২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিউ ইয়র্কে মরদেহ থেকে তৈরি করা হবে জৈব সার!  

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার
  • / 77

 পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ মরদেহ কম্পোজ করে তৈরি হবে জৈব সার। এই প্রক্রিয়া কার্যকর করার  অনুমোদন দিল আমেরিকার নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্য। এই প্রক্রিয়ায় মরদেহ মাটিতে রূপান্তরিত করা সম্ভব। এটিকে পরিবেশবান্ধবও বলা হচ্ছে। ‘ন্যাচারাল অর্গানিক রিডাকশন’ নামে পরিচিত এই পদ্ধতিতে যদি  একটি মরদেহ কন্টেইনারে আবদ্ধ অবস্থায় থাকে তাহলে কয়েক সপ্তাহ পর পচে যায়। এভাবে তৈরি হবে  জৈব সার।

 

আরও পড়ুন: ইরানে পাল্টা হামলার ভয়ে নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে হাই এলার্ট

এর আগে, ২০১৯ সালে ওয়াশিংটন প্রথম এই পদ্ধতির অনুমোদন দেয়। এরপর কলোরাডো, ওরেগন, ভার্মন্ট ও ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যও অনুমোদন দেয়। জানা গেছে, বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করে তৈরি হয় এই জৈব সার। প্রথমে জৈব সার তৈরিতে আবদ্ধ জায়গায় মরদেহ রাখা হয়। সেখানে কাঠের গুঁড়া, বিশেষ ধরনের লতাপাতা ও খড় ঘাসের মতো কিছু উপাদান রাখা হয়। ধীরে ধীরে এগুলোতে পচন ধরে।

আরও পড়ুন: সলমন রুশদির হামলাকারী দোষী সাব্যস্ত, ন্যূনতম ৩০ বছর কারাদণ্ডের সম্ভাবনা

 

আরও পড়ুন: ২০২২ সালে মঞ্চে ছুরিকাঘাত, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন রুশদি

মাসখানেক এভাবে রাখা হয়। জীবাণুমুক্ত করার জন্য তাপও প্রয়োগ করা হয় এতে। স্বাভাবিকভাবেই মরদেহ জৈব সারে পরিণত হয়। এই সার মাটিতে মিশিয়ে ফুলগাছ, সবজি চাষে বা বৃক্ষায়নে ব্যবহার করা যায়, বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এই পদ্ধতি সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি এখনও।

 

তবে নিউইয়র্কের ক্যাথলিক বিশপ মনে করেন, মানবদেহকে গৃহস্থালির বর্জ্য হিসেবে বিবেচনা করা মোটেও উচিত নয়। জৈব সারে রূপান্তরিত করার খরচ নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা আছে। অলাভজনক মার্কিন প্রতিষ্ঠান ‘রিকম্পোজ’ বলছে, এই পদ্ধতিতে এক টন কার্বন সংরক্ষণ করা সম্ভব।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নিউ ইয়র্কে মরদেহ থেকে তৈরি করা হবে জৈব সার!  

আপডেট : ২ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার

 পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ মরদেহ কম্পোজ করে তৈরি হবে জৈব সার। এই প্রক্রিয়া কার্যকর করার  অনুমোদন দিল আমেরিকার নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্য। এই প্রক্রিয়ায় মরদেহ মাটিতে রূপান্তরিত করা সম্ভব। এটিকে পরিবেশবান্ধবও বলা হচ্ছে। ‘ন্যাচারাল অর্গানিক রিডাকশন’ নামে পরিচিত এই পদ্ধতিতে যদি  একটি মরদেহ কন্টেইনারে আবদ্ধ অবস্থায় থাকে তাহলে কয়েক সপ্তাহ পর পচে যায়। এভাবে তৈরি হবে  জৈব সার।

 

আরও পড়ুন: ইরানে পাল্টা হামলার ভয়ে নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে হাই এলার্ট

এর আগে, ২০১৯ সালে ওয়াশিংটন প্রথম এই পদ্ধতির অনুমোদন দেয়। এরপর কলোরাডো, ওরেগন, ভার্মন্ট ও ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যও অনুমোদন দেয়। জানা গেছে, বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করে তৈরি হয় এই জৈব সার। প্রথমে জৈব সার তৈরিতে আবদ্ধ জায়গায় মরদেহ রাখা হয়। সেখানে কাঠের গুঁড়া, বিশেষ ধরনের লতাপাতা ও খড় ঘাসের মতো কিছু উপাদান রাখা হয়। ধীরে ধীরে এগুলোতে পচন ধরে।

আরও পড়ুন: সলমন রুশদির হামলাকারী দোষী সাব্যস্ত, ন্যূনতম ৩০ বছর কারাদণ্ডের সম্ভাবনা

 

আরও পড়ুন: ২০২২ সালে মঞ্চে ছুরিকাঘাত, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন রুশদি

মাসখানেক এভাবে রাখা হয়। জীবাণুমুক্ত করার জন্য তাপও প্রয়োগ করা হয় এতে। স্বাভাবিকভাবেই মরদেহ জৈব সারে পরিণত হয়। এই সার মাটিতে মিশিয়ে ফুলগাছ, সবজি চাষে বা বৃক্ষায়নে ব্যবহার করা যায়, বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এই পদ্ধতি সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি এখনও।

 

তবে নিউইয়র্কের ক্যাথলিক বিশপ মনে করেন, মানবদেহকে গৃহস্থালির বর্জ্য হিসেবে বিবেচনা করা মোটেও উচিত নয়। জৈব সারে রূপান্তরিত করার খরচ নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা আছে। অলাভজনক মার্কিন প্রতিষ্ঠান ‘রিকম্পোজ’ বলছে, এই পদ্ধতিতে এক টন কার্বন সংরক্ষণ করা সম্ভব।