১৬ জুন ২০২৫, সোমবার, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জ্ঞানভাপি মামলা: হিন্দু পক্ষের আবেদনে সায় দিল বারাণসী জেলা আদালত

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, সোমবার
  • / 30

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বারাণসী আদালত জ্ঞানভাপি মামলায় হিন্দু পক্ষের আবেদনের রক্ষণাবেক্ষণযোগ্যতা বহাল রেখেছে। হিন্দু পক্ষে আবেদনে সায় দিল বারাণসী জেলা আদালত। পরবর্তী শুনানি হবে ২২ সেপ্টেম্বর।

এই মামলায় হিন্দু পক্ষের প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাডভোকেট বিষ্ণু শঙ্কর জৈন বলেছেন, আদালত মুসলিম পক্ষের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছেন, মামলাটি রক্ষণাবেক্ষণযোগ্য। মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ সেপ্টেম্বর।

আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু নয় এমন আসনে সংরক্ষণ চালুর বিরুদ্ধে আদালতে যাচ্ছে মহারাষ্ট্রের সংখ্যালঘু সমাজ

স্থানীয় প্রশাসন শহরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। এই মামলা অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়ার কারণে তাই গত কয়েকদিন ধরেই আদালত চত্বরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আদালতের রায় বের হওয়ার আগে উত্তরপ্রদেশের সমস্ত সংবেদনশীল এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। পুলিশের টহলদারি চলছে।

আরও পড়ুন: বিচারপতি সিনহার এজলাসে ব্যালট পেপার সংক্রান্ত রিপোর্ট দিলেন জগাছার বিডিও

শতাব্দী প্রাচীন এই মসজিদের ভিতরে এই চিত্রগ্রহণকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিল জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটি। মামলায় সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের এক মাস আগে, বারাণসীর সিভিল কোর্ট জ্ঞানবাপি মসজিদের চিত্রগ্রহণের নির্দেশ দেয়। হিন্দু মহিলাদের আবেদনের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারা দাবি করে যে জ্ঞানবাপি মসজিদ কমপ্লেক্সে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে। পরবর্তীকালে মসজিদে চিত্রগ্রহণের একটি প্রতিবেদন বারাণসী আদালতে একটি সিল কভারে জমা দেওয়া হয়। কিন্তু হিন্দু পক্ষের আবেদনকারীরা বিতর্কিতভাবে কয়েক ঘন্টা পরেই এর রিপোর্ট বিশদে প্রকাশ করে দেয়।

আরও পড়ুন: গরু পাচার মামলায় সায়গলের বেআইনি সম্পত্তির কথা আদালতকে জানালো সিবিআই

আবেদনকারীরা বলেছেন যে চিত্রগ্রহণটি ১৯৯১ সালের উপাসনার স্থান আইনের বিরুদ্ধে। এই আইন ১৯৪৭ সালের  ১৫ অগস্ট পর্যন্ত যেকোনও উপাসনালয়ের ধর্মীয় মর্যাদা বজায় রাখে বর্তমানে। মসজিদ কমিটি যুক্তি দিয়েছিল, ‘এই ধরনের আবেদন এবং মসজিদগুলি সিল করা জনসাধারণের মধ্যে বিরুপ ধারণা তৈরি করবে এবং সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি করবে, সারা দেশের মসজিদগুলিকে প্রভাবিত করবে’।

মসজিদ কমিটি জানায় যে “মেন্টেনেবিলিটি” মামলায় বারাণসী জেলা বিচারকের আদালতে প্রায় একই যুক্তি দিয়েছিল, যখন হিন্দু আবেদনকারীদের আইনজীবীরা দাবি করে যে আইন তাদের মামলায় বাধা দেয় না এবং তারা আদালতে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে যে স্বাধীনতার দিন মসজিদ প্রাঙ্গণটি আসলে একটি মন্দির ছিল।

স্থানীয় পুরোহিতরা জ্ঞানভাপি মসজিদ কমপ্লেক্সে প্রার্থনা করার অনুমতি চেয়ে বারাণসী সিভিল কোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করেন। তারা দাবি করেছিল যে  আওরঙ্গজেবের রাজত্বকালে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একটি অংশ ভেঙে মসজিদটি তৈরি করা হয়েছিল।

২০২১ সালে পাঁচ হিন্দু মহিলা  মসজিদের ভিতরে দেবদেবীর মূর্তির আছে বলে দাবি করেন ও  সেখানে পুজোর্চ্চনারও অনুমতি চান আদালতে। বারাণসী দায়রা আদালতে মামলা রুজু হয়। এই মামলায় শীর্ষ আদালত  হস্তক্ষেপ করার এক মাস আগে, বারাণসী দেওয়ানি আদালত জ্ঞানবাপি মসজিদের ভিতর  চিত্রগ্রহণ করতে  নির্দেশ দেয়।  এরপর ২০ মে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দেয়, মামলার শুনানির হবে বারাণসী জেলা আদালত।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জ্ঞানভাপি মামলা: হিন্দু পক্ষের আবেদনে সায় দিল বারাণসী জেলা আদালত

আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বারাণসী আদালত জ্ঞানভাপি মামলায় হিন্দু পক্ষের আবেদনের রক্ষণাবেক্ষণযোগ্যতা বহাল রেখেছে। হিন্দু পক্ষে আবেদনে সায় দিল বারাণসী জেলা আদালত। পরবর্তী শুনানি হবে ২২ সেপ্টেম্বর।

এই মামলায় হিন্দু পক্ষের প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাডভোকেট বিষ্ণু শঙ্কর জৈন বলেছেন, আদালত মুসলিম পক্ষের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছেন, মামলাটি রক্ষণাবেক্ষণযোগ্য। মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ সেপ্টেম্বর।

আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু নয় এমন আসনে সংরক্ষণ চালুর বিরুদ্ধে আদালতে যাচ্ছে মহারাষ্ট্রের সংখ্যালঘু সমাজ

স্থানীয় প্রশাসন শহরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। এই মামলা অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়ার কারণে তাই গত কয়েকদিন ধরেই আদালত চত্বরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আদালতের রায় বের হওয়ার আগে উত্তরপ্রদেশের সমস্ত সংবেদনশীল এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। পুলিশের টহলদারি চলছে।

আরও পড়ুন: বিচারপতি সিনহার এজলাসে ব্যালট পেপার সংক্রান্ত রিপোর্ট দিলেন জগাছার বিডিও

শতাব্দী প্রাচীন এই মসজিদের ভিতরে এই চিত্রগ্রহণকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিল জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটি। মামলায় সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের এক মাস আগে, বারাণসীর সিভিল কোর্ট জ্ঞানবাপি মসজিদের চিত্রগ্রহণের নির্দেশ দেয়। হিন্দু মহিলাদের আবেদনের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারা দাবি করে যে জ্ঞানবাপি মসজিদ কমপ্লেক্সে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে। পরবর্তীকালে মসজিদে চিত্রগ্রহণের একটি প্রতিবেদন বারাণসী আদালতে একটি সিল কভারে জমা দেওয়া হয়। কিন্তু হিন্দু পক্ষের আবেদনকারীরা বিতর্কিতভাবে কয়েক ঘন্টা পরেই এর রিপোর্ট বিশদে প্রকাশ করে দেয়।

আরও পড়ুন: গরু পাচার মামলায় সায়গলের বেআইনি সম্পত্তির কথা আদালতকে জানালো সিবিআই

আবেদনকারীরা বলেছেন যে চিত্রগ্রহণটি ১৯৯১ সালের উপাসনার স্থান আইনের বিরুদ্ধে। এই আইন ১৯৪৭ সালের  ১৫ অগস্ট পর্যন্ত যেকোনও উপাসনালয়ের ধর্মীয় মর্যাদা বজায় রাখে বর্তমানে। মসজিদ কমিটি যুক্তি দিয়েছিল, ‘এই ধরনের আবেদন এবং মসজিদগুলি সিল করা জনসাধারণের মধ্যে বিরুপ ধারণা তৈরি করবে এবং সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি করবে, সারা দেশের মসজিদগুলিকে প্রভাবিত করবে’।

মসজিদ কমিটি জানায় যে “মেন্টেনেবিলিটি” মামলায় বারাণসী জেলা বিচারকের আদালতে প্রায় একই যুক্তি দিয়েছিল, যখন হিন্দু আবেদনকারীদের আইনজীবীরা দাবি করে যে আইন তাদের মামলায় বাধা দেয় না এবং তারা আদালতে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে যে স্বাধীনতার দিন মসজিদ প্রাঙ্গণটি আসলে একটি মন্দির ছিল।

স্থানীয় পুরোহিতরা জ্ঞানভাপি মসজিদ কমপ্লেক্সে প্রার্থনা করার অনুমতি চেয়ে বারাণসী সিভিল কোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করেন। তারা দাবি করেছিল যে  আওরঙ্গজেবের রাজত্বকালে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একটি অংশ ভেঙে মসজিদটি তৈরি করা হয়েছিল।

২০২১ সালে পাঁচ হিন্দু মহিলা  মসজিদের ভিতরে দেবদেবীর মূর্তির আছে বলে দাবি করেন ও  সেখানে পুজোর্চ্চনারও অনুমতি চান আদালতে। বারাণসী দায়রা আদালতে মামলা রুজু হয়। এই মামলায় শীর্ষ আদালত  হস্তক্ষেপ করার এক মাস আগে, বারাণসী দেওয়ানি আদালত জ্ঞানবাপি মসজিদের ভিতর  চিত্রগ্রহণ করতে  নির্দেশ দেয়।  এরপর ২০ মে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দেয়, মামলার শুনানির হবে বারাণসী জেলা আদালত।