২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলা: ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, বুধবার
  • / 9

পারিজাত মোল্লা: জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য। সিঙ্গেল বেঞ্চ অভিযুক্ত গেরুয়া বিধায়কদের আইনী রক্ষাকবচ দিয়েছে। তাই রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চে গেল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বিধানসভা চত্বরে হঠাত্‍ জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করেছিলেন শাসক দলের বিধায়করা। বিরোধী শিবিরে তখন শোনা যাচ্ছে সরকার-বিরোধী স্লোগান। এমন অভিযোগ তুলেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। অভিযোগ বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে। সব শুনে সিঙ্গেল বেঞ্চ জানায় এই অভিযোগে বিজেপি বিধায়কদের গ্রেফতার করা যাবে না। আইনী রক্ষাকবচের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল রাজ্য।

 

আরও পড়ুন: এসএসসি মামলায় রাজ্যের স্বস্তি, মামলায় জরুরি হস্তক্ষেপে ‘না’ হাইকোর্টের, নিয়োগে রইল না বাধা

কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে রাজ্য। জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার মামলা আদালতে উঠতেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এত অপরাধের মামলা থাকতে টাকা খরচ করে এরকম একটা মামলা কেন করা হল? নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি আটকে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: হাওড়ায় রামনবমী পালনে আয়োজকদের ‘কড়া শর্তাবলি’ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

 

আরও পড়ুন: শপথ নিলেন বিচারপতি Joymalya Bagchi

জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় ঘটনাটি ঘটে গত ২৯ নভেম্বর। ওই দিন বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিজেপি বিধায়করা। সেই সময় শাসক শিবিরে ‘জন গণ মন’ শুরু হলেও স্লোগান থামেনি বলে অভিযোগ। জাতীয় সঙ্গীতের সময় স্লোগান দিয়ে অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে তৃণমূল। কেন হঠাত্‍ জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হল? সেই প্রশ্নও তুলেছিল হাইকোর্ট।

 

পরে ১০ বিধায়ককে রক্ষাকবচ দেওয়া হয়। পাশাপাশি, তদন্ত প্রক্রিয়ার ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তিনি বলেছিলেন, “যেখানে সেখানে গাইতে পারেন না। গান গাওয়ার পরিবেশ যদি সঠিক না হয়। স্লোগান আর চেঁচামেচির মধ্যে গান হলে, কীভাবে আশা করেন বাকিরা যারা শুনছে?” কিন্তু সেই মামলায় হাল ছাড়তে নারাজ রাজ্য সরকার। এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। মামলা দায়ের করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলা: ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য

আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, বুধবার

পারিজাত মোল্লা: জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য। সিঙ্গেল বেঞ্চ অভিযুক্ত গেরুয়া বিধায়কদের আইনী রক্ষাকবচ দিয়েছে। তাই রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চে গেল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বিধানসভা চত্বরে হঠাত্‍ জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করেছিলেন শাসক দলের বিধায়করা। বিরোধী শিবিরে তখন শোনা যাচ্ছে সরকার-বিরোধী স্লোগান। এমন অভিযোগ তুলেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। অভিযোগ বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে। সব শুনে সিঙ্গেল বেঞ্চ জানায় এই অভিযোগে বিজেপি বিধায়কদের গ্রেফতার করা যাবে না। আইনী রক্ষাকবচের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল রাজ্য।

 

আরও পড়ুন: এসএসসি মামলায় রাজ্যের স্বস্তি, মামলায় জরুরি হস্তক্ষেপে ‘না’ হাইকোর্টের, নিয়োগে রইল না বাধা

কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে রাজ্য। জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার মামলা আদালতে উঠতেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এত অপরাধের মামলা থাকতে টাকা খরচ করে এরকম একটা মামলা কেন করা হল? নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি আটকে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: হাওড়ায় রামনবমী পালনে আয়োজকদের ‘কড়া শর্তাবলি’ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

 

আরও পড়ুন: শপথ নিলেন বিচারপতি Joymalya Bagchi

জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় ঘটনাটি ঘটে গত ২৯ নভেম্বর। ওই দিন বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিজেপি বিধায়করা। সেই সময় শাসক শিবিরে ‘জন গণ মন’ শুরু হলেও স্লোগান থামেনি বলে অভিযোগ। জাতীয় সঙ্গীতের সময় স্লোগান দিয়ে অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে তৃণমূল। কেন হঠাত্‍ জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হল? সেই প্রশ্নও তুলেছিল হাইকোর্ট।

 

পরে ১০ বিধায়ককে রক্ষাকবচ দেওয়া হয়। পাশাপাশি, তদন্ত প্রক্রিয়ার ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তিনি বলেছিলেন, “যেখানে সেখানে গাইতে পারেন না। গান গাওয়ার পরিবেশ যদি সঠিক না হয়। স্লোগান আর চেঁচামেচির মধ্যে গান হলে, কীভাবে আশা করেন বাকিরা যারা শুনছে?” কিন্তু সেই মামলায় হাল ছাড়তে নারাজ রাজ্য সরকার। এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। মামলা দায়ের করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।