জলাভূমির চরিত্র বদল করলেই,জেল ও জরিমানা, জানালেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য

- আপডেট : ১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 23
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: মঙ্গলবার বিধানসভায় উঠল জয়ন্ত প্রসঙ্গ। আদালতে বিচারাধীন বিষয় বলে মন্ত্রী এড়িয়ে গেলেও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, জলাভূমি ভরাট করে নির্মাণের জন্য জেল এবং জরিমানা উভয়েরই সংস্থান রয়েছে। কেউ যদি তা অমান্য করেন এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত এদিন বিধানসভায় জলাশয় ভরাট করে নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন রেখেছিলেন বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ। জলাশয় ভরাট নিয়েই তার মূল প্রশ্ন ছিল। ২০১০ সালের পরিসংখ্যান অনুসারে বিধানসভায় দুই ২৪ পরগনায় জলাশয় কত জলাশয় রয়েছে সে সম্পর্কে তথ্য দেন মন্ত্রী। তিনি জানান ২০১০ সালের পরিসংখ্যান অনুসারে উত্তর ২৪ পরগনায় জলাশয় পরিমাণ ৭৯৭ টি। এক্ষেত্রে এই জলাশয় ২.৫ হেক্টর বা তার বেশি জায়গা জুড়ে রয়েছে। এক্ষেত্রে উত্তর ২৪ পরগনায় থাকা মোট জলাশয়ের আয়তন ১ লক্ষ ৭৯২৫ হেক্টর। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এই জলাভূমির পরিমাণ ৭৫২টি। জলাশয় রয়েছে এমন এরিয়া ২.৫ হেক্টরের বেশি। মোট আয়তন এক লক্ষ ৮৮ ৯৩৩ হেক্টর।
২০২৪ সালে এই জলাশয়ের পরিমাণ কত এই প্রশ্নও করেছিলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক। কেন্দ্রীয় জলবায়ু মঞ্চ ২০২৪ সালে এই সংক্রান্ত একটি ম্যাপ তৈরি করেছে। তবে সামগ্রিকভাবে জলাশয় কত তার পরিমাণ জরিপের কাজ চলছে। সে কারণেই এই বিষয়ে তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়। জরিপের কাজ সম্পন্ন হলেই এই সংখ্যা জানানো যাবে জানিয়েছেন পরিবেশমন্ত্রী রাজ্যের চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
এ দিন মন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন মৎস্য এবং চাষ ছাড়া অন্য কোন কারণে জলাভূমির চরিত্র বদল করা যায় না। জলাশয়ের চরিত্র বদল করলে নিজের খরচে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তাকে আবার পুরনো অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হয়। যদি কেউ সেটা না করতে পারে সেক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে।
মন্ত্রী জানিয়েছেন আইনগতভাবে জলাভূমির চরিত্র বদল করলে তা পশ্চিমবঙ্গ অভ্যন্তরীণ মৎস্য আইন ১৯৮৪ অনুসারে জলাভূমির চরিত্র বদল করলে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। মৎস্য দপ্তরের আইন অনুসারে এর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসক, পুর নিগমের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে কমিশনার, পুরসভার ক্ষেত্রে নির্বাহী কর্মকর্তা।
এরপরই জয়ন্ত প্রসঙ্গ তোলেন শংকর। যদিও মন্ত্রী বিষয়টি বিচারাধীন বলে এই নিয়ে কোন উত্তর দেননি। তবে তিনি জানিয়েছেন, জলাভূমি ভরাট বা জলাভূমির চরিত্র বদলের ক্ষেত্রে আগে বলা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তবে তিনি এও জানিয়েছেন সরাসরি পরিবেশ দপ্তর এই সমস্ত অভিযোগে কোন পদক্ষেপ নেয় না। যেহেতু পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ অভ্যন্তরীণ মৎস্য আইন ১৯৮৪-তে স্পষ্টভাবে বিষয়টি বলা আছে কি ব্যবস্থা নেবে, সেই কর্তৃপক্ষই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করে।