পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার ঠিক ১৫ দিনের মাথায় প্রত্যাঘাত করল ভারত। পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। বুধবার মধ্যরাতে চালানো হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। মাত্র ২৫ মিনিটের অভিযানে নিকেশ হয় পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গিঘাঁটি। বুধবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করে গোটা অপারেশনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি, কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং।

২২ এপ্রিলের ঘটনায় নিহত নৌবাহিনীর অফিসার লেফটেন্যান্ট বিনয় নারওয়ালের স্ত্রী হিমাংশী নারওয়াল টঅপারেশন সিঁদুরট নিয়ে সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এখানেই থামানো উচিত নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, “আমার স্বামী শান্তিপূর্ণ, সন্ত্রাসমুক্ত ভারতে স্বপ্ন নিয়ে প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি ঘৃণা এবংসন্ত্রাসবাদমুক্ত  দেশ চেয়েছিলেন। আমি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি তাদের অনুরোধ করছি তারা যেন এখানেই থেমে না যান। আমাদের দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদের অবসান হওয়া উচিত।” তিনি আরও বলেন, “এটা খুবই ভাল যে প্রধানমন্ত্রী মোদি পহেলগাঁও হামলার প্রতিশোধ নিয়েছেন। আমরা সরকারের সঙ্গে আছি। পুরো পরিবার এবং দেশ তাদের সঙ্গে আছে।”

পেহলগাঁও হামলায় নিহত হন বেহালার বাসিন্দা সমীর গুহ। ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে শহিদ সমীর গুহর স্ত্রী শর্বরী জানান, “ভারত সরকার ও সেনার পদক্ষেপে খুশি। সাধুবাদ জানাই। শাস্তি পাক আমার স্বামীর হত্যাকারীরা। এই অ্যাকশনটা হওয়া উচিত ছিল। আমরা চাই সব জঙ্গি যেন খতম হয়। সব জঙ্গির ধ্বংস চাই। এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে। আর যেন কারওকে এরকম দিন দেখতে না হয় চোখের সামনে।”

পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন বৈষ্ণবঘাটার বাসিন্দা বিতান অধিকারী। স্ত্রী-পুত্রের সামনেই জঙ্গিরা তাঁকে গুলি করে। এ দিন ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে বিতানের স্ত্রী সোহিনীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রথমেই ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান। চোখের জল ফেলতে ফেলতে সোহিনী অধিকারী বলেন, “আর কাউকে যেন এমন নৃশংসভাবে স্ত্রী-সন্তানের সামনে হত্যা না করতে পারে জঙ্গিরা। ভারত সরকারের কাছে এই ঘৃণ্য হামলার বদলা চেয়েছিলাম। ভারত সরকার সেই বদলা নিয়েছে। কিছুটা শান্তি পেয়েছি। তবে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে এই বদলা যেন বন্ধ না হয়। এটাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন থাকবে।”