১৬ জুন ২০২৫, সোমবার, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সউদি আরবের সঙ্গে সরাসরি হজ ফ্লাইট নিয়ে আলোচনা ইসরাইলের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৫ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 88

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ভূ-রাজনীতিতে কোনও স্থায়ী বন্ধু বা শত্রু নেই। যে দেশের সঙ্গে স্বার্থ, তার সঙ্গেই মিত্রতা। যুগের পর যুগ ধরে এই ভাবেই চলছে বিশ্ব রাজনীতি। এরই অংশ হিসেবে বর্তমান বিশ্বে দেখা যাচ্ছে ইসরাইল ও আরবের মধ্যে সুসম্পর্ক। আর এই দু-দেশের মধ্যস্থতায় কাজ করছে আমেরিকা।

দুই দেশের সম্পর্ক ঠিক করতে গত সপ্তাহে সউদি প্রিন্স বিন সালমানের সঙ্গে দু’দফায় ফোনে কথা বলেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। ইসরাইলে বসবাসরত আরব বংশোদ্ভূতদের হজ যাত্রা ঘিরে কথোপকথন হয়। সেই সময় যুবরাজ সালমান বাহরাইনে ছিলেন। এই ফোনালাপের পর খুব শীঘ্রই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ইসরাইলি বিদেশমন্ত্রী। ফোনালাপে দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে স্বচ্ছতা আনার প্রস্তাব দেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী। তবে সেই প্রস্তাব নাকচ করেছেন সালমান। নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎকারের প্রস্তাবও প্রত্যাখান করেন তিনি।

আরও পড়ুন: আমেরিকার গর্বের F-35 Lightning II যুদ্ধবিমান ভূপতিত করেছে ইরান

এদিকে, ইসরাইলে বসবাসরত আরব বংশোদ্ভূতরা যাতে হজের জন্য সরাসরি বিমানে করে তেল আবিব থেকে জেদ্দায় যেতে পারে সে বিষয়ে দুই নেতার কথা হয়েছে। ইসরাইল সরকার আশাবাদী যে সউদি আরব হজের জন্য তেল আবিব থেকে জেদ্দার সরাসরি বিমানের প্রস্তাব মেনে নেবে।

আরও পড়ুন: ইরানে হামলা, বিশ্বজুড়ে পেট্রোপণ্যের দাম বেড়ে চলেছে

তবে যুবরাজ বিন সালমান ইসরাইলকে আল-আকসা মসজিদ ফিলিস্তিনিদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত বছর ইসরাইল থেকে ২,৭০০ জনের মতো মুসলিম হজ যাত্রায় গিয়েছিলেন। এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়ে হয়েছে ৪,৫০০। এতদিন ইসরাইলি মুসলিমরা অন্য দেশের মাধ্যমে হজে যেতেন। জর্ডান থেকে মক্কায় যেতে হতো তাঁদের।

আরও পড়ুন: ভারত মধ্যস্থতা করলে রাজি নেতানিয়াহু : ইসরায়েলি দূত

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সউদি আরবের সঙ্গে সরাসরি হজ ফ্লাইট নিয়ে আলোচনা ইসরাইলের

আপডেট : ২৫ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ভূ-রাজনীতিতে কোনও স্থায়ী বন্ধু বা শত্রু নেই। যে দেশের সঙ্গে স্বার্থ, তার সঙ্গেই মিত্রতা। যুগের পর যুগ ধরে এই ভাবেই চলছে বিশ্ব রাজনীতি। এরই অংশ হিসেবে বর্তমান বিশ্বে দেখা যাচ্ছে ইসরাইল ও আরবের মধ্যে সুসম্পর্ক। আর এই দু-দেশের মধ্যস্থতায় কাজ করছে আমেরিকা।

দুই দেশের সম্পর্ক ঠিক করতে গত সপ্তাহে সউদি প্রিন্স বিন সালমানের সঙ্গে দু’দফায় ফোনে কথা বলেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। ইসরাইলে বসবাসরত আরব বংশোদ্ভূতদের হজ যাত্রা ঘিরে কথোপকথন হয়। সেই সময় যুবরাজ সালমান বাহরাইনে ছিলেন। এই ফোনালাপের পর খুব শীঘ্রই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ইসরাইলি বিদেশমন্ত্রী। ফোনালাপে দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে স্বচ্ছতা আনার প্রস্তাব দেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী। তবে সেই প্রস্তাব নাকচ করেছেন সালমান। নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎকারের প্রস্তাবও প্রত্যাখান করেন তিনি।

আরও পড়ুন: আমেরিকার গর্বের F-35 Lightning II যুদ্ধবিমান ভূপতিত করেছে ইরান

এদিকে, ইসরাইলে বসবাসরত আরব বংশোদ্ভূতরা যাতে হজের জন্য সরাসরি বিমানে করে তেল আবিব থেকে জেদ্দায় যেতে পারে সে বিষয়ে দুই নেতার কথা হয়েছে। ইসরাইল সরকার আশাবাদী যে সউদি আরব হজের জন্য তেল আবিব থেকে জেদ্দার সরাসরি বিমানের প্রস্তাব মেনে নেবে।

আরও পড়ুন: ইরানে হামলা, বিশ্বজুড়ে পেট্রোপণ্যের দাম বেড়ে চলেছে

তবে যুবরাজ বিন সালমান ইসরাইলকে আল-আকসা মসজিদ ফিলিস্তিনিদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত বছর ইসরাইল থেকে ২,৭০০ জনের মতো মুসলিম হজ যাত্রায় গিয়েছিলেন। এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়ে হয়েছে ৪,৫০০। এতদিন ইসরাইলি মুসলিমরা অন্য দেশের মাধ্যমে হজে যেতেন। জর্ডান থেকে মক্কায় যেতে হতো তাঁদের।

আরও পড়ুন: ভারত মধ্যস্থতা করলে রাজি নেতানিয়াহু : ইসরায়েলি দূত