নবী সা.-এর আবমাননাকারী শর্মিষ্ঠার গ্রেফতারিতে প্রশ্ন কঙ্গনা-শুভেন্দুর

- আপডেট : ১ জুন ২০২৫, রবিবার
- / 62
পালটা বিবৃতি দিল কলকাতা পুলিশ
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পর ইনস্টাগ্রামে আপত্তিকর পোস্ট করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলি। তার গ্রেফতারি নিয়ে বিতর্কের ঝড় তুলেছে গেরুয়া শিবির। সমাজমাধ্যমে অনেকেই এই ঘটনায় পুলিশের অতিসক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন।
ছাত্রীর গ্রেফতারির ঘটনায় রাজনৈতিক রং-ও লেগেছে। ধৃত ওই আইনের ছাত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াতরাও। এর পর বিতর্কের জেরেই শর্মিষ্ঠা পানোলির গ্রেফতারির ঘটনায় মুখ খুলল কলকাতা পুলিশ। রীতিমত বিবৃতি দিয়ে পুলিশ দাবি করেছে, এক্ষেত্রে আইন মেনেই যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে।
অভিযোগ, অপারেশন সিঁদুরের পর ওই আইনের ছাত্রী যে বিতর্কিত ভিডিওটি তিনি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে ডিলিট করে দেন, সেটি একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করতে পারে। ওই আপত্তিকর ভিডিয়ো পোস্ট করার জন্য পরবর্তী সময়ে ক্ষমাও চেয়ে নেন শর্মিষ্ঠা। তাতেও অবশ্য লাভ হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে গার্ডেনরিচ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। গত শুক্রবার গুরুগ্রাম থেকে শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। শনিবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হলে ১৩ জুন পর্যন্ত ওই ছাত্রীর জেল হেফাজত হয়।
এ দিকে শর্মিষ্ঠার গ্রেফতারির খবর প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়। সমাজমাধ্যমে পুলিশের অতি সক্রিয়তা নিয়ে সরব হন অনেকেই। যদিও নবী মুহাম্মদ সা. সম্পর্কে অবমাননার বিষয়ে কেউই মুখ খুলছে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিবৃতি দিয়ে কলকাতা পুলিশ জানায়, ‘আইনের এক ছাত্রীর গ্রেফতারির ঘটনায় সমাজমাধ্যমে যে প্রচার চালানো হচ্ছে, তা তথ্যগতভাবে ভুল এবং বিভ্রান্তিকর। আইন মেনেই যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। নোটিশ দেওয়ার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা হয়েছিল।
কিন্তু প্রত্যেকবারই ওই ছাত্রী পলাতক ছিলেন। এরপরই আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে এবং তাঁকে গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারির পর বিচারকের সামনে হাজির করিয়ে আইন মেনেই তাঁকে ট্রানজিট রিমান্ডে হেফাজতে নেওয়া হয়। সবার কাছে অনুরোধ যাচাই না করে কোনও ভুয়ো তথ্য ছড়াবেন না, সঠিক তথ্যের উপরে ভরসা রাখুন।’