০১ জুন ২০২৫, রবিবার, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লকডাউনের আগে তবলীগ জামাতিদের মসজিদে থাকতে দিলে অপরাধ কোথায়? জবাব তলব দিল্লি হাইকোর্টের

মাসুদ আলি
  • আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২১, শুক্রবার
  • / 35

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ২০২০ সালের মার্চে দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাযে তবলিগ জামাতের সমাবেশ নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল দেশে৷ ওখান থেকেই দেশে করোনা ছড়িয়েছে, এমন ভুয়ো দাবিও করেছিল একশ্রেণির মানুষ৷ যাদের অধিকাংশই ছিল গেরুয়ায় মনস্ক বিদ্বেষী। এরই প্রেক্ষিতে দিল্লি হাইকোর্ট শুক্রবার দিল্লি পুলিশকে জিজ্ঞাসা করেছে যে নিজামুদ্দিন মারকাযে থাকার সময় তবলিগি জামাতে উপস্থিত লোকেরা কোন বিজ্ঞপ্তি বা আদেশ লঙ্ঘন করেছিল? কোভিড-১৯ মহামারির প্রথম ঢেউয়ের সময় ২০২০ সালের মার্চ মাসে তবলিগি জামাতে অংশগ্রহণকারীদের দায়ের করা আবেদনের শুনানির সময় বিচারপতি মুক্তা গুপ্ত প্রশ্নটি করেন, যখন লকডাউন জারি করা হয়েছিল তখন কেউ বাড়ির বাইরে যেতে পারেনি। তখন জায়গা বদলানোর কোনও প্রশ্নই আসেনি৷

এসব তথ্যের আলোকে আমাকে বলুন কোথায় বিধি লঙ্ঘন হয়েছে? দিল্লি হাইকোর্ট দিল্লি পুলিশকে প্রশ্ন করেছে যে গত বছর লকডাউন চলাকালীন নিজামুদ্দিনে তবলিগ জামাতে অংশগ্রহণকারীদের কোনও বাড়িতে বা মসজিদে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷ সে সমস্ত লোকদের বের করে দেওয়ার কোনও বিজ্ঞপ্তি ছিল কি না। বিচারপতি মুক্তা গুপ্ত বলেন, হঠাৎ লকডাউন জারি হল, ওরা কোথায় যাবে? রাস্তায়? যিনি যেখানে আছেন সেখানেই থাকবেন। এতে তাদের অপরাধ কী? মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দাদের দিল্লিতে আসতে বা থাকতে বা কোনও মন্দির, মসজিদ, গুরুদোয়ারে থাকায় কোনও বাধা আছে কি? আদালত বলেছে যে যখন লকডাউন জারি করা হয়েছিল, তখন লোকেরা মসজিদে ছিল এবং কেউ কোথাও যেতে পারেনি। কোনও উপায় ছিল না৷ তাহলে অপরাধ কী? এমন কোনও বিজ্ঞপ্তি ছিল কি যে কেউ যদি কোথাও অবস্থান করে, তবে তাকে বের করে দেবে?

আরও পড়ুন: শেহলার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা প্রত্যাহার

আবেদনকারীদের পক্ষে উপস্থিত হয়ে অ্যাডভোকেট অসীমা মন্ডল আদালতকে জানিয়েছেন যে এফআইআর বলছে যে এই লোকেরা কেবল সেখানেই বাস করত, তবে কোনও ধর্মীয় সমাবেশ ছিল তা বলেনি।আবেদনকারীর ভাষায়, অভিযোগ হচ্ছে যে আমি বিধি অবহেলা করেছি এবং রোগ ছড়িয়েছি৷ কিন্তু আমি কোভিড পজিটিভ এমন কোনও তথ্য নেই৷ তাহলে রোগের বিস্তার কীভাবে ঘটে? আইনজীবী তিনটি অদ্ভুত এফআইআর-এর কথা উল্লেখ করেছেন যাতে ওই ব্যক্তিদেরকে শুধুমাত্র তাবলিগ জামাত সদস্যদের থাকতে দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল। আদালতকে আরও জানানো হয় যে প্রায় পাঁচ মাস আগে পুলিশের কাছ থেকে একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট চাওয়া হলেও তা এখনও দাখিল করা হয়নি। বিচারপতি গুপ্ত এখন প্রতিটি মামলার প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য পুলিশকে চূড়ান্ত সুযোগ দিয়েছেন৷ ৬ ডিসেম্বর মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে।

আরও পড়ুন: ইসরাইল বিরোধী পোস্টার, হোর্ডিং খুলল দিল্লি পুলিশ

আরও পড়ুন: নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা: মৃতের তালিকা প্রকাশ পুলিশের

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

লকডাউনের আগে তবলীগ জামাতিদের মসজিদে থাকতে দিলে অপরাধ কোথায়? জবাব তলব দিল্লি হাইকোর্টের

আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২১, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ২০২০ সালের মার্চে দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাযে তবলিগ জামাতের সমাবেশ নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল দেশে৷ ওখান থেকেই দেশে করোনা ছড়িয়েছে, এমন ভুয়ো দাবিও করেছিল একশ্রেণির মানুষ৷ যাদের অধিকাংশই ছিল গেরুয়ায় মনস্ক বিদ্বেষী। এরই প্রেক্ষিতে দিল্লি হাইকোর্ট শুক্রবার দিল্লি পুলিশকে জিজ্ঞাসা করেছে যে নিজামুদ্দিন মারকাযে থাকার সময় তবলিগি জামাতে উপস্থিত লোকেরা কোন বিজ্ঞপ্তি বা আদেশ লঙ্ঘন করেছিল? কোভিড-১৯ মহামারির প্রথম ঢেউয়ের সময় ২০২০ সালের মার্চ মাসে তবলিগি জামাতে অংশগ্রহণকারীদের দায়ের করা আবেদনের শুনানির সময় বিচারপতি মুক্তা গুপ্ত প্রশ্নটি করেন, যখন লকডাউন জারি করা হয়েছিল তখন কেউ বাড়ির বাইরে যেতে পারেনি। তখন জায়গা বদলানোর কোনও প্রশ্নই আসেনি৷

এসব তথ্যের আলোকে আমাকে বলুন কোথায় বিধি লঙ্ঘন হয়েছে? দিল্লি হাইকোর্ট দিল্লি পুলিশকে প্রশ্ন করেছে যে গত বছর লকডাউন চলাকালীন নিজামুদ্দিনে তবলিগ জামাতে অংশগ্রহণকারীদের কোনও বাড়িতে বা মসজিদে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷ সে সমস্ত লোকদের বের করে দেওয়ার কোনও বিজ্ঞপ্তি ছিল কি না। বিচারপতি মুক্তা গুপ্ত বলেন, হঠাৎ লকডাউন জারি হল, ওরা কোথায় যাবে? রাস্তায়? যিনি যেখানে আছেন সেখানেই থাকবেন। এতে তাদের অপরাধ কী? মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দাদের দিল্লিতে আসতে বা থাকতে বা কোনও মন্দির, মসজিদ, গুরুদোয়ারে থাকায় কোনও বাধা আছে কি? আদালত বলেছে যে যখন লকডাউন জারি করা হয়েছিল, তখন লোকেরা মসজিদে ছিল এবং কেউ কোথাও যেতে পারেনি। কোনও উপায় ছিল না৷ তাহলে অপরাধ কী? এমন কোনও বিজ্ঞপ্তি ছিল কি যে কেউ যদি কোথাও অবস্থান করে, তবে তাকে বের করে দেবে?

আরও পড়ুন: শেহলার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা প্রত্যাহার

আবেদনকারীদের পক্ষে উপস্থিত হয়ে অ্যাডভোকেট অসীমা মন্ডল আদালতকে জানিয়েছেন যে এফআইআর বলছে যে এই লোকেরা কেবল সেখানেই বাস করত, তবে কোনও ধর্মীয় সমাবেশ ছিল তা বলেনি।আবেদনকারীর ভাষায়, অভিযোগ হচ্ছে যে আমি বিধি অবহেলা করেছি এবং রোগ ছড়িয়েছি৷ কিন্তু আমি কোভিড পজিটিভ এমন কোনও তথ্য নেই৷ তাহলে রোগের বিস্তার কীভাবে ঘটে? আইনজীবী তিনটি অদ্ভুত এফআইআর-এর কথা উল্লেখ করেছেন যাতে ওই ব্যক্তিদেরকে শুধুমাত্র তাবলিগ জামাত সদস্যদের থাকতে দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল। আদালতকে আরও জানানো হয় যে প্রায় পাঁচ মাস আগে পুলিশের কাছ থেকে একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট চাওয়া হলেও তা এখনও দাখিল করা হয়নি। বিচারপতি গুপ্ত এখন প্রতিটি মামলার প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য পুলিশকে চূড়ান্ত সুযোগ দিয়েছেন৷ ৬ ডিসেম্বর মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে।

আরও পড়ুন: ইসরাইল বিরোধী পোস্টার, হোর্ডিং খুলল দিল্লি পুলিশ

আরও পড়ুন: নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা: মৃতের তালিকা প্রকাশ পুলিশের