১৬ জুন ২০২৫, সোমবার, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রেমিকের সঙ্গে থাকতে স্বামী-শাশুড়িকে খুন করে দেহ টুকরো করল স্ত্রী, অসম থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, সোমবার
  • / 79

বাঁদিকে মৃত স্বামী-শাশুড়ি অমরজ্যোতি দে ও শাশুড়ি শঙ্করী দে , ডানদিকে অভিযুক্ত বন্দনা কালতিয়া।

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দিল্লিতে শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বহু নারকীয় ঘটনার মধ্যে একটি। এই হাড়হিম করা ঘটনা সাধারণ মানুষের আতঙ্কে তৈরি করেছে। এবার স্বামী ও শাশুড়িকে দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে দেহ অসম থেকে এনে মেঘালয়ে ফেলে দিয়ে এলেন এক মহিলা। অসমের গুয়াহাটি পুলিশ মারফত এই মারাত্মক অপরাধের খবর প্রকাশ্যে আসে।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর আগস্ট মাসে এই ঘটনার কিনারা হল গত ১৭ ফেব্রুয়ারি। মূল অভিযুক্তের নাম বন্দনা কালতিয়া৷ অসম পুলিশ জানিয়েছে, বন্দনা ছাড়াও এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে মহিলার প্রেমিক, রয়েছেন মহিলার এক ছোটবেলার বন্ধুও৷ এদের তিনজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে৷ মেঘালয় থেকে বন্দনার শাশুড়ির দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে। তার পরেই পুলিশ খুনের কিনারা করে। বন্দনা নিজে মুখে পুলিশকে খুনের কথা জানান। শাশুড়ি ও স্বামীকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে গুয়াহাটির নুনমাটি এলাকায় দু’জনকে খুন করে সে৷ তার পর টুকরো করে কেটে সে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখে৷ পরে সেই দেহ দুটি নিয়ে মেঘালয়ের ডাউকি ও চেরাপুঞ্জিতে ফেলে রেখে আসে। এর পর পরিকল্পনা মাফিক ভাড়া বাড়ি ছেড়ে দেন বন্দনা। এর পরে আবার নিজে থানায় গিয়ে স্বামী অমরজ্যোতি দে ও শাশুড়ি শঙ্করী দে-এর নামে পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি করে৷

আরও পড়ুন: অসমের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে বন্যা, ভূমিধসে পাঁচজনের মৃত্যু

এর কিছুদিন পরে অমরজ্যোতির সম্পর্কে এক ভাই নিখোঁজের অভিযোগ করেন৷ তার পরেই পূর্ণমাত্রায় তদন্ত শুরু হয়৷ পুলিশের বন্দনার কার্যকলাপ নিয়ে পুলিশের সন্দেহ হয়। তার ওপর নজর রাখতে শুরু করে পুলিশ। এর পর পূর্ণ মাত্রায় তদন্ত চালিয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দেহ উদ্ধার করা হয়৷ গ্রেফতার করা হয় বন্দনাকে। জেরায় স্বামী-শাশুড়িকে খুনের কথা স্বীকার করেন বন্দনা।

আরও পড়ুন: ১৭১টি ভুয়ো এনকাউন্টার অসমে, রাজ্য এইচআরসিকে তদন্তের নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত

 

আরও পড়ুন: অসমে তেল প্রকল্প নিয়ে সরব পরিবেশকর্মীরা, জীববৈচিত্র্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রেমিকের সঙ্গে থাকতে স্বামী-শাশুড়িকে খুন করে দেহ টুকরো করল স্ত্রী, অসম থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত

আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দিল্লিতে শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বহু নারকীয় ঘটনার মধ্যে একটি। এই হাড়হিম করা ঘটনা সাধারণ মানুষের আতঙ্কে তৈরি করেছে। এবার স্বামী ও শাশুড়িকে দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে দেহ অসম থেকে এনে মেঘালয়ে ফেলে দিয়ে এলেন এক মহিলা। অসমের গুয়াহাটি পুলিশ মারফত এই মারাত্মক অপরাধের খবর প্রকাশ্যে আসে।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর আগস্ট মাসে এই ঘটনার কিনারা হল গত ১৭ ফেব্রুয়ারি। মূল অভিযুক্তের নাম বন্দনা কালতিয়া৷ অসম পুলিশ জানিয়েছে, বন্দনা ছাড়াও এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে মহিলার প্রেমিক, রয়েছেন মহিলার এক ছোটবেলার বন্ধুও৷ এদের তিনজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে৷ মেঘালয় থেকে বন্দনার শাশুড়ির দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে। তার পরেই পুলিশ খুনের কিনারা করে। বন্দনা নিজে মুখে পুলিশকে খুনের কথা জানান। শাশুড়ি ও স্বামীকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে গুয়াহাটির নুনমাটি এলাকায় দু’জনকে খুন করে সে৷ তার পর টুকরো করে কেটে সে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখে৷ পরে সেই দেহ দুটি নিয়ে মেঘালয়ের ডাউকি ও চেরাপুঞ্জিতে ফেলে রেখে আসে। এর পর পরিকল্পনা মাফিক ভাড়া বাড়ি ছেড়ে দেন বন্দনা। এর পরে আবার নিজে থানায় গিয়ে স্বামী অমরজ্যোতি দে ও শাশুড়ি শঙ্করী দে-এর নামে পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি করে৷

আরও পড়ুন: অসমের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে বন্যা, ভূমিধসে পাঁচজনের মৃত্যু

এর কিছুদিন পরে অমরজ্যোতির সম্পর্কে এক ভাই নিখোঁজের অভিযোগ করেন৷ তার পরেই পূর্ণমাত্রায় তদন্ত শুরু হয়৷ পুলিশের বন্দনার কার্যকলাপ নিয়ে পুলিশের সন্দেহ হয়। তার ওপর নজর রাখতে শুরু করে পুলিশ। এর পর পূর্ণ মাত্রায় তদন্ত চালিয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দেহ উদ্ধার করা হয়৷ গ্রেফতার করা হয় বন্দনাকে। জেরায় স্বামী-শাশুড়িকে খুনের কথা স্বীকার করেন বন্দনা।

আরও পড়ুন: ১৭১টি ভুয়ো এনকাউন্টার অসমে, রাজ্য এইচআরসিকে তদন্তের নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত

 

আরও পড়ুন: অসমে তেল প্রকল্প নিয়ে সরব পরিবেশকর্মীরা, জীববৈচিত্র্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা