২১ জুন ২০২৫, শনিবার, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইয়েমেনের সানা বিমানবন্দরে হামলা দখলদার ইসরাইলের

আফিয়া‌‌ নৌশিন
  • আপডেট : ৬ মে ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 452

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইসরাইলি বাহিনী আজ ইয়েমেনের রাজধানী সানায় একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে, যার লক্ষ্য ছিল সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো। হুথি নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরা টিভি জানায়, এই হামলায় বিমানবন্দরের রানওয়ে, যাত্রী টার্মিনাল, এবং তিনটি বেসামরিক বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরাইলি সেনা পূর্বে এলাকাটি খালি করার জন্য বাসিন্দাদের সতর্ক করেছিল, যা এই সংঘাতের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমন সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, হুথি বিদ্রোহীরা এই বিমানবন্দরকে অস্ত্র ও যোদ্ধা পরিবহনের কাজে ব্যবহার করছিল। হামলার পর বিমানবন্দরটি সম্পূর্ণরূপে অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এছাড়াও, সানার বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং একটি সিমেন্ট কারখানাও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। হুথি সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেছে এবং অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আরও পড়ুন: ইরানে ৩টি হাসপাতাল গুঁড়িয়ে দিল ইসরাইল, নীরব বিশ্ব বিবেক

এই হামলার দু’দিন আগে, হুথি বিদ্রোহীরা ইসরাইলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের নিকটে একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল, যা ইসরাইলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম হয়েছিল। এর জবাবে ইসরাইল গতকাল ইয়েমেনের হোদেইদা বন্দরে হামলা চালায়, যেখানে ৪ জন নিহত এবং ৩৯ জন আহত হয়েছিল। হুথি নেতা মোহাম্মদ আল-বুখাইতি দাবি করেছেন, গাজার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় হামাসের অনুরোধে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।

আরও পড়ুন: ইসরাইল টানা দ্বিতীয়বার জাতিসংঘের “কালো তালিকায়”, গাজায় শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার মাত্রা সর্বোচ্চ

হুথি গোষ্ঠী এই হামলাকে “ইহুদি-আমেরিকান আগ্রাসন” বলে অভিহিত করে এবং ইসরাইলি বিমানবন্দর ও জাহাজ চলাচলের পথে আরও হামলার হুমকি দিয়েছে। অন্যদিকে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংঘাতের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে”।

আরও পড়ুন: ইসরাইল থেকে ভারতীয়দের ফেরাতে বিবৃতি জারি করল বিদেশ মন্ত্রক

ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে ইতিমধ্যেই মানবিক সংকট চরমে পৌঁছালেও এই হামলায় তা আরও তীব্র হতে পারে। হোদেইদা বন্দর ইয়েমেনের ৮০% খাদ্য আমদানির জন্য ব্যবহৃত হয়, যা গতকালের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতিসংঘ ইতিমধ্যেই সংঘাত নিরসনের আহ্বান জানিয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইয়েমেনের সানা বিমানবন্দরে হামলা দখলদার ইসরাইলের

আপডেট : ৬ মে ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইসরাইলি বাহিনী আজ ইয়েমেনের রাজধানী সানায় একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে, যার লক্ষ্য ছিল সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো। হুথি নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরা টিভি জানায়, এই হামলায় বিমানবন্দরের রানওয়ে, যাত্রী টার্মিনাল, এবং তিনটি বেসামরিক বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরাইলি সেনা পূর্বে এলাকাটি খালি করার জন্য বাসিন্দাদের সতর্ক করেছিল, যা এই সংঘাতের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমন সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, হুথি বিদ্রোহীরা এই বিমানবন্দরকে অস্ত্র ও যোদ্ধা পরিবহনের কাজে ব্যবহার করছিল। হামলার পর বিমানবন্দরটি সম্পূর্ণরূপে অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এছাড়াও, সানার বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং একটি সিমেন্ট কারখানাও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। হুথি সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেছে এবং অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আরও পড়ুন: ইরানে ৩টি হাসপাতাল গুঁড়িয়ে দিল ইসরাইল, নীরব বিশ্ব বিবেক

এই হামলার দু’দিন আগে, হুথি বিদ্রোহীরা ইসরাইলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের নিকটে একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল, যা ইসরাইলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম হয়েছিল। এর জবাবে ইসরাইল গতকাল ইয়েমেনের হোদেইদা বন্দরে হামলা চালায়, যেখানে ৪ জন নিহত এবং ৩৯ জন আহত হয়েছিল। হুথি নেতা মোহাম্মদ আল-বুখাইতি দাবি করেছেন, গাজার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় হামাসের অনুরোধে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।

আরও পড়ুন: ইসরাইল টানা দ্বিতীয়বার জাতিসংঘের “কালো তালিকায়”, গাজায় শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার মাত্রা সর্বোচ্চ

হুথি গোষ্ঠী এই হামলাকে “ইহুদি-আমেরিকান আগ্রাসন” বলে অভিহিত করে এবং ইসরাইলি বিমানবন্দর ও জাহাজ চলাচলের পথে আরও হামলার হুমকি দিয়েছে। অন্যদিকে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংঘাতের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে”।

আরও পড়ুন: ইসরাইল থেকে ভারতীয়দের ফেরাতে বিবৃতি জারি করল বিদেশ মন্ত্রক

ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে ইতিমধ্যেই মানবিক সংকট চরমে পৌঁছালেও এই হামলায় তা আরও তীব্র হতে পারে। হোদেইদা বন্দর ইয়েমেনের ৮০% খাদ্য আমদানির জন্য ব্যবহৃত হয়, যা গতকালের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতিসংঘ ইতিমধ্যেই সংঘাত নিরসনের আহ্বান জানিয়েছে।