০৩ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইফতার তৈরির সময় গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন, রতুয়ায় পুড়ল সাতটি বাড়ি 

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২২, সোমবার
  • / 18

পুবের কলম প্রতিবেদক, চাঁচল: ইফতার সামগ্রী রান্না করার সময় সিলিন্ডার ফেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। পুড়ে ছাই হয়ে সাত ভাইয়ের সাতটি ঘর। রবিবার সন্ধ্যায় রতুয়া-১ ব্লকের চাঁদমুনি-২ পঞ্চায়েতের বোনডাঙ্গা গ্রামের ঘটনা।

ইফতারের আগের মুহুর্তে গ্রামবাসীরা আগুন নেভানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেন। দেড়ঘন্টা পরে চাঁচল থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে অবশ্য সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই ঘটনার পরে রতুয়ায় ফের অগ্নি নির্বাপন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি জানালেন বাসিন্দারা। তাদের বক্তব্য, প্রায় পঁচিশ কিমি দূর থেকে দমকলের ইঞ্জিন আগুন নেভাতে আসার আগেই সব শেষ হয়ে গিয়েছে। রতুয়ায় একটি দমকল কেন্দ্র থাকলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই এড়ানো যেত।

আরও পড়ুন: হোয়াইট হাউজে ইফতার ট্রাম্পের

রবিবার ইফতার সামগ্রী রান্না করার সময় তফজুলের বাড়িতে গ্যাসের সিলিন্ডার ফেটে আগুন লাগে। এরপর একে একে আশেপাশের ঘরগুলিতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বাড়িঘর পুড়ে ছারখার হয়ে যাওয়ায় পথে বসেছেন সাতভাই তাজামুল, এমদাদুল, জামিরুল, তফজুল, জাহিদুল সাইদুল ও এনামুল। এই খবর পাওয়ার পরে সেখানে ইফতার সামগ্রী ও পরনের কাপড় নিয়ে পৌঁছান চাঁদমুনি-২ অঞ্চলের যুব তৃণমূলের নেতা ইশরার হোসেন রিকো।

আরও পড়ুন: ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদ: নীতীশের ইফতার মজলিস বয়কট মুসলিম সংগঠনগুলির

ভাগচাষির পরিবার। তাই সবাই লাগোয়া ভাবে বাস করছিলেন। সাত ভাইয়ের কারও ইটের উপর টিনের ছাউনি, তো কারও টিনের ছাউনি। বৈশাখের এই চরম দাবদাহে আগুনের বিন্দুমাত্র ফুলকি সাতটা পরিবারের সব কিছু কেড়ে নেয়। পরনের জামা কাপড়, আসবাবপত্র, খাদ্যশস্য গচ্ছিত কিছু নগদ অর্থ ও অলঙ্কার সব পুড়ে গিয়েছে। সাতটি পরিবারের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ লক্ষাধিক টাকা বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: আজকের ইফতার ও সেহরির ইফতারের সময়সূচী

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইফতার তৈরির সময় গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন, রতুয়ায় পুড়ল সাতটি বাড়ি 

আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২২, সোমবার

পুবের কলম প্রতিবেদক, চাঁচল: ইফতার সামগ্রী রান্না করার সময় সিলিন্ডার ফেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। পুড়ে ছাই হয়ে সাত ভাইয়ের সাতটি ঘর। রবিবার সন্ধ্যায় রতুয়া-১ ব্লকের চাঁদমুনি-২ পঞ্চায়েতের বোনডাঙ্গা গ্রামের ঘটনা।

ইফতারের আগের মুহুর্তে গ্রামবাসীরা আগুন নেভানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেন। দেড়ঘন্টা পরে চাঁচল থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে অবশ্য সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই ঘটনার পরে রতুয়ায় ফের অগ্নি নির্বাপন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি জানালেন বাসিন্দারা। তাদের বক্তব্য, প্রায় পঁচিশ কিমি দূর থেকে দমকলের ইঞ্জিন আগুন নেভাতে আসার আগেই সব শেষ হয়ে গিয়েছে। রতুয়ায় একটি দমকল কেন্দ্র থাকলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই এড়ানো যেত।

আরও পড়ুন: হোয়াইট হাউজে ইফতার ট্রাম্পের

রবিবার ইফতার সামগ্রী রান্না করার সময় তফজুলের বাড়িতে গ্যাসের সিলিন্ডার ফেটে আগুন লাগে। এরপর একে একে আশেপাশের ঘরগুলিতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বাড়িঘর পুড়ে ছারখার হয়ে যাওয়ায় পথে বসেছেন সাতভাই তাজামুল, এমদাদুল, জামিরুল, তফজুল, জাহিদুল সাইদুল ও এনামুল। এই খবর পাওয়ার পরে সেখানে ইফতার সামগ্রী ও পরনের কাপড় নিয়ে পৌঁছান চাঁদমুনি-২ অঞ্চলের যুব তৃণমূলের নেতা ইশরার হোসেন রিকো।

আরও পড়ুন: ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদ: নীতীশের ইফতার মজলিস বয়কট মুসলিম সংগঠনগুলির

ভাগচাষির পরিবার। তাই সবাই লাগোয়া ভাবে বাস করছিলেন। সাত ভাইয়ের কারও ইটের উপর টিনের ছাউনি, তো কারও টিনের ছাউনি। বৈশাখের এই চরম দাবদাহে আগুনের বিন্দুমাত্র ফুলকি সাতটা পরিবারের সব কিছু কেড়ে নেয়। পরনের জামা কাপড়, আসবাবপত্র, খাদ্যশস্য গচ্ছিত কিছু নগদ অর্থ ও অলঙ্কার সব পুড়ে গিয়েছে। সাতটি পরিবারের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ লক্ষাধিক টাকা বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: আজকের ইফতার ও সেহরির ইফতারের সময়সূচী