ইরান থেকে তেল কিনতেই পারে চিন, তবে আমাদের কাছ থেকেও কিনুক: ট্রাম্প

- আপডেট : ২৫ জুন ২০২৫, বুধবার
- / 17
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: রবিবার ভোররাতে ওপেক সদস্য ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালায় আমেরিকা। এরপর কাতারে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে প্রত্যাঘাত করে ইরান। ইরান-ইসরাইলের যুদ্ধে আমেরিকার প্রবেশ নিয়ে তরজা তুঙ্গে ওঠে। এরপরেই বিশ্ববাসীকে চমকে দিয়ে মঙ্গলবার কাকভোরে ট্রুথে পোস্ট করে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির কথা ঘোষণা করে। এরপরের কয়েকঘণ্টা বেশ ঘটনাবহুল হয়ে ওঠে। বিশ্ব তাকিয়ে থাকে ইরান-ইসরাইলের যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তের দিকে। দুই দেশই আপাতত যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি জানিয়েছে। এরকম পরিস্থিত চিনকে তেল কেনার প্রস্তাব দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম। ইরানের কাছ থেকে তেল কেনে চিন। আমেরিকার থেকেও কেনার আহ্বান জানিয়েছেন ডোনাল্ড। মঙ্গলবার ট্রাম্প ট্রুথে লেখেন, “চিন ইরান থেকে তেল কিনতেই পারে। আশা করি ভবিষ্যতে আমেরিকা থেকেও প্রচুর পরিমাণে তেল ক্রয় করবে। এটি হলে আমি সম্মানিত বোধ করব।”
তবে ট্রাম্পের এই প্রস্তাবকে নিছকই বাণিজ্যিক কৌশল হিসাবে দেখছে না রাজনৈতিক মহল। এর পিছনে যে কূটনৈতিক ও কৌশলগত দিক রয়েছে তাও মনে করছে বিশ্ব।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বার গোদিতে বসেই ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ও মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সন্ত্রাসে অর্থ যোগানের অভিযোগে দেশটির ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগ করা হবে। সেই ধারাবাহিকতায়, ইরানের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এর মধ্যে চিনের বেশ কয়েকটি তথাকথিত স্বাধীন ‘টিপট’ তেল শোধনাগার ও বন্দরের টার্মিনাল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানও পড়ে।
তবে, ইরান থেকে তেল কেনার নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি প্রত্যাহার করতে হলে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ, বিদেশমন্ত্রক এবং কংগ্রেসকে উদ্যোগ নিতে হবে। যদিও ট্রাম্প প্রশাসন চাইলে এসব নিষেধাজ্ঞা কার্যকর না রাখার সুযোগও রয়েছে। যা বিশ্ব বাজারে ইরানি তেলের প্রবাহ অনেকটাই বাড়িয়ে দিতে পারে।