ্যসাথী ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। কে আগে করল? কে টুকলো? কেন্দ্রের সরকার। কিন্তু টুকতে গেলে পড়তে হয়। ওটা নিলে ৫৬ লক্ষ পরিবার আসতো। আর স্বাস্থ্যসাথীতে আড়াই কোটি পরিবার। কোনটা নেবেন? পুরো টাকা দেবে না। ১০০ টাকায় ৬০ টাকা দেবে। আমাকে চল্লিশ টাকা দিতে হবে। আয়ুষ্মান ভারত সহ অন্যান্য প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর ছবি প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ছবি থাকবে কেন? আপনি তো প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীকে তো সবাই চেনে। যে কাজ করে না তাকে ছবি দিয়ে চেনাতে হয়। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসাথীতে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নেই। স্বাস্থ্যসাথীতে মহিলাকে প্রধান করে দেওয়ার অর্থ তাকে আরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যে দায়িত্ব শাশুড়ি-শ্বশুর-স্বামী-সন্তানের প্রতি মহিলার। মা-ও থাকবে শাশুড়িও থাকবে। অর্থাৎ পরিবারকে বড় করে দেওয়া হল। মুখটা তো তারই থাকবে। আমাদের স্বাস্থ্যসাথীতে তাই আমাদের মায়ের ছবি।