২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অনুব্রতকে নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ! মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে বিভ্রান্তি

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২২, সোমবার
  • / 14

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: এবার অনুব্রতকে নিয়ে দিলীপ ঘোষের করা বিবৃতি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াল রাজনৈতিক মহলে। দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, জেলে গেলে প্রাণে বাঁচবেন। না হলে, খুব সম্ভাবনা আছে বেঁচে না থাকার।’

সিবিআইয়ের হাজিরা এড়িয়ে বার বার অসুস্থ হয়ে পড়া নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে ৫৪ জনের প্রাণহানির কারণ কি তীব্র দাহদাহ! মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা

প্রতিদিনই প্রাতঃভ্রমণ সারতে ভোলেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিদেশে গিয়ে তার নিয়মের ব্যতিক্রম হয় না। এদিনও সকালে ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি পড়েন তিনি। তখনই দিলীপ ঘোষ বলেন, “ওনার খালি সিবিআই দেখলে শরীর খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু এভাবে তো বেশি দিন বাঁচা যায় না, আজ হোক কাল হোক আসতেই হবে। কিন্তু আমার যেটা সন্দেহ হচ্ছে,  হয় ওনাকে সারাজীবন হাসপাতালে থাকতে হবে, আর না হয় সারাজীবন জেলে থাকতে হবে।

আরও পড়ুন: উৎকর্ষ  বাংলা’য় চাকরির নিয়োগ নিয়ে বিভ্রান্তি, সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর

দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ‘জেলে থাকলে ঠিক আছে, কিন্তু হাসপাতালে থাকলে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম। এখন আমার যেটা মনে হচ্ছে, কোনওভাবে তাঁকে মেরে ফেলা হতে পারে সমস্ত তথ্য লোপাট করার জন্য। কারণ একাধিক মামলার সঙ্গে তিনি যুক্ত আর তৃণমূলের বিভিন্ন নেতা এই সমস্ত কেসের সঙ্গে যুক্ত আছে। আমার মনে হয় একটা চাবিতেই সব ঘর খোলা যাবে সেজন্য  চাবি হারিয়ে ফেলা হতে পারে। সেই জন্য এখন নতুন চিন্তা আমাদের এটা যে ওই লোকটা যদি জেলে চলে যায় তাহলে প্রাণটা থাকবে, না হলে খুব সম্ভাবনা আছে বেঁচে না থাকার।”

উল্লেখ্য,   গরুপাচার কাণ্ডের পর এবার ভোটপরবর্তী হিংসা মামলায় সিজিও কমপ্লক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরের দিনই সিবিআই তাঁকে তলব করে। কিন্তু শারিরীক ভাবে এখনও তিনি সুস্থ নন জানিয়ে হাজিরা এড়ালেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর আইনজীবী সিবিআইকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল শারীরিক ভাবে এখনও সুস্থ নন। তিনি এতদূরে এসে হাজিরা দিতে পারবেন না।

রবিবার বিকেল ৫টার মধ্যে তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলেছিল সিবিআই। বগটুই কাণ্ডের পর থেকে চাপে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। বগটুই কাণ্ডে ধৃত আনারুল অনুব্রত মণ্ডলের নামকরে অভিযোগ করেছিলেন। তার পর থেকেই চাপে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অনুব্রতকে নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ! মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে বিভ্রান্তি

আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২২, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: এবার অনুব্রতকে নিয়ে দিলীপ ঘোষের করা বিবৃতি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াল রাজনৈতিক মহলে। দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, জেলে গেলে প্রাণে বাঁচবেন। না হলে, খুব সম্ভাবনা আছে বেঁচে না থাকার।’

সিবিআইয়ের হাজিরা এড়িয়ে বার বার অসুস্থ হয়ে পড়া নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে ৫৪ জনের প্রাণহানির কারণ কি তীব্র দাহদাহ! মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা

প্রতিদিনই প্রাতঃভ্রমণ সারতে ভোলেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিদেশে গিয়ে তার নিয়মের ব্যতিক্রম হয় না। এদিনও সকালে ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি পড়েন তিনি। তখনই দিলীপ ঘোষ বলেন, “ওনার খালি সিবিআই দেখলে শরীর খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু এভাবে তো বেশি দিন বাঁচা যায় না, আজ হোক কাল হোক আসতেই হবে। কিন্তু আমার যেটা সন্দেহ হচ্ছে,  হয় ওনাকে সারাজীবন হাসপাতালে থাকতে হবে, আর না হয় সারাজীবন জেলে থাকতে হবে।

আরও পড়ুন: উৎকর্ষ  বাংলা’য় চাকরির নিয়োগ নিয়ে বিভ্রান্তি, সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর

দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ‘জেলে থাকলে ঠিক আছে, কিন্তু হাসপাতালে থাকলে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম। এখন আমার যেটা মনে হচ্ছে, কোনওভাবে তাঁকে মেরে ফেলা হতে পারে সমস্ত তথ্য লোপাট করার জন্য। কারণ একাধিক মামলার সঙ্গে তিনি যুক্ত আর তৃণমূলের বিভিন্ন নেতা এই সমস্ত কেসের সঙ্গে যুক্ত আছে। আমার মনে হয় একটা চাবিতেই সব ঘর খোলা যাবে সেজন্য  চাবি হারিয়ে ফেলা হতে পারে। সেই জন্য এখন নতুন চিন্তা আমাদের এটা যে ওই লোকটা যদি জেলে চলে যায় তাহলে প্রাণটা থাকবে, না হলে খুব সম্ভাবনা আছে বেঁচে না থাকার।”

উল্লেখ্য,   গরুপাচার কাণ্ডের পর এবার ভোটপরবর্তী হিংসা মামলায় সিজিও কমপ্লক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরের দিনই সিবিআই তাঁকে তলব করে। কিন্তু শারিরীক ভাবে এখনও তিনি সুস্থ নন জানিয়ে হাজিরা এড়ালেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর আইনজীবী সিবিআইকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল শারীরিক ভাবে এখনও সুস্থ নন। তিনি এতদূরে এসে হাজিরা দিতে পারবেন না।

রবিবার বিকেল ৫টার মধ্যে তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলেছিল সিবিআই। বগটুই কাণ্ডের পর থেকে চাপে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। বগটুই কাণ্ডে ধৃত আনারুল অনুব্রত মণ্ডলের নামকরে অভিযোগ করেছিলেন। তার পর থেকেই চাপে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি।