১০ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্দে মাতরম বাধ্যতামূলক: ঘোষণা যোগীর

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার
  • / 32

পুবের কলম, লখনউ: রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্দে মাতরম গাওয়া বাধ্যতামূলক। সোমবার এমনই ঘোষণা করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, জাতীয় স্তোত্রের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে প্রত্যেকটি স্কুল এবং কলেজে বন্দে মাতরম গাইতে হবে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর মতে, “দেশের জাতীয় গান বন্দে মাতরমের প্রতি একটা সম্মান থাকা উচিত। আমরা উত্তরপ্রদেশের সব স্কুল এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এটা গাওয়া বাধ্যতামূলক করব।” গোরক্ষপুরে ‘একতা যাত্রা’ শীর্ষক সরকারি কর্মসূচিতে অনেকে মিলে এক সঙ্গে বন্দে মাতরম গান পরিবেশন করেন। ওই কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে আদিত্যনাথ বলেন, ধর্ম-জাতের ভিত্তিতে বিভাজন তৈরির চেষ্টা চলছে, নতুন জিন্না তৈরির ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সেসব রুখতে হবে।

গত শুক্রবার বন্দে মাতরমের ১৫০ বছর পূর্তি হয়েছে। সেই উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে যোগী বলেন, ১৮৭৫ সালে রচিত এই গান অখণ্ড ভারতবর্ষে দিকে দিকে মুক্তির বার্তা ছড়িয়ে দেয়। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ রোধেও এই গান মানুষকে এক সুতোয় বেঁধেছিল। এই গান দেশের স্বাধীনতার চিরন্তন মন্ত্র। যোগী এদিন আরও বলেন, ‘একজন সপা সাংসদ জাতীয় গানকে অপমান করে। বিদ্রোহ করে। এই মানুষরাই সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মবার্ষিকী উদযাপনে অংশগ্রহণ করে না। কিন্তু এরাই নির্লজ্জের মতো জিন্নাহকে সম্মান করে।’ কংগ্রেসের সমালোচনা করে আদিত্যনাথ বলেন, “১৮৯৬ থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত কংগ্রেসের প্রতিটি অধিবেশনে বন্দে মাতরম গাওয়া হত। কিন্তু ১৯২৩ সালে যখন জওহর (জওহরলাল নেহরু) কংগ্রেস সভাপতি হন, তখন তিনি এই গান শুনে বেরিয়ে যান।” মোদীর সুরেই আদিত্যনাথের দাবি, বন্দে মাতরমের বিরোধিতা করার কারণেই দেশভাগ হয়েছে।

আরও পড়ুন: যোগী আদিত্যনাথের বাড়িতে মুহাম্মদ শামি

আরও পড়ুন: আওরঙ্গজেব বিতর্কে হুঁশিয়ারি Yogi Adityanath-র

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্দে মাতরম বাধ্যতামূলক: ঘোষণা যোগীর

আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম, লখনউ: রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্দে মাতরম গাওয়া বাধ্যতামূলক। সোমবার এমনই ঘোষণা করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, জাতীয় স্তোত্রের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে প্রত্যেকটি স্কুল এবং কলেজে বন্দে মাতরম গাইতে হবে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর মতে, “দেশের জাতীয় গান বন্দে মাতরমের প্রতি একটা সম্মান থাকা উচিত। আমরা উত্তরপ্রদেশের সব স্কুল এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এটা গাওয়া বাধ্যতামূলক করব।” গোরক্ষপুরে ‘একতা যাত্রা’ শীর্ষক সরকারি কর্মসূচিতে অনেকে মিলে এক সঙ্গে বন্দে মাতরম গান পরিবেশন করেন। ওই কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে আদিত্যনাথ বলেন, ধর্ম-জাতের ভিত্তিতে বিভাজন তৈরির চেষ্টা চলছে, নতুন জিন্না তৈরির ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সেসব রুখতে হবে।

গত শুক্রবার বন্দে মাতরমের ১৫০ বছর পূর্তি হয়েছে। সেই উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে যোগী বলেন, ১৮৭৫ সালে রচিত এই গান অখণ্ড ভারতবর্ষে দিকে দিকে মুক্তির বার্তা ছড়িয়ে দেয়। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ রোধেও এই গান মানুষকে এক সুতোয় বেঁধেছিল। এই গান দেশের স্বাধীনতার চিরন্তন মন্ত্র। যোগী এদিন আরও বলেন, ‘একজন সপা সাংসদ জাতীয় গানকে অপমান করে। বিদ্রোহ করে। এই মানুষরাই সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মবার্ষিকী উদযাপনে অংশগ্রহণ করে না। কিন্তু এরাই নির্লজ্জের মতো জিন্নাহকে সম্মান করে।’ কংগ্রেসের সমালোচনা করে আদিত্যনাথ বলেন, “১৮৯৬ থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত কংগ্রেসের প্রতিটি অধিবেশনে বন্দে মাতরম গাওয়া হত। কিন্তু ১৯২৩ সালে যখন জওহর (জওহরলাল নেহরু) কংগ্রেস সভাপতি হন, তখন তিনি এই গান শুনে বেরিয়ে যান।” মোদীর সুরেই আদিত্যনাথের দাবি, বন্দে মাতরমের বিরোধিতা করার কারণেই দেশভাগ হয়েছে।

আরও পড়ুন: যোগী আদিত্যনাথের বাড়িতে মুহাম্মদ শামি

আরও পড়ুন: আওরঙ্গজেব বিতর্কে হুঁশিয়ারি Yogi Adityanath-র